<p>নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পুলিশ সদস্য (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫)-কে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।</p> <p>আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদককে এ তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নেত্রকোনা কার্যালয়ের পরিদর্শক ইমদাদুল বাশার। এর আগে গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিক থেকে রাত ৮টা নাগাদ ৩ ঘণ্টাব্যাপী বিচারকের কাছে হত্যা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ওই দুজন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নিয়মিত ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে হতে পারে যে ক্ষতি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/13/1736756428-860b06a70887f3875985f0189ea35ef2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নিয়মিত ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে হতে পারে যে ক্ষতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/01/13/1468191" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গ্রেপ্তাররা হলেন- দুর্গাপুর উপজেলা সদরের উকিলপাড়া এলাকার শমশের আলী খাঁয়ের ছেলে সাজিবুল ইসলাম ওরফে অপূর্ব (২৪) ও ধানশিরা এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. বাকী বিল্লাহ (২৬)। এই দুই যুবকের মধ্যে অপূর্ব পেশায় টিভি-ফ্রিজ মেকানিক ও বাকী বিল্লাহ মোটরসাইকেল গ্যারেজের মেকানিক।</p> <p>জবানবন্দীর বরাত দিয়ে ইমদাদুল বাশার জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন দুই আসামি। পরে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।</p> <p>এর আগে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা কার্যালয়ে সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন।</p> <p>হত্যাসংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শফিকুল ইসলামকে তিন জন যুবক রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তারের নেতৃত্বে গত (১১ জানুয়ারি) শনিবার বিকেলে সাজিবুল ইসলাম ও মো. বাকী বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গণভবনে মিলল টিউলিপের প্রচারপত্র, সাংবাদিকতা বন্ধের আইনি পরামর্শ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/13/1736756359-193d8186c37ea1d3ae2d0cd2cd1771fe.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গণভবনে মিলল টিউলিপের প্রচারপত্র, সাংবাদিকতা বন্ধের আইনি পরামর্শ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/01/13/1468190" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ময়মনসিংহ পিটিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার কালের কণ্ঠের প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি এবং ছায়া তদন্তের সাপেক্ষে আমরা দুজনের সংশ্লিষ্টতার নিশ্চিত হয়ে তাদের আটক করি। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরো কয়েকজনকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়। তবে এই হত্যাকাণ্ডে আরো জড়িত যারা তাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে নিশ্চিত রূপে পূর্ণাঙ্গভাবে জানাতে পারব। তবে কেন, কী কারণে হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তের স্বার্থে এখনি বলতে রাজি হননি তিনি।</p> <p>জামালপুরে কর্মরত এসআই শফিকুল ইসলাম ছুটি নিয়ে গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাড়িতে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি দুর্গাপুর পৌর শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হওয়ার পর পথে উকিল পাড়া এলাকার পানমহালের একটি গলি সড়কে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলামের বাবা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা ছয় জনকে আসামি করা হয়।</p>