‘দেশের পিতা যদি বলতে হয়, তাহলে শহীদ জিয়াউর রহমানকে বলতে হবে’

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘দেশের পিতা যদি বলতে হয়, তাহলে শহীদ জিয়াউর রহমানকে বলতে হবে’
সমাবেশ বক্তব্য রাখছেন বরিশাল জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. ছাইফুল ইসলাম। ছবি : কালের কণ্ঠ

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তির লক্ষ্যে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় শ্রমিকদলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরে ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমি মাঠে এই সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আগৈলঝাড়া উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মো. আল সজল আলাল। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা শ্রমিকদল সাধারণ সম্পাদক শিকদার মো. লিটন।

সমাবেশে প্রধানবক্তা ছিলেন বরিশাল জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. ছাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশের পিতা যদি বলতে হয়, তাহলে শহীদ জিয়াউর রহমানকে বলতে হবে। কারণ, তিনি দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছেন। শহীদ জিয়া বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেছেন।

শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তান কারাগারে বন্দি ছিলেন। জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে তাকে (শেখ মুজিবুর রহমান) উদ্ধার করেছেন।’  

মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

দেশে ১২ কোটি ভোটার, তার ভেতর ৭ কোটি ভোটার শ্রমিক।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে দেশে পুনর্বাসন করতে দেওয়া যাবে না।’

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা শ্রমিক দল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আ. হক ফরাজী। বিশেষ অতিথি জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. ছাইফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন লাল্টু প্রমুখ।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পলিটেকনিকের শিক্ষককে ধরে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
পলিটেকনিকের শিক্ষককে ধরে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গঠিত সাইবার সিকিউরিটি কমিটির সদস্য শিক্ষক মো. সোবহানকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।

সোবহান লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে (অস্থায়ী) কর্মরত। তিনি আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত।

 

জানা গেছে, জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৯ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। এর নাম দেওয়া হয় সাইবার সিকিউরিটি কমিটি। এতে মো. সোবহান সদস্য ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যায়।

হঠাৎ করে তাকে লক্ষ্মীপুরে দেখা যায়। এতে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

তবে শিক্ষক মো. সোবহান দাবি করেছেন, তিনি কখনো ছাত্রদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিরোধীতা করেননি। কাউকে কখনো হয়রানি করা হয়নি।

তিনি কোনো রাজনৈতিক দল করেন না।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সোবহান নামে একজনকে শিক্ষার্থীরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। তিনি আটক রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ওয়েব সাইট, ফেসবুক পেজ ও শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ/পেজ নজরদারি করা এবং উস্কানিমূলক পোস্ট প্রদান করা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের সমন্বয়ে সাইবার সিকিউরিটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে সোবহান ছাড়া অন্যরা হলেন- আহবায়ক চীফ ইন্সট্রাক্টর (নন টেক) আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব ইন্সট্রাক্টর (টেক/কম্পিউটার) খালেদ হোসেন, সদস্য ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (টেক/কম্পিউটার) মারুফ হোসেন, ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (টেক/ইলেক্ট্রিকাল) রিয়াজ হায়দার পাবেল, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক-ইলেক্ট্রনিক্স) কাকন চন্দ্র দাস ও জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) মোশাররফ হোসেন।

মন্তব্য
মাগুরার সেই শিশুটির মা

নড়াচড়া করছে না, আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নড়াচড়া করছে না, আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি
প্রতীকী ছবি

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির মা জানিয়েছেন, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন তাঁর মেয়ে নড়াচড়া করছে না। মেয়েটির অবস্থা সংকটাপন্ন। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।  

শিশুটির মা  বলেন, ‘আজও সে নড়াচড়া করছে না।

তাকে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। সবার কাছে দোয়া চাই।’ এ সময় ধর্ষণে জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।

এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের মামলার তিন আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

গতকাল মাগুরা কারাগার থেকে তিনজনকে ঢাকার মালিবাগে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য ফরেনসিক বিভাগ নমুনা সংগ্রহ করে। 

মন্তব্য

সিলেটে মাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
সিলেটে মাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ রাকিব মিয়া

সিলেটে মাজার এলাকা থেকে তরুণীকে (২৫) তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ভোরে সিলেট শহরতলীর খাদিম চা বাগানের ছড়াগাঙ নামক স্থানে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন- সিলেট শহরতলীর শাহপরান থানা এলাকার উত্তর মোকামের গোল পীরের বাজারের হাসেম মিয়ার ছেলে ও লেগুনা চালক আব্দুর রহিম এবং শাহপরান থানাধীন দলুইপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাকিব মিয়া (২৫)।

ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছেন। 

জানা গেছে, মাজার ভক্ত ওই নারীর হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারে দুই তিন দিন ধরে অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর তার সঙ্গে দেখা হয় অভিযুক্ত আব্দুর রহিম ও রাকিব মিয়া।

তারা তাকে সেখান থেকে লেগুনায় তুলে সিলেট শহরতলীর খাদিম চা বাগানের ছড়াগাঙ এলাকায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে ওই নারী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সারাদিন অভিযান চালিয়ে লেগুনার সূত্র ধরে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সারা দিন ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়ার পর লেগুনা গাড়ির সূত্র ধরে অভিযুক্ত দুজনকে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়।

’ হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার এলাকা থেকে তাকে নিয়ে ছড়াগাঙ এলাকায় ধর্ষণ করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছে।’ 

মন্তব্য

অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় কুলাউড়ায় নারী-শিশুসহ আটক ৭

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় কুলাউড়ায় নারী-শিশুসহ আটক ৭
সংগৃহীত ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে শিশুসহ ৭ বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের পালবাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।

আটককৃতরা হলেন- কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সুদামা রবি দাস, বরমচাল ইউনিয়নের বাসিন্দা শ্রী রাম দাস কানু, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর চা বাগানের বাসিন্দা বিনা কানু, তার শিশুকন্যা রিথিকা কানু, অনু কানু, তনু কানু ও তিন্নি কানু।

৪৬ বিজিবির শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের সময় কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পালবাড়ি এলাকা দিয়ে মানবপাচারকারী আলাল মিয়া, আমির হামজা ও সানোয়ার হোসেন আটক ৭ জনকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লালারচক বিজিবির সদস্যরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পালবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৭ জনকে আটক করে।

তিনি আরো বলেন, অভিযানকালে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে মানবপাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আটককৃতদের কাছে বিজিবির সদস্যরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা ভারতে যাওয়ার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের আটক করে রাতেই কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ