<p style="text-align:justify">কিশোর গ্যাং থেকেই শুরু। এরপর মাদক ব্যবসা, অস্ত্রের মহড়া সব কিছুই করেন তিনি। নাম নুর আজিম। বর্তমান বয়স ২৮ বছর। পুলিশের খাঁচায় বন্দি হওয়ার পর তাকে গডফাদার হিসেবেই আখ্যা দিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার সকালে কেএমপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী গডফাদার নুর আজিম খুলনা মহানগরী এলাকায় নিজ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, হত্যা, দখলদারি, চাঁদাবাজি, টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশনসহ অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুলও এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি এবং টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশন চালাতেন। </p> <p style="text-align:justify">কেএমপি কমিশনার বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম ১ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার নুর আজিম খুলনা মহানগরীর ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার। তার বাবার নাম শানু মহরী এবং তিনি সদর থানাধীন দক্ষিণ টুটপাড়া মহিরবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। নুর আজিমের পাশাপাশি তার অন্যতম সহযোগী রিয়াজুল ইসলাম দাদা মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">তাদের দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অস্ত্র-গোলাবারুদ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেন বলেও উল্লেখ করেন কেএমপি কমিশনার। তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ খুলনা সদর থানাধীন দক্ষিণ টুটপাড়া এবং পূর্ব বানিয়াখামার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি একনলা ১২ বোর-এর কাটা বন্দুক, চার রাউন্ড কার্তুজ এবং ২ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, নুর আজিমসহ পাঁচজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।</p>