<p>জলবায়ু পরিবর্তনে বিনা শর্তে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়েছে খুলনা উপকূলের ভুক্তভোগীরা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে খুলনায় জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা সংক্রান্ত নীতিমালার অ্যাডভোকেসি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাওসেডের উদ্যোগে কর্মশালায় খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার তৃণমূলের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। </p> <p>তারা মনে করেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, দাবদাহ, শৈত্যপ্রবাহ ও লবণাক্তা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের ৫৩ শতাংশ লবণাক্ত আক্রান্ত, বেশির ভাগ বাঁধ ও স্লুইসগেট ৬০-৬৫ বছরের নাজুক। অথচ এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত বিশ্বের পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, কার্বন নিঃসরণ। তাই কপ-১৯, পারিস চুক্তি, কিয়েটো প্রটোকল অনুযায়ী এই ক্ষতির দায় উন্নত বিশ্বকেই দিতে হবে। </p> <p>কৃষিবিদ অধ্যক্ষ ড. এস এম ফেরদৌসের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাওসেডের নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন। আরো বক্তব্য দেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রিফাত জাহান উষা, পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম, কেয়ার বাংলাদেশের মৃত্যুঞ্জয় দাস, ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক, সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা জামান পপলু, কৌশিক দে, মো. হেদায়েত হোসেন মোল্লা, শেখ আল এহসান, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, মৃত্তিকা উন্নয়ন সম্পদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সামছুর নাহার রত্না, জুলফিকার রায়হান, কেয়ার বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর হিমাদ্রি শেখর মণ্ডল প্রমুখ।</p> <p>কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণের অর্থায়নের যৌক্তিক দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়।</p>