<p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একটি পক্ষ দাবি আদায়ের আলটিমেটাম দিয়ে পূরণ না হলে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে, আয়োজনকারী পক্ষ সম্মেলন সফল করতে নিজেদের অনড় থাকার কথা জোর গলায় জানিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে, প্রতিহতের ডাক দিয়ে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক খোকন। তারা দুজনই বর্তমানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।</p> <p style="text-align:justify">বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এক দফা পিছিয়ে আগামী ১৮ জানুয়ারি সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সম্মেলন পেছাতে এক পক্ষের দাবি মেনে নিয়েই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। নতুন তারিখ ঘোষণা ও আংশিক ভোটার তালিকা প্রকাশের পরও একটি পক্ষ এখন আবার একই দাবি তুলেছে। এরই মধ্যে আয়োজনকারী পক্ষ সম্মেলনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্মেলন সফলে রবিবারও মাইকিং করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে জহিরুল হক বলেন, ‘আমরা সংগঠন ও সম্মেলন বিরোধী কোনো সমাবেশ করিনি। গত রবিবার আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে সমাবেশ করেছি। ব্যানারে সেটিই লেখা ছিল। আমরা কোনো শর্ত ভঙ্গ করিনি।’ বরং কারণ দর্শানোর বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘১৪ ইউনিটের মধ্যে আটটির ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি থাকা ছয়টির তালিকা তৈরি করা শেষ।’ </p> <p style="text-align:justify">এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের (একটি পক্ষ) তো কত দাবি দাওয়া আছে। তবে আমরা অবশ্যই ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন করবো।’</p>