নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে (নগই) চতুর্থ শ্রেণির ১০টি পদে লোকবল নিয়োগে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নদী গবেষণার মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দেন বঞ্চিত প্রার্থীরা। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে বলে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দাবি করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি।

ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (নগই) সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে চতুর্থ শ্রেণির ১০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পরে সরকারি নিয়োগে কোটা সংস্কার হলে ওই বছরের ৩০ জুলাই ওই সব পদে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে ভাণ্ডার রক্ষক, অডিট সহকারী, কংক্রিট টেকনেশিয়ান, টেলিফোন অপারেটর, মেকানিক, কাঠমিস্ত্রি, ডার্করুম সহকারী, গবেষণাগার বেয়ারার, অফিস সহায়ক পদে একজন করে এবং পাম্পচালক পদে দুজন উল্লেখ করা হয়। সব পদে সারা দেশ থেকে দুই হাজারের অধিক প্রার্থী আবেদন করেন। 

নিয়োগ বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি ৭০ মার্কের লিখিত ও প্রিলি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর পাম্পচালক পদে ১০ জন, গবেষণাগার বেয়ারার পদে ছয়জন, ডার্করুম সহকারী পদে চারজন, কাঠমিস্ত্রি পদে একজন এবং বাকি পদে পাঁচজন করে মোট ৫১ জনকে সুপারিশকৃত প্রার্থী হিসেবে ফল প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। ২১ জানুয়ারি ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ৫১ জনকে ডেকে সকাল ১০টায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ওইদিনই উপপরিচালক মো. আবুল এহছান মিয়া স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। 

বঞ্চিত প্রার্থীদের অভিযোগ সূত্র জানায়, সব পদে আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে একটি সিন্ডিকেট এবং গোপনে পরীক্ষার আগে নিয়োগ পাওয়াদের প্রশ্নপত্রসহ উত্তর জানিয়ে দেওয়া হয়।

আর এতেই লোক দেখানো নিয়োগে তাদেরকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

পূর্বেই প্রশ্নপত্রসহ উত্তর জানিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা। 

অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আটচর নওপাড়া এলাকার মো. ইব্রাহিম লিংকন, ফরিদপুর জেলার রহিজ আহমেদ, রাজবাড়ীর মৃত্যুঞ্জয় এবং বরিশালের অনুপ হালদার। তারা প্রত্যেকেই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অফিস সহায়ক পদে সীমা মালো, পাম্পচালক পদে হামিদুর রহমান নবী, টেলিফোন অপারেটর পদে বন্যা বিশ্বাসের সঙ্গে ওই দপ্তর এবং বাইরের একাধিক ব্যক্তি তাদের ডেকে নিয়ে গোপনে কথা বলে।

মৌখিক পরীক্ষায় সকাল ১০টায় উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টায় সীমা মালো উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করেন এবং তার সঙ্গে অপরিচিত একাধিক ব্যক্তি বারবার যোগাযোগ করে। এ ছাড়া অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী সীমাকে বারবার বাইরে ডেকে নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়, যা অন্যান্য প্রার্থীদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করা হয়।

জানা যায়, সীমা মালোর স্বামী সম্রাট সরকার ছয় বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রজেক্টে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছেন। লিখিত পরীক্ষায় কম মার্ক পেলেও তাকে মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত করা হয় বলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতিও জানান (রেকর্ড সংরক্ষিত)।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর-পরিদপ্তরে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে মৌখিক পরীক্ষার প্রত্যেক প্রার্থীর সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা রাখা হয়। কিন্তু উক্ত মৌখিক পরীক্ষায় কোনো সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা রাখা হয়নি। কৌশলে পাম্পচালক পদের প্রার্থী হামিদুল ইসলাম নবী সত্যায়িত ছায়ালিপি ভবনে ফেলে রেখে যায়। তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া এই প্রার্থীর সঙ্গে এক ব্যক্তি এসে কৌশলে কাগজপত্র গ্রহণ করেন এবং ওই ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা যায়।

টেলিফোন অপারেটর পদে সুপারিশকৃত প্রার্থী বন্যা বিশ্বাস মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর থেকে সম্পন্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার সঙ্গে অপরিচিত একাধিক ব্যক্তির কথা বলতে দেখা যায়। যার প্রতিটি দৃশ্য ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে বেরিয়ে আসবে বলে প্রার্থীরা জানান।

বঞ্চিত প্রার্থী ময়মনসিংহ জেলার ইব্রাহিম লিংকন বলেন, 'আমি ময়মনসিংহ জেলা থেকে ফরিদপুরে ছুটে গিয়েছিলাম অনেক আশা নিয়ে। আমার মতো অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে। কিন্তু এই নিয়োগ ছিল সম্পন্ন সাজানো নাটক, আমাদের ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তা জানান, এই নিয়োগের অবৈধ লেনদেনের কলকাঠি নেড়েছেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পিন্টু কানুনগোয়। যারা টাকা দিয়েছে তাদের চাকরি হয়েছে। সীমাকে উনি নিজে পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ও উত্তর পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে নদী গবেষণার পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পিন্টু কানুনগোয় বলেন, সম্পন্ন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। লিখিত পরীক্ষার একঘণ্টা পূর্বে প্রশ্নপত্র ছাপা হয়। যা কোনোভাবেই প্রার্থীদের দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, একটি পদের বিপরীতে পাঁচজন করে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। নিয়োগে যারা বাদ পড়েছে তারা এখন মিথ্যা অভিযোগ করছে।

নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নগই) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) এস এম আবু হোরায়রা বলেন, অভিযোগকারীরা জিআরএসের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে জানানো হলে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। যথাযথ নিয়ম মেনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি।  

নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) পিন্টু কানুনগোয়। তার সঙ্গে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক পোদ্দার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাসুম রেজা, ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. হাশমত আলী খান ও প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক মো. আবুল এহছান মিঞা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চট্টগ্রাম

ছিনতাইকারীর কবলে সেলস অফিসার, অতঃপর...

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
ছিনতাইকারীর কবলে সেলস অফিসার, অতঃপর...
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকায় আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেলস অফিসার গাফ্ফার হোসেন (৩০) ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পটিয়া পৌর এলাকার বৈলতলী সড়কের দানবাক্স এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

গাফফারের অভিযোগ, ঘটনার সময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।

গাফ্ফার হোসেন বলেন, ‘রাতে কম্পানির টাকা তুলে দোকানিদের কাছ থেকে পটিয়া অফিসে ফেরার পথে বৈলতলী সড়কের দানবাক্স এলাকায় সড়কের পাশে প্রস্রাব করতে বসলে ছিনতাইকারীরা পেছন থেকে এসে আমার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে।

এরপর আমি সড়কে অজ্ঞান হয়ে যায়।’

গাফফার রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার শফিপুর এলাকার বাসিন্দা। চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে পটিয়া পৌর এলাকায় থাকেন তিনি।

তাকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সেলিম।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, ‘এ ঘটনাটি আসলে ছিনতাই নাকি অন্য কোনো কারণে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

আবু সাঈদের রক্তমাখা জামাসহ আলামত জব্দের অনুমতি পেল ট্রাইব্যুনাল

বাসস
বাসস
শেয়ার
আবু সাঈদের রক্তমাখা জামাসহ আলামত জব্দের অনুমতি পেল ট্রাইব্যুনাল
শহীদ আবু সাঈদ। সংগৃহীত ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে থাকা আলামত জব্দের অনুমতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট আমলি আদালতের বিচারক রাশেদ হোসাইন এ আদেশ দেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন এ আবেদন করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার এসএম মইনুল করিম।

ব্যারিস্টার মইনুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রংপুরে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের জিম্মায় আগের মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে আলামতগুলো আছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় জব্দের অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

তিনি জানান, এর আগে এ হত্যা মামলায় রংপুরে এসে সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল। আলামত জব্দের অনুমতির মাধ্যমে মামলার তদন্তে আরেক ধাপ অগ্রগতি হলো। প্রয়োজনে জব্দকৃত আলামতের ফরেনসিক পরীক্ষা করে শিগগিরই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হবে।

আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, ‘শুনানিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আলামত জব্দের আবেদনের পক্ষে তারা বলেছেন।

এর মাধ্যমে এ মামলার তদন্ত গতি পাবে।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে আবু সাইদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরদিন তাজহাট থানায় মামলা করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। এরপর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালানোর পরে ১৮ আগস্ট পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনের অজ্ঞাতনামা আসামির উল্লেখ করে মামলা করেন শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই মো. রমজান আলী। পরে তিনি সম্পূরক এজাহারে আরো সাতজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন।

মামলা দুটির তদন্ত করছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন।

কিন্তু মামলার তদন্তে অগ্রগতি না থাকায় বাদী অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন।

মন্তব্য

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার তরুণী
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে কুমিল্লা থেকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে দুই দফা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১২ মার্চ) রাতে ৭জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই তরুণী।
 
অভিযুক্ত ফরিদ পালোয়ান (২৫) কালীগঞ্জের মুক্তারপুর হরিদেবপুরের গ্রামের মৃত মিয়ার উদ্দিন পালোয়ানের ছেলে। 

আরো পড়ুন
বেরোবিতে শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

বেরোবিতে শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

 

মামলার বরাত দিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেন, ওই তরুণীর (২৪) সঙ্গে ফরিদের এক বছর আগে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সম্প্রতি প্রেমিক ফরিদ প্রেমিকাকে সামনাসামনি দেখার বায়না ধরেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তরুণী কুমিল্লা থেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে দেখা করতে আসেন। ফরিদ তাকে রিসিভ করে সারা দিন মোটারসাইকেলে ঘোরাঘুরি শেষে মেয়েটিকে নিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন এবং ধর্ষণ করেন। ১০ মার্চের মধ্যে বিয়ের করার আশ্বাস দিয়ে পরদিন তরুণীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
৯ মার্চ তরুণীকে ঢাকায় আসতে বলেন ফরিদ। তিনি যাত্রী আসার পর ফরিদ তাকে একটি বাসায় নিয়ে বন্ধুদে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েলে তাকে দাড় করিয়ে রেখে ওষুধ আনা কথা বলে ভেগে যায় ফরিদ। ঠিকানা সংগ্রহ করে কারীগঞ্জের বাড়িতে আসলে ফরিদের মা ও বোন মিলে ভুক্তভোগীকে মারধর করেন।
 

ওসি আরো বলেন, অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চাঁদা না দেওয়ায় আ. লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-লুটপাট, স্বেচ্ছাসেবক নেতা বহিষ্কার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
চাঁদা না দেওয়ায় আ. লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-লুটপাট, স্বেচ্ছাসেবক নেতা বহিষ্কার
সংগৃহীত ছবি

চাঁদা না দেওয়ায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন মুফাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান খান মুন্না বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুন্না জানান, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন মুফাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দলীয়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

এই ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড যার বিরুদ্ধেই প্রমাণিত হবে, তাকেই বহিষ্কার করা হবে বলে তিনি জানান।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ