<p>কক্সবাজার সৈকতের হোটেল সী-গাল পয়েন্টে হত্যাকাণ্ডের শিকার খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রাব্বানী টিপুর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।</p> <p>শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে টিপুর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুল্যান্স খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।</p> <p>এর আগে গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে কক্সবাজার মডেল থানায় মামলা হয়েছে। টিপুর ভগ্নিপতি ইউনুস আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে গোলাম রব্বানী টিপুকে।</p> <p>এদিকে টিপু হত্যার ঘটনায় ৯ জানুয়ারি রাতে দুজনকে হেফাজতে নেন র‍্যাব-১৫। তারা হলেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে চালু অপরজন কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা মেজবাহ হক ভুট্টো।</p> <p>কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিহত কাউন্সিলরের ভগ্নিপতি ইউনুস আলী শেখ থানায় আসেন এবং তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।</p> <p>পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গোলাম রব্বানী টিপুরা তিন ভাই ও এক বোন। টিপু মেজো। বড় ভাই স্কুলশিক্ষক ও ছোট ভাই পারিবারিক গাড়ির ব্যবসা দেখাশোনা করেন। বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। মা বেঁচে নেই। ছাত্রজীবনে খুলনা বিএল কলেজে ছাত্রমৈত্রীর সক্রিয় কর্মী ছিলেন গোলাম রাব্বানী টিপু। </p> <p>তিনি কক্সবাজারে লবণ ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন খুলনা অঞ্চলে জমির ব্যবসা করেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে সপ্তম শ্রেণি ও মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।</p>