হাসপাতালে গিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রাকচাপায় নিহত ২

মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি
মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি
শেয়ার
হাসপাতালে গিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রাকচাপায় নিহত ২
সংগৃহীত ছবি

যশোরের মণিরামপুরে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় দুজন আহত হয়।

নিহতরা হলেন মুন্সিখানপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের স্ত্রী রুপা খাতুন (৪০) এবং ফেদাইপুর গ্রামের ভ্যানচালক মোসলেম উদ্দিন (৫৫)।

আহত হয়েছে মাগুরা সদর উপজেলার মিম খাতুন ও তার সন্তান মেহেরব হোসেন (১)। 

নিহতের স্বজন আকিব হোসেন জানান, রুপা ও মিম সম্পর্কে দুই বোন। তারা মেহেরবকে নিয়ে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ভ্যানগাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। হাসপাতালের সামনেই (যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে) পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই রুপা ও মোসলেম মারা যান। 

তারা আরো জানায়, এ সময় মিম ও মেহেরব আহত হয়। মিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত দাস বলেন, নিহত দুজনের লাশ মণিরামপুর হাসপাতালে রয়েছে।

দুর্ঘটনায় দায়ী ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকচালককে আটক করা যায়নি।

মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আলেক উদ্দিন বলেন, ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলে দুজন মারা গেছেন। আহত এক নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘তন্ত্রমন্ত্রের’ পাতা খেলা দেখতে হাকিমপুরে ভিড়

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘তন্ত্রমন্ত্রের’ পাতা খেলা দেখতে হাকিমপুরে ভিড়
ছবি: কালের কণ্ঠ

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের কৃন্দর্পপুর গ্রামে হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা। হিলিসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮টি ‘তান্ত্রিক’ দল অংশ নিতে আসে ‘গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা’ প্রতিযোগিতায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খেলা চলে। খেলার জন্য মাঠের মাঝখানে লাগানো হয় কলাগাছ।

দলের পক্ষে তান্ত্রিকরা একজন করে মন্ত্র দিয়ে পাতারূপী তুলারাশির ১২ জনকে মাঠের মাঝখান থেকে নিজের দিকে টানার প্রতিযোগিতা করেন। যে দল তাদের ‘মন্ত্রের’ মাধ্যমে পাতাকে নিজেদের দাগের মধ্যে টেনে বশ করতে পারবে, সেই দলই পয়েন্ট পাবে। পরে পয়েন্ট হিসাব করে বিচারকরা বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এ জন্য ‘তান্ত্রিকরা’ সঙ্গে মানুষের মাথার খুলি, সাপ, লাঠি, জবাফুল, মন্ত্র পড়া বদনাভর্তি পানি, ধুলা, আগরবাতি, মোমবাতি, হরিণের শিংসহ বিভিন্ন প্রকার গাছের শিকড় ও গাছের বাকল ব্যবহার করেন।

এর সঙ্গে পড়তে থাকেন নানা ধরনের মন্ত্র।

এ খেলা উপভোগ করতে কন্দর্পপুর মাদরাসা মাঠে উৎসুক জনতার উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আয়োজকরা সন্ধ্যায় কামদিয়ার ‘তান্ত্রিক’ দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। বিজয়ী দলকে খাসি ও রানার্সআপ তিনটি দলকে হাস পুরস্কার দেয় আয়োজক কমিটি।

এ ছাড়া খেলায় অংশগ্রহণকারী সব দলকেই পুরস্কৃত করা হয়।

খেলার আয়োজক কামরুজ্জামান শুভ বলেন, এত মানুষ খেলা দেখতে আসবে, তিনি ধারণাই করতে পারেননি। অনেক আগে এ খেলার প্রচলন ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আয়োজন না করায় ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এই আয়োজন করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কর্ণফুলীতে লোকালয়ে বন্য হাতির তাণ্ডব, ৪ বাড়িঘরে ভাঙচুর

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
কর্ণফুলীতে লোকালয়ে বন্য হাতির তাণ্ডব, ৪ বাড়িঘরে ভাঙচুর
ছবি: কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় লোকালয়ে ঢুকে চারটি বসতবাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্য হাতির দল।

গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন স্থানীয় মো. ওমর, আযম, মো. জামাল, মো. নজরুল ইসলাম।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি রাতেই লোকালয়ে ঢুকে বন্য হাতি মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে বন্য হাতি বাড়িতে ঢুকে প্রথমে গাছপালা উপড়ে ফেলে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ধান ও মালামাল নষ্ট করে। বন্য হাতি নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

এ বিষয়ে বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (৭ নম্বর ওয়ার্ড) ইলিয়াস বলেন, ‘বন্যহাতি লোকালয়ে এসে চারটি পরিবারের সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।

বন্য হাতির কারণে জানমাল নিয়ে চরম আতংকে আছে এখানকার বাসিন্দারা।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতি

সভাপতি জামায়াতের, সাধারণ সম্পাদক বিএনপির

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী প্রতিনিধি
শেয়ার
সভাপতি জামায়াতের, সাধারণ সম্পাদক বিএনপির
বাঁ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ছবি : কালের কণ্ঠ

নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত আল ফারুক আব্দুল লতিফ সভাপতি এবং বিএনপি সমর্থিত আল মাসুদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জেলা আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে আল ফারুক আব্দুল লতিফ ৯৮ ভোট পেয়েছেন। তিনি জেলা জামাযাতের সহকারী সেক্রেটারি।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু মো. সোয়েম পেয়েছেন ৮৩ ভোট। তিনি জেলা জজ আদালতের জিপি এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে অপর প্রার্থী আব্দুল লতিফ সরকার পেয়েছেন ৩১ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে আল মাসুদ চৌধুরী ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি জেলা জজ আদালতের পিপি ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৬৬ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবুল কালাম আজাদ ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত আশরাফুল লতিফ কিবরিয়া পেয়েছেন ৮১ ভোট।

১৩০ ভোট পেয়ে বিএনপি সমর্থিত হাসনেন ইমাম সোহেল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৯ ভোট।

১২২ ভোট পেয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত গোলাম মোস্তফা সজীব। তার নিকটতম মো. সেলিম শাহ্ পেয়েছেন ৯১ ভোট (আ. লীগ সমর্থিত)।

১০৯ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত আসাদুজ্জামান খান রিনো।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক হোসেন সরকার ভোট পেয়েছেন ১০৫ (আ. লীগ সমর্থিত)।

১২৬ ভোট পেয়ে জামায়াত সমর্থিত আনিছুর রহমান আজাদ লাইব্রেরি সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আলপনা রানী রায় রেখা ভোট পেয়েছেন ৮৪ (আ. লীগ সমর্থিত)।

১৩২ ভোট পেয়ে ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত মো. হুজুর আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ. লীগ সমর্থিত হৃদয় চন্দ্র শর্মা ভোট পেয়েছেন ৮২টি।

সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলে। গণনা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নীলফামারী আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. আবু আহমেদ নুরুল জাকী।

নীলফামারী আইনজীবী সমিতির ২২১ জন ভোটারের মধ্যে ২১৬ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ক্ষোভে উত্তাল কক্সবাজার

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ক্ষোভে উত্তাল কক্সবাজার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল। ছবি : কালের কণ্ঠ

কক্সবাজার জেলা শহরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার পর হঠাৎ করে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল বের হয়। ১৫ থেকে ১৬ জনের এই মিছিলের কারো ছিল মুখ খোলা আবার কারো মুখ ছিল মাস্ক দিয়ে ঢাকা।

সামনে ব্যানার নিয়ে তারা প্রধান সড়কের ঝাউতলার মোড় পর্যন্ত গিয়ে উধাও হয়ে যায়। মিছিলে নানা স্লোগান দেন তারা।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার শহরে আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাস্তায় নামে ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরও।

একসঙ্গে চলে বিক্ষোভ মিছিল।

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে কক্সবাজার। এ সময় ছাত্রনেতারা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোকে হুঁশিয়ার করে দেন।

শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় সংক্ষিপ্ত পথসভা করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় ছাত্র প্রতিনিধি শাহেদ বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমরা ছাত্রলীগকে বলেছিলাম “দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইও না”।

তাই হয়তো তার টুস করে দেখা দিতে এসে আবারও টুস করে গর্তে মিলিয়ে গেছে।’

জেলা ছাত্রদল নেতা ফাহিমুর রহমান বলেন, ‘শান্ত কক্সবাজারকে অশান্ত করার পায়তারা করছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। আওয়ামী লীগের এই পায়তারা কক্সবাজারবাসী যে কোন মূল্যে রুখে দেবে।’

ছাত্রলীগের মিছিলের কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। যা কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের লালদিঘি পাড়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুর রহীম নূরী বলেন, ‘এখনো আমাদের শরীরের রক্ত গরম হয়নি।’

শিবির নেতা বলেন, ‘যে দিন রক্ত গরম হবে সে দিন এই কক্সবাজার থেকে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।’

তিনি ঝটিকা মিছিলের সাথে জড়িত সকলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ