‘আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে’

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে’
সিলেটের বিশ্বনাথে মতবিনিময়সভায় বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী। ছবি : কালের কণ্ঠ

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত করা হয়েছে, আমরা যদি তা যথাযথভাবে পালন করতে পারি; তাহলে আমরা অনেক উন্নতি করতে পারব।’ 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ‘উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনের’ সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী বলেন, ‘আমাদের অন্যায়, অপরাধ, দুর্নীতি ও অদক্ষতাকে পেছনে ফেলে নিজেদের ভেতর দেশপ্রেম জাগ্রত করে দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভেতর পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। যারা এত দিন নিজের অবস্থান থেকে রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন, রাষ্ট্র তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।’

উপজেলা পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়, নির্বাচন কর্মকর্তা স্বর্ণালী চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমন, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সুহেল রানা প্রমুখ।

এর আগে এদিন সকালে পৌর শহরের হজরত ওমর ফারুক (রা.) একাডেমি আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আদালতে হাজিরা দিতে এসে জেলহাজতে আইনজীবী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতে হাজিরা দিতে এসে জেলহাজতে আইনজীবী

ঝিনাইদহ জজ আদালতের সা‌বেক জিপি অ্যাড‌ভো‌কেট বিকাশ কুমার ঘোষকে ভাঙচুর ও লুটপা‌টের মামলায় জেলহাজ‌তে পাঠিয়েছেন আদালত।

জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আক্তারুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওষুধ ফার্মেসি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালত জা‌মিন নামঞ্জুর ক‌রে এই আদেশ দেন।

কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মুক্তার হোসেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন শহ‌রের আক্তার ফার্মেসিতে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

দোকানে থাকা ওষুধ সংরক্ষণের একটি ফ্রিজ, দোকানের লাগানো এসি ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়। সন্ত্রাসীরা দোকানে থাকা কর্মচারীদের মারধর করে। এসময় দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লাখ টাকা।
ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন অ্যাডভোকেট বিকাশ কুমার ঘোষ।

মন্তব্য

নিরাপত্তা জোরদারে নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল শুরু

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ প্রতিনিধি
শেয়ার
নিরাপত্তা জোরদারে নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল শুরু
ছবি: কালের কণ্ঠ

নিরাপত্তা জোরদার করতে নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। সন্দেহ হলে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সদর থানা থেকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর এই টহল শুরু করা হয়।

জানা যায়, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আজ রাত ৮টা থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যৌথ বাহিনী টহল শুরু করেছে।

এসময় বিভিন্ন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাস থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই ও তল্লাশি করা হয়। এ ছাড়াও সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি রোধে আমরা সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন উপজেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছি। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যৌথ টহল অভিযান শুরু করা হয়েছে।

মানুষ যাতে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, নওগাঁ ধান-চালের জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রাকে করে ধান-চাল বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ সময় কেউ অনিরাপদ মনে করলে, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদেরকে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

মন্তব্য

কেরানীগঞ্জে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, নেপথ্যে কী?

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কেরানীগঞ্জে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, নেপথ্যে কী?
আটক অভিযুক্ত ইমাম হোসেন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সীমা আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আমবাগিচা বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷

অভিযুক্ত ইমাম হাসানকে (২০) এলাকাবাসী পিটিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। ইমাম হাসানের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। সীমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর এলাকায়।

ইমাম হাসানের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ইমাম আমবাগিচা বৌ বাজার এলাকায় ভাড়া থাকেন। আর সীমা আগানগর ছোট মসজিদ এলাকায় ভাড়া থাকেন। পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে আজ সন্ধ্যায় সীমা ইমামের ভাড়া বাড়িতে দেখা করতে আসেন।

এ সময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমাম হোসেন তার ঘরে থাকা দা দিয়ে সীমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। সীমা চিৎকারে আশপাশের লোকজন ইমামকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ সীমাতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী আক্তার হোসেন ঘটনাটি ছিনতাই বলে চালানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী সিমা আমার মেয়েকে নিয়ে কোচিং থেকে আমবাগিচা বাড়িতে ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা আমার স্ত্রীর কানের দুল ও তার সাথে থাকা নগদ দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

রাজশাহীতে অবরুদ্ধ ৪ সমন্বয়ককে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
রাজশাহীতে অবরুদ্ধ ৪ সমন্বয়ককে উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

রাজশাহীর বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজে অবরুদ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ চারজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। 

উদ্ধাররা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জি কে এম মেশকাত চৌধুরী মিশু, সংগঠনের জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক সোহাগ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল বারী ও ছাত্রনেতা আল-সাকিব। মিশু ও সাকিব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

আব্দুল বারী ও সোহাগ পড়াশোনা করেন রাজশাহী কলেজে।

বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মালিক আওয়ামী সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আত্মগোপনের আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বাবা মো. শামসুদ্দিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বেলাল উদ্দীন বলেন, ‘এই চারজন গতকাল এসে আমাদের সচিবের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছিলেন। আজ আমার সঙ্গে বসার কথা ছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে না বসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কক্ষে যান।

তারা বিভিন্ন কথাবার্তা বলছিলেন। এখন আমাদের কলেজে তো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আছে। তারা এসবের প্রতিবাদ করেন।’

অধ্যক্ষ জানান, তার কলেজে অনুষ্ঠান চলছে। তাই আগে থেকেই পুলিশ ছিল।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। পরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কুইক রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যরা আসেন। তারা চারজনকে থানায় নিয়ে যান।

সন্ধ্যায় ওই চার ছাত্রনেতাকে নগরের চন্দ্রিমা থানা থেকে অন্য ছাত্রনেতাদের জিম্মায় দেওয়া হয়। আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাই ছাত্রনেতাদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

মিশু একটি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেশের ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজ থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ আসতে থাকে। সেখানে শাহরিয়ার আলমের বাবার আশ্রয়ে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্মরত রয়েছেন।'

তিনি আরো বলেন, ‘চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে আমরা সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যাই। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত সচিব ভারপ্রাপ্ত তাজুল ইসলাম রনির সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় বসি। আলোচনার একপর্যায়ে সেখানে কর্মরত বেশ কয়েকজন অফিস স্টাফ (যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত) এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ঢুকে পড়েন এবং বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। এরমধ্যে রুম ও প্রতিষ্ঠানটির বাইরে মব তৈরি করে আমাদের আটকে ফেলা হয় এবং ইচ্ছেকৃতভাবে চাঁদাবাজ বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।’

মিশু বলেন, ‘এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি। এবং অনতিবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।'

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ