<p>গত ৫ আগস্ট সদরপুর থানা ভাঙচুর করে আগুন দেয় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময় থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট হয় পুলিশের বিভিন্ন ধরনের ভারী অস্ত্র। থানা থেকে লুট করে নেওয়া অস্ত্র দিয়ে গত ৬ আগস্ট টিকটক করতে যায় পলাশ ও তার বন্ধুরা। পলাশের বন্ধুর হাতে থাকা গুলিভর্তি শটগান দিয়ে অভিনয় করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হন পলাশ হোসেন (১৮)। </p> <p>পলাশ সদরপুর ইউনিয়নের আটরশি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। থানা পুলিশ পালিয়ে থাকায় শূন্য হয়ে পড়ে থানা। পরে ওই অস্ত্র (শটগান) উদ্ধার করে তৎকালীন ফরিদপুর জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট নাদীরা ইয়াসমিন।</p> <p>সদরপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ওই আসামিকে ধরতে বাইশরশি ভূমি সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিসের সামনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের নেতৃত্ব দেন এস আই রাসেল মিয়া ও কাজী মিনারুল। আহসান হাবীবকে আটকে পথরুদ্ধ করলে পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করে পুলিশের এসআই কাজী মিনারুলকে লাথি মেরে সড়কের ওপর ফেলে দিয়ে আরেক এসআই রাসেল মিয়াকে নাকে ঘুষি মেরে জখম করে। পরে তাকে আটক করে পুলিশের আরেক এসআই আব্দুল হাদি।</p> <p>এ ঘটনায় নিহত পলাশের মা পারুলী আক্তার বাদী হয়ে গত ৬ আগস্ট ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি আহসান হাবিব।</p> <p>সদরপুর থানা সূত্র মতে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সদরপুর থানা লুট হয়। ৬ আগস্ট লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে টিকটক করতে গিয়ে নানা বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয় আটরশি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে পলাশ (১৮)। পলাশ মারাত্মকভাবে আহত থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে আইসিইউতে পলাশের মৃত্যু হয়।</p> <p>এ ব্যাপারে সদরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মোতালেব জানান, আহসান হাবীব পলাশ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পুলিশ তাকে ধরতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। আইনি কার্যক্রম শেষে মঙ্গলবার ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।</p>