<p>শ’দুয়েক নদীপ্রেমীর উপস্থিতি। আলোচনা নদী নিয়ে। কিভাবে নদীকে দূষণ থেকে রক্ষা করা যায়, কিভাবে ফিরবে নদীর নাব্যতা, কিভাবে দখলমুক্ত হবে নদী- এসবই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুরবস্থার কথা ভেবে নদীপ্রেমীদের নীরব কান্না।</p> <p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাসের পাড়ে দাঁড়িয়ে নদী নিয়ে এ ভাবনা। নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সংগঠন ‘তরী’ শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিনভর ‘নদী সম্মিলন’ নামে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেখানে উঠে আসে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও। সকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ এ আয়োজনে সারা দেশের নদী ও প্রকৃতিপ্রেমীরা  অংশ নেন। এ আয়োজন থেকে তিতাসকে দখল-দূষণমুক্ত করে সারা দেশে একটা মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জুলাইয়ের স্পিরিট : প্রেসসচিব" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/11/1736596983-18e2999891374a475d0687ca9f989d83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জুলাইয়ের স্পিরিট : প্রেসসচিব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/01/11/1467526" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অনুষ্ঠানে উপস্থিত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর  আহমেদ চৌধুরী তার আলোচনায় নদী বিষয়ে ভারতকে বাংলাদেশের অবিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পানির ব্যাপারে বাংলাদেশকে সেলফসাফিশিয়ান হতে হবে। বর্ষাকালে পানি ধরে রাখতে হবে। ভারতের ওপর ভরসা করে থাকা যাবে না।’</p> <p>তিতাস নদীর পূর্ব পারে কাশিনগর এলাকায় তরীর আহ্বায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ও লেখক আমিন আল রশীদ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এ কিউ এম সোহেল রানা। জেলার সুধীজনসহ সাংবাদিকরা দিনভর এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>এ সময় ড. মনজুর  আহমেদ চৌধুরী জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি ভারত তার পশ্চিমাঞ্চলে ট্রান্সফার করতে চায়, যেটি বাংলাদেশের জন্য সমূহ বিপদ। ভারত থেকে যেসব নদীর শাখা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে ব্যাপক পরিমাণ পানি বঙ্গোপসাগরে জমে। বর্ষাকালে এক লাখ ৪০ হাজার কিউবিট মিটার পানি এসব নদী দিয়ে বহমান হয়। তবে সেসব নদী থেকে গ্রীষ্মকালে শতকরা পাঁচ ভাগ পানি বাংলাদেশে আসে। আর এগুলো নিয়ে ভারত জিও পলিটিক্সের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।<br />  <br /> তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ-ভারত নদী সীমান্তের ভারতে কমপক্ষে ৫০ টি ড্যাম অথবা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পানি যখন বেশি দরকার তখন কম দেয়, যখন কম দরকার তখন বেশি পানি দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে। সিলেট এবং ফেনীর বন্যা সেগুলোর প্রমাণ।</p> <p>অনুষ্ঠানে উপস্থিত নদীপ্রেমি রুবেল আহমেদ জানান, দখল-দূষণ থেকে নদীকে রক্ষা এ সম্মিলনের আয়োজন করা হয়। সারা দেশের অনেক নদী ও প্রকৃতিপ্রেমী এ আয়োজনে হাজির হয়। এ সময় নদী রক্ষায় একযোগে কাজ করার বিষয়ে সবাই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।</p> <p>তরীর আহবায়ক শামীম আহমেদ জানান, নদী রক্ষায় তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্মিলনের আয়োজন করা হয়। সম্মিলন থেকে নদীকে রক্ষায় বেশ কিছু প্রস্তাবনা উঠে এসেছে, যা বাস্তবায়নে কাজ করা হবে। </p> <p>সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোটেক আবদুন নূর জানান, তিতাস দখল-দূষণমুক্ত করতে মানুষকে সচেতন করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয় সম্মিলনে। সবাই চাইছেন তিতাসকে দখল-দূষণমুক্ত করতে একটা মডেল হিসেবে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে।</p>