<p>তুরাগের বাউনিয়া এলাকায় একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।</p> <p>ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ আবু সাঈদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সকালে ফোন দিয়ে আমাকে জানানো হয় যে বাসায় ডাকাতি হয়েছে। এসে দেখি, বাসার পেছনে ড্রয়িং রুমের গ্রিলের তিনটি রড কাটা। মেইন গেট খোলা। দাদির ঘরের আলমারি ওয়ারড্রব ভেঙে কাপড়চোপড় এলোমেলো করেছে। বাড়িটিতে রাতে বৃদ্ধা দাদি ও অসুস্থ দাদা ছিলেন।' </p> <p>আবু সাঈদের দাদি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাসার সবাই বেড়াতে গিয়েছে। রাতে অসুস্থ স্বামী ও আমি বাসায় ছিলাম। ভোর ৪টা থেকে ৫টার দিকে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে একজন। চোখ মেলে দেখি এক সারিতে ৫-৬ জন দাঁড়িয়ে আছে। একজন খারাপ একটি গালি দিয়ে বলে, আলমারির চাবি ক‌ই? এরপর আমার গলায় দা ধরে হাত থেকে স্বর্ণের চুরি, কানের জিনিস, নাকফুল নিয়ে যায়। পরে আমার মাথায় ওড়না পেঁচায় হাত পা বাঁধে। আমার স্বামীকে বলে আঙ্কেল, আপনি অসুস্থ, আমরা জানি। চিল্লাচিল্লি করবেন না। চুপ করে শুয়ে থাকেন। স্বর্ণ, গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময়। একজন বলে ডাইনিং টেবিলে কলা রুটি আছে। তারা কলা রুটি খেয়ে বাশার মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে যায়।' </p> <p>বৃদ্ধার ছেলের বউ তাসনুভা তাসলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি আমার বাবার বাসায় ছিলাম। ঘটনার সংবাদ পেয়ে সকালে বাসায় এসেছি। বাসাতে ৫০-৫৫ হাজার টাকা ক্যাশ ছিল। প্রায় ২২ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। সবই ডাকাতরা নিয়ে গেছে।' </p> <p>স্থানীয়রা জানায়, তুরাগ এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে গেছে। হর হামেশাই বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনা ঘটছে। থানা পুলিশ যে পরিমাণ তৎপর থাকা প্রয়োজন তাদের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানায় তারা।</p> <p>তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহাৎ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ডাকাতের ঘটনা সত্য। এ বিষয় তুরাগ থানায় মামলা হয়েছে। ডাকাত চক্র সদস্যদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। </p> <p>তিনি আরো বলেন, 'কয়েকদিন আগে রানাভোলায় একটি ডাকাতের ঘটনা ঘটে। সেখানকার ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও মাল উদ্ধার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি।' </p>