<p style="text-align:justify">১৫ বছর আগে পটুয়াখালীর দুমকীতে আওয়ামী লীগ নেতা ও আজিজ আহম্মেদ কলেজের প্রভাষক ফরিদ আহমেদের স্ত্রী নাহিদ আক্তার লিটি জাল সনদে চাকরি নিয়েছিলেন। সাত বছর পর জাল সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তাকে সরানো যায়নি। পরে স্বেচ্ছায় ২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। অবৈধভাবে চাকরি নেওয়ার পর এখনো আত্মসাতের (মাসিক বেতন) টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি তিনি। </p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, নাহিদ আক্তার লিটি ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া বশিরিয়া ফাজিল মাদরাসায় সহকারি শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে আবেদন করেন। ২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বরে বাছাই কমিটি ও ২৩ ডিসেম্বরে কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়োগপত্র ইস্যু করলে ওই দিনই (২৩ ডিসেম্বর) তিনি যোগদান করেন। ২০১০ সালের ১ নভেম্বর এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন ভাতা পেতে থাকেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল পরিদর্শন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দেব দুলাল ভট্টাচার্য এবং শিক্ষা পরিদর্শক মো. আবদুস সালাম সরেজমিন মাদরাসা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করলে ওই শিক্ষকের এনটিআরসির সনদটি যাচাই বাছাইয়ের জন্য এনটিআরসিতে পাঠানো হলে  ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ও ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ সালে সনদটি সঠিক নয় (উত্তীর্ণ রোলধারী অন্য ব্যক্তি) মর্মে পত্র ইস্যু করা হয়। ওই সনদধারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ম্যাটস শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/02/09/1739117423-8df7b73a7820f4aef47864f2a6c5fccf.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ম্যাটস শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2025/02/09/1478914" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">দীর্ঘ সময় পরে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন নাহিদ আক্তার লিটি। অভিযুক্ত নাহিদ আক্তার লিটি অবৈধ ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪১৩ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পত্র দাখিল করার নির্দেশ দেন সাবেক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাদের। </p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, নাহিদ আক্তার লিটির স্বামী উপজেলার  আজিজ আহম্মেদ কলেজের এইচএসসি (বিএমটি) শাখার হিসাবরক্ষণ বিষয়ের প্রভাষক ও মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া জাল সনদে চাকরি দেন তার স্ত্রী নাহিদ আক্তার লিটিকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জাতীয় নাগরিক কমিটির ৭৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটি গঠন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/02/09/1739117214-da1e6dbeac98c3fd05cb31634ee5da28.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জাতীয় নাগরিক কমিটির ৭৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটি গঠন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/02/09/1478912" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">উত্তর মুরাদিয়া বশিরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রব জানান, গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন করে আত্মসাতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নাহিদ আক্তার লিটিকে পত্র পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী ফরিদ আহমেদের সাথে সালামপুর আমিনিনিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ যোগাযোগ করেছেন। তিনি কিছু দিন সময় চেয়েছেন। টাকা জমা না দিলে প্রাতিষ্ঠানিক মামলা দায়ের করা হবে। </p> <p style="text-align:justify">আজিজ আহম্মেদ কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি (এডহক) নাসরিন জাহান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ফরিদ আহমেদ প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে থাকা মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়েছেন। কলেজের শিক্ষক- কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন।  এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা অভিযোগ দাখিল করছেন। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।</p>