<p>বগুড়ায় সবজি বাজারে ক্রেতাদের জন্য দারুণ স্বস্তি মিলেছে সপ্তাহ জুড়ে। তবে এ স্বস্তি শুধু পাইকারি বাজারে, খুচরা পর্যায়ে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।</p> <p>শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) জেলার সবচেয়ে বড় মহাস্থান হাটের পাইকারি আড়ত এবং শহরের রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজার ঘুরে পাইকারি ও খুচরা ব‍্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে।</p> <p>মহাস্থান বাজারের ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম জানান, ২-৩ টাকায় মিলছে এক কেজি ফুলকপি ও মূলা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫ টাকা, শুকনা পেঁয়াজ ৮০ ও ভেজা পেঁয়াজ ৫০ টাকা। আলু (পাকরি) ৪০ ও আলু (লাল ক‍্যারেট)। প্রকার ভেদে বেগুন ও শীম  মিলছে ২৫-৩০ টাকা। এ ছাড়া টমেটো ও শসা মিলছে কেজি প্রতি ২৫ টাকায়।</p> <p>ব‍্যবসায়ীদের দাবি, হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ এবং সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে এমন দাম। এমন দাম গ্রাহক মনে স্বস্তি মিললেও, কৃষকদের দাবি, খরচ তোলাই কঠিন হয়ে পড়েছে।</p> <p>রাজাবাজারের ব্যবসায়ী এনামূল ও আব্দুল হান্নান বলেন, শীতকাল মানেই বাহারি সবজির সমাহার। বাজারগুলোতে জায়গা করে নেয় নানা রকমের সবজি। পৌষের মাঝামাঝিতে শীতকালীন সেসব সবজির জোগান বেড়ে যায়।</p> <p>উত্তর জনপদের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মহাস্থানগড়ের হাট। প্রায় দুই সপ্তাহ আগেও এই হাটে ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৫-২০ টাকা কেজিতে। অথচ সেই ফুলকপি নেমে এসেছে ৩ টাকায়। মূলাও মিলছে একই দরে।</p> <p>ব্যবসায়ীরা বলছেন, অধিক যোগানে নিম্নমুখী সবজির দাম। লোকসানের মুখে পাইকার আর আড়ত মালিকরাও।</p> <p>শহীদুল ও রফিকুল ইসলামসহ তিন চাষির দাবি, উৎপাদনের আধিক্য বিবেচনায় সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় সব মৌসুমেই বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য দাম থেকে। কিছু ক্ষেত্রে প্রতারিত হন সাধারণ খুচরা ক্রেতাও। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী জেলায় এবার ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছ।</p>