<p style="text-align:justify">কক্সবাজার শহরতলীর ঝিলংজা লিংকরোড এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ভাড়া করে জমির মালিকপক্ষকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এতে করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।</p> <p style="text-align:justify">জমির তত্বাবধায়ক আবু সাইম জানান, ক্রয়সূত্রে ঝিলংজা মৌজার বিএস ৮৯ খতিয়ানের ১৪৬৪০ দাগের জমির মালিক বসুন্ধরা ইকোনমিক জোন ট্যুরিজম লিমিটেড। গত রবিবার রাতে আবদুর রহিম প্রকাশ আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ওই জমি নিজের দাবি করে মাটি ফেলে ভরাট করে।</p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বসুন্ধরা ইকোনমিক জোন ট্যুরিজমের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন পর্যালোচনা করে জমিটি বসুন্ধরা ইকোনমিক জোন ট্যুরিজম লিমিটেডের পক্ষে দখলে রয়েছে এবং জমির সব নথিপত্র রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।</p> <p style="text-align:justify">আদালতের পক্ষে কক্সবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ওই জমিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযুক্ত আবদুর রহিম গং জোরপূর্বক ওই জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এতে ওই এলাকায় শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা করা হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান জানান, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে তিনি যথারীতি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ উঠেছে, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ইকোনমিক জোন ট্যুরিজম লিমিটেডের পক্ষের লোকজন ও তত্বাবধায়ককে হত্যার হুমকি দিচ্ছে আবদুর রহিম গং। এ কাজে আবদুর রহিম রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।</p> <p style="text-align:justify">বসুন্ধরা গ্রুপের জমির তত্বাবধায়ক আবদুল মান্নান প্রকাশ আবু হেনা জানান, আবদুর রহিমের পক্ষে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমাকে মানা করছি, তোমরা জায়গা ছেড়ে দাও। অন্যথায় মন্ত্রীর ছেলে আসলেও কেটে ফেলব।’</p> <p style="text-align:justify">আবু হেনা দুর্বৃত্তদের দেওয়া ওই হুমকির কল রেকর্ডও এই প্রতিবেদককে শুনিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">বসুন্ধরা ইকোনমিক জোন ট্যুরিজম লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওমর ফারুক বুলবুল, জাহেদুর রহমান গং, কামরুন্নাহার গং ও শামসুল আলমের কাছ থেকে ৬টি দলিলমূলে ১ একর ৬৫৫৬ শতাংশ জমি কেনা হয়। তবে নানা টালবাহানা করে ওই জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না তারা। এ সুযোগে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ।</p>