ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় রংপুরে ছাত্রলীগ নেতা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় রংপুরে ছাত্রলীগ নেতা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত মুন্না হত্যা মামলায় রংপুর জেলা ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন হোসেনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার একটি চৌকস দল নগরীর বাবু পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।  তিনি স্টেশন বাবু পাড়ার মৃত দুলাল মিঞার ছেলে। তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আল আমিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গেল ১৯ জুলাই পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত মুন্না হত্যা এবং গুলিতে আহত বিএনপি নেতা মামুন হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ছাত্র আন্দোলন দমাতে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আল আমিন।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, হত্যা মামলার আসামি এবং অপরাধীরা যেখানেই আছে। সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লোহাগাড়ায় ধর্ষণের আসামি বন্দুক ও কার্তুজসহ গ্রেপ্তার

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
লোহাগাড়ায় ধর্ষণের আসামি বন্দুক ও কার্তুজসহ গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক ও ৬ রাউন্ড কার্তুজসহ মো. রিপন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রিপন লোহাগাড়া থানাধীন আধুনগর ইউনিয়নের গর্জনিয়া পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগাড়া থানার এসআই মো. শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লোহাগাড়া থানাধীন আধুনগর ইউনিয়নের গর্জনিয়া পাড়ার মো. রিপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার পরবর্তী থানায় জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেপ্তার রিপন লোহাগাড়ায় রুজুকৃত একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি।

জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ভিকটিম শিশুকে মামলার আসামি মো. রিপনের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা দুজনসহ অপহরণ করে গর্জনিয়াপাড়াস্থ রিপনের বসতঘরে নিয়ে যায়। আসামি রিপন অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগীতায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং মারধর করে মর্মে লোহাগাড়া থানায় রুজুকৃত মামলায় বাদী উল্লেখ করেন। মামলায় আরো উল্লেখ করেন, ধর্ষণ এবং মারধর পরবর্তী ভিকটিমকে লোহাগাড়া থানাধীন সাউন্ড হেল্থ হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।

লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় তাকে আটক করা হয়েছে।

জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন অভিযান আরো বেগবান করা হবে।

মন্তব্য

নাফ নদী থেকে নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল ‘আরাকান আর্মি’

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
নাফ নদী থেকে নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল ‘আরাকান আর্মি’
সংগৃহীত ছবি

মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবার ধরে নিয়ে গেছে বাংলাদেশি ৪ জেলেসহ একটি মাছ ধরার নৌকা। কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর মোহনা সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের ধরে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের নাফ নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এইচ এম সারতাজ বিন সোহরাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান (৩০), আব্দুর রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মো. হাসান (১৬)।

কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা জানান, ‘মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান চার জেলেসহ তার মালিকানাধীন ট্রলার নিয়ে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যায়। একপর্যায়ে মিয়ানমারের দিক থেকে একটি স্পিডবোটে করে আসা আরাকান আর্মি অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারটি ঘিরে ফেলে।

আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা জেলেদেরসহ ট্রলারটি মিয়ানমার অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর 
অপহৃতদের উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি নাফ নদীতে কোস্টগার্ড নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বলে জানান, কোস্টগার্ডের এ স্টেশন কমান্ডার।

এ ব্যাপারে টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সকালে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা চালাচ্ছেন।’

তিনি আরো জানান, মায়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে সীমান্তের ওপারে অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে।

এতে ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির লোকজনই বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে থাকতে পারে।’

এ ঘটনার পর বিজিবি ও কোস্টগার্ড নাফ নদী সীমান্তে নিরাপত্তার পাশাপাশি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।

মন্তব্য

অপারেশন ডেভিল হান্ট : বরিশালে আ. লীগের ১৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বরিশাল অফিস
বরিশাল অফিস
শেয়ার
অপারেশন ডেভিল হান্ট : বরিশালে আ. লীগের ১৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ বরিশালে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল নগরীর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫ জন ও বরিশাল জেলা পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বিভিন্ন মামলার আসামি।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ইমদাদুল হক জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যেকোনো নাশকতা এড়াতে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত গত দুই দিনে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীতেও অভিযান চলবে।

অন্যদিকে বরিশাল জেলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দিনভর বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন। গ্রেপ্তার সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। 

এদিকে যৌথবাহিনীর অংশ পুলিশের স্থায়ী টহলচৌকি নগরীর শশ্মাণ ঘাটের পুলের চেকপোষ্ট এ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলেন, তারা সন্দেহ হলেই তল্লাসী চালাচ্ছেন, যাতে করে কোন অপরাধী পাড় পেয়ে না যায়।

তাদের এই অভিযানে সাধারণ মানুষ সহায়তা করছে। 

মন্তব্য

শেখ হাসিনা দেশ অস্থিতিশীল করলে দায় ভারতের : মামুনুল হক

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা প্রতিনিধি
শেয়ার
শেখ হাসিনা দেশ অস্থিতিশীল করলে দায় ভারতের : মামুনুল হক
বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক। ছবি: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত শেখ হাসিনা যদি আবারও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে তাহলে এর দায় ভারতকেও নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংগঠিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মামুনুল হক বলেন, ভারতের মাটিতে বসে ভারতের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে পলায়নকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য দিচ্ছে।

তার বক্তব্যের কারণে নতুন করে আবার বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। এর দায় শেখ হাসিনা আর তার দলের শুধু নয়, বরং রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ওপরেও বর্তায়।

সংগঠনটির পাবনা জেলার আহবায়ক মুফতি ওয়ালী উল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালউদ্দীন আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ