চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার কানু ওরফে কান্দু (৪৫) ও ডাকাত দলের আরো ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের এখলাসপুর আড়গাড়া পলাশবাড়ী গ্রামের মৃত কছিরুদ্দিন ওরফে খমু উদ্দিনের ছেলে।
আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম অভিযানের বিস্তারিত জানান।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।
অভিযানে একই সঙ্গে কানুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয় তার সহযোগী অপর দুই ডাকাত। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শিবগঞ্জের মুসলিমপুর গ্রামের মৃত সাজেমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫) ও উপর ধোবড়া গ্রামের ইয়াসিন ঘোরামের ছেলে মো. রাকিব (২৫)। এ সময় কানুর বাড়ি থেকে জব্দ হয় ৭টি চোরাই গরু, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান, একটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল।
আরো পড়ুন
যাকাত সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করে : কাদের গনি চৌধুরী
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রত্যেকের নামে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহীর বিভিন্ন থানাসহ বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৪টি করে হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, আইনশৃখলা বিঘ্নকারী, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘কানু ডাকাতের বাড়িতে একদল ডাকাত চোরাই গরু বিক্রির জন্য অবস্থান করেছে মর্মে গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাড়ি ঘিরে অভিযানে ওই তিন ডাকাতকে মালামালসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়। তবে অভিযানকালে একই চক্রের সদস্য আরো অন্তত দুই ডাকাত পালিয়ে যায়। তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
’
আরো পড়ুন
মাধবপুরে আগুনে পুড়ল ৪ দোকান
তিনি আরো বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, চোরাই গরুগুলো তারা অপর এক ডাকাতের নিকট থেকে বিক্রির জন্য নিয়েছিলেন। তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। এই চক্রের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের পর দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’