<p>ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে উত্তরের জনজীবনে দুর্ভোগ নিয়ে পৌষের পর এবার মাঘ মাসের আগমন ঘটল। বুধবার পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। দিনের বেশির ভাগ সময় কুয়াশা থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহনকে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ৯০ শতাংশ মানুষ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/15/1736956188-4cdf551601d6c7f9abbd061ebd247d38.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ৯০ শতাংশ মানুষ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/01/15/1469055" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ বছর পঞ্চগড়ের দরিদ্র মানুষের জন্য এক লাখ শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হলেও পাওয়া গেছে ৪৫ হাজার। জেলার বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষের তুলনায় সংখ্যাটি খুবই কম।</p> <p>জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষকে কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই বাইরে বের হতে হচ্ছে। সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন নদীর বালু-পাথর শ্রমিকরা। বেশির ভাগ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এদিকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক শীতবস্ত্র না থাকায় বাড়ির উঠান কিংবা রাস্তার পারে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে অসহায় দরিদ্ররা। গৃহপালিত পশুকে চট ও কাপড় দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন মালিকরা।</p> <p>বালু শ্রমিক সামসুজ্জামান বলেন, ‘নদীর পানি যেন ফ্রিজের মতো ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। খুব বেশি সময় থাকা যাচ্ছে না। কিন্তু অন্য কোনো কাজ না থাকায় আমাদের এই কষ্টের জীবন বেছে নিতে হয়েছে।’</p> <p>স্কুলছাত্র তানভিন আহমেদ বলেন, ‘স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছে। এই শীতে যাতায়াত খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গরম কাপড় পরলেও শীত মানছে না।’</p> <p>পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘বর্তমানে পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ মাসে আরো শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।’</p>