যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভারতীয় চিনি ও জিরা মজুদের অভিযোগে দুই সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃত সমন্বয়করা হলেন জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের আমুয়াকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন
বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

 

ফুলপুর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল হাদি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মেজর ইব্রাহীমের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়।

এ সময় ভারতীয় পণ্য গুদামজাত করার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন
সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

 

তিনি আরো জানান, তাদের গ্রেপ্তারের সঙ্গে ১২০ বস্তা চিনি এবং ১৫ বস্তা জিরা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মাল চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ফুলপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
৬০০ সিসির মোটরসাইকেল অনুমোদনের দাবি নিয়ে যা জানা গেল

৬০০ সিসির মোটরসাইকেল অনুমোদনের দাবি নিয়ে যা জানা গেল

 
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আমরা যুদ্ধ চাই না, বললেন কাশ্মিরি ছাত্রীরা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
আমরা যুদ্ধ চাই না, বললেন কাশ্মিরি ছাত্রীরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

যুদ্ধ-সংঘাত কোনো পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে না। এসব বিষয় কোনো মানুষের কাম্য নয়। আমরা কোন সংঘাত বা যুদ্ধ চাই না। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন ছাত্রীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এসব কথা বলেন।

কাশ্মিরি ছাত্রীরা বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তির দেশ। এদেশে নিরাপত্তায় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অন্যতম। এখানে কোনো হানাহানি নেই, নেই কোন অস্থিতিশীলতা। কাশ্মির-পাকিস্তানিদের মধ্যে যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে, তা কাম্য নয়।

আমরা শান্তি চাই।

তারা বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। ছুটির প্রয়োজন হলে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরতে পারছি। আবার মা-বাবা বাংলাদেশে যখন-তখন আসতে পারছেন।

ভিসা জটিলতা দেখা দিলে কুমুদিনী পরিবারের পক্ষ থেকে অনলাইনে প্রত্যয়ন অ্যাম্বাসিতে জমা দিয়ে ভিসা সমস্যাও সমাধান করা হয়ে থাকে।

পহেলগাম, তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টর এলাকায় পাকিস্তানি সেনারা একাধিকবার গুলি ছুড়েছে। এজন্য ওইসব এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে তারা জেনেছেন।

কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী আনছুসনি জানায়, মা-বাবাসহ পরিবারের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। কাশ্মিরের হারি রাস্তা শহরের বাসিন্দা তিনি।

দুই মাস আগে ছুটি কাটিয়ে কাশ্মির থেকে কলেজে এসেছেন। পাকিস্তানি সেনারা পহেলগাম, তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টর এলাকায় গুলি চালিয়েছে বলে জেনেছেন। কুমুদিনী ক্যাম্পাস শান্তিপ্রিয় ক্যাম্পাস উল্লেখ করে বলেন, এখানে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মাসকান ও উছড়া বলেন, সংঘাত-যুদ্ধ কোন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে না। কাশ্মির-পাকিস্তানি সংঘাত চাই না, যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই। 

ডা. শিনফার হাসান বলেন, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর কুমুদিনী হাসপাতালে ইন্টার্ন শেষ করেছি। কাশ্মির-পাকিস্তানের উত্তেজনার বিষয়ে শান্তি কামনা করেন তিনি। কুমুদিনী ক্যাম্পাসের বিষয়ে বলেন, এখানে নিরাপত্তার বিষয়ে কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া মির্জাপুর শহরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। চলাফেরায় কোনো ঝুঁকি নেই। 

কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সরকার জানান, কাশ্মির-পাকিস্তানি উত্তেজনার বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত ভারতের ছাত্রীরা কোন ধরনের উদ্বিগ্ন নয়। তারা লেখাপড়ার সময় ছাড়া পরিবার-পরিজনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। এছাড়া ঈদ, পূজা ছাড়াও ছুটি নিয়ে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন।

কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. এম এ হালিম বলেন, ছাত্রীরা সরকারিভাবে ৫ বছরের ভিসা পান। ভারতের ছাত্রী ভর্তি চলছে। আগামী মে মাসে ভর্তি শেষ হবে। এই কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ১২০ জন ও ডেন্টাল কোর্সে ৪০ জন ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এরমধ্যে শতকরা ৪৫ জন ভারত ও নেপালের ছাত্রী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। 

বর্তমান সময়ে ভারতের সংঘে সম্পর্কের টানাপোড়নের কারণে ভারতের ছাত্রীর ভর্তি সংখ্যা কমে আসছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বৃষ্টিতে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে গৃহবধূর মৃত্যু

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বৃষ্টিতে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে গৃহবধূর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে শাহনাজ বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। শাহনাজ ওই এলাকার ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী। 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৃহবধূর দেবর মো. বেলায়েত হোসেন।

আরো পড়ুন
আইন উপদেষ্টার বাসভবনে পড়ে থাকা ‘ড্রোন’ নিয়ে যা জানা গেল

আইন উপদেষ্টার বাসভবনে পড়ে থাকা ‘ড্রোন’ নিয়ে যা জানা গেল

 

বেলায়েত হোসেন জানান, রবিবার দুপুর আনুমানিক আড়াইদিকে ওই এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। বৃষ্টির সাথে প্রচণ্ড বাতাসে বাড়ির একটি গাছ থেকে অনেকটি আম ঝড়ে পড়ে। এ সময় আম কুড়াতে গিয়ে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী বজ্রাঘাতের শিকার হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসক ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে অবস্থার অবনতি দেখে লক্ষ্মীপুর নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, আকস্মিক বজ্রাঘাতে এক গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন তিনি।

মন্তব্য

টাকা ফেরত না পেয়ে সমবায় সমিতির সভাপতিকে গণপিটুনি

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
শেয়ার
টাকা ফেরত না পেয়ে সমবায় সমিতির সভাপতিকে গণপিটুনি
সংগৃহীত ছবি

নওগাঁর মান্দায় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় গণপিটুনির শিকার হয়েছেন সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল মান্নান। রবিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে গণপিটুনি দিয়ে সতিহাটের মসজিদ বাজার এলাকায় আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।

মান্নান মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

আরো পড়ুন
৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

গ্রাহকদের অভিযোগ, বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে এফডিআরের নামে আমানত সংগ্রহ করেন আব্দুল মান্নান ও ওই সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহিন আক্তার মিঠু।

শুরুর দিকে মুনাফার টাকা দিলেও বেশ কিছুদিন টালবাহানা করেন তারা। এ অবস্থায় আমানতের টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে সমিতির সাইনবোর্ড গুটিয়ে নিয়ে সটকে পড়ার পাঁয়তারা করেন তারা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক আমানতের নামে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। প্রত্যেক মাসে এক লাখ টাকায় দুই হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার চুক্তি ছিল।

প্রথমদিকে সঠিকভাবে মুনাফার টাকা পরিশোধ করা হলেও গত ছয় মাস ধরে টালবাহানা শুরু করেন তারা। 

আরো পড়ুন
অভিনয় ছাড়তে বলে, এমন ছেলেকে বিয়ে করব না : নুসরাত

অভিনয় ছাড়তে বলে, এমন ছেলেকে বিয়ে করব না : নুসরাত

গ্রাহক ফারমিন আক্তার বলেন, 'বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে ওই সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নেয়। গত দেড় বছর ধরে মুনাফা দিচ্ছেন না। আমানতের টাকা ফেরত দিতেও টালবাহানা করছে তিনি।

'

আরেক গ্রাহক মোহাম্মদ আলী বলেন, 'এক লাখ টাকায় মাসিক দুই হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার অঙ্গীকারে আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সঠিকভাবে কয়েক মাস মুনাফা পেয়েছি। বর্তমানে সংস্থার লোকজন কার্যক্রম গুটিয়ে আত্মগোপনে আছেন। রবিবার আব্দুল মান্নানকে পেয়ে গ্রাহকরা আটকিয়ে গণপিটুনি দেয়।'

আরো পড়ুন
সাত খুনের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

সাত খুনের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া টাকা মাঠেই পড়ে আছে।

যারা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তারা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। মাঠ থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। টাকাগুলো উঠে এলেই গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

স্থানীয় গনেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে গ্রাহকরা আমানতের টাকা ফেরতের জন্য আমার কাছে অভিযোগ দিয়ে আসছিল। পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরতের অঙ্গীকারও করেছিলেন সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদক। এ অবস্থায় আজ তাকে ধরে গণপিটুনি দেয় গ্রাহকরা।’

আরো পড়ুন
নামের মাঝে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান শহীদ মুগ্ধর বাবা

নামের মাঝে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান শহীদ মুগ্ধর বাবা

মান্দা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকের টাকা আটকে রাখা সঠিক হয়নি। আমানতের টাকা ফেরত পাওয়া গ্রাহকের ন্যায্য অধিকার।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন
বাঘারপাড়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল গ্রেপ্তার

বাঘারপাড়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল গ্রেপ্তার

মন্তব্য

তালের রস খেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ছয়জন হাসপাতালে

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
তালের রস খেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ছয়জন হাসপাতালে
সংগৃহীত ছবি

তালের রস খেয়ে অসুস্থ হয়ে যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৬ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। তালের রস খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর এলে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। 

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা হলেন মনোহরপুর গ্রামের জালাল সরদারের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার (১৬), বাবুল বিশ্বাসের স্ত্রী নূরুন নাহার (৩৮) ও ছেলে বদিরুজ্জামান মুন্না (১৮), ইব্রাহিম আলমের মেয়ে তাহাসিনা জান্নাত তোয়া (৪), মারুফ হোসেনের ছেলে জান্নাতুল ফেরদৌস (৬) এবং মাসুদ সরদারের ছেলে মাহফুজ হোসেন (৪)।

সরেজমিন রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মণিরামপুরের মনোহরপুর বাজার থেকে তালের রস কিনে খায় তারা। পরের দিন শুক্রবার সকাল থেকে তাদের পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর আসে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় শনিবার তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের ভেতর এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার ও মাহফুজ হোসেন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন।

 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূরুন নাহার বলেন, বাজার থেকে ছেলে তালের রস খাওয়ার পর বাড়িতে বোতলে করে নিয়ে এসেছিল। ওই তালের রস খেয়ে বমি, পাতলা পায়খানাসহ জ্বর শুরু হয়। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে শনিবার হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। এখন কিছুটা ভালোর দিকে গেছে।

 

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, ওই রোগীরা এখন আশঙ্কামুক্ত। এদের ভেতর দুজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ