কোটালীপাড়ায় চতুর্থ শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণ, মামলা

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
কোটালীপাড়ায় চতুর্থ শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণ, মামলা
ছবি: কালের কণ্ঠ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের মাচারতারা গ্রামের সুরেশ পান্ডের ছেলে শংকর পান্ডে (২৭) একই গ্রামের পাশের বাড়ির এক দিনমজুরের ঘরে ঢুকে তার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর চিৎকারে ওই দিনমজুরের স্ত্রী এগিয়ে এলে  শংকর পান্ডে পালিয়ে যায়।

ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। ঘটনার পর থেকে ছাত্রীটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

শিশুটির মা বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে স্বামীর সঙ্গে আমি বাড়ির পাশের কৃষি জমিতে কাজ করছিলাম। আমার অন্য সন্তানেরা পাশের বাড়িতে খেলা করছিল।

এ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় ৯ বছর বয়সী আমার বড় সন্তান একা বাড়িতে ছিল। এ সুযোগে পাশের বাড়ির শংকর পান্ডে ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আমি গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করি। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে কোটালীপাড়া থানাকে এফআইআর করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

এই মামলা করার পর থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য শংকরের পরিবার থেকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য শংকরের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই সুরঞ্জন পান্ডে বলেন, শংকর কোথায় আছে তা আমার জানা নেই। ধর্ষণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন প্রকার জবাব দিয়ে রাজি হয়নি।

কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুন বলেন, আমরা এখনও আদালতের মামলার কপি পাইনি।

মামলার কপি পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার তরুণী
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে কুমিল্লা থেকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে দুই দফা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১২ মার্চ) রাতে ৭জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই তরুণী।
 
অভিযুক্ত ফরিদ পালোয়ান (২৫) কালীগঞ্জের মুক্তারপুর হরিদেবপুরের গ্রামের মৃত মিয়ার উদ্দিন পালোয়ানের ছেলে। 

আরো পড়ুন
বেরোবিতে শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

বেরোবিতে শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

 

মামলার বরাত দিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেন, ওই তরুণীর (২৪) সঙ্গে ফরিদের এক বছর আগে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সম্প্রতি প্রেমিক ফরিদ প্রেমিকাকে সামনাসামনি দেখার বায়না ধরেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তরুণী কুমিল্লা থেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে দেখা করতে আসেন। ফরিদ তাকে রিসিভ করে সারা দিন মোটারসাইকেলে ঘোরাঘুরি শেষে মেয়েটিকে নিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন এবং ধর্ষণ করেন। ১০ মার্চের মধ্যে বিয়ের করার আশ্বাস দিয়ে পরদিন তরুণীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
৯ মার্চ তরুণীকে ঢাকায় আসতে বলেন ফরিদ। তিনি যাত্রী আসার পর ফরিদ তাকে একটি বাসায় নিয়ে বন্ধুদে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েলে তাকে দাড় করিয়ে রেখে ওষুধ আনা কথা বলে ভেগে যায় ফরিদ। ঠিকানা সংগ্রহ করে কারীগঞ্জের বাড়িতে আসলে ফরিদের মা ও বোন মিলে ভুক্তভোগীকে মারধর করেন।
 

ওসি আরো বলেন, অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চাঁদা না দেওয়ায় আ. লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-লুটপাট, স্বেচ্ছাসেবক নেতা বহিষ্কার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
চাঁদা না দেওয়ায় আ. লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-লুটপাট, স্বেচ্ছাসেবক নেতা বহিষ্কার
সংগৃহীত ছবি

চাঁদা না দেওয়ায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন মুফাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান খান মুন্না বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুন্না জানান, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন মুফাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দলীয়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

এই ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড যার বিরুদ্ধেই প্রমাণিত হবে, তাকেই বহিষ্কার করা হবে বলে তিনি জানান।
 

মন্তব্য

হালদা নদীতে অভিযান, ২ যুবকের ইটপাটকেল নিক্ষেপ

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
হালদা নদীতে অভিযান, ২ যুবকের ইটপাটকেল নিক্ষেপ
সংগৃহীত ছবি

হালদা নদীতে রামদাস মুন্সির হাট থেকে পেশকার হাট ও কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এতে আটককৃত প্রায় ২ হাজার মিটার ঘেরা জাল পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য দপ্তর রাউজান ও হালদা অস্থায়ী ফাঁড়ির নৌ পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এতে আইন অমান্য করে মাছ শিকারের প্রাক্কালে জসিম নামের একজনকে আটক করে মোবাইল কোর্টে ৩০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। 

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের প্রসিকিউশনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা। তারা জানান, নষ্টকৃত জালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা। 

তারা আরো জানান, উরকিরচরের সওদাগর পাড়ায় অভিযানকালে জাল উঠাতে গেলে স্পিডবোট লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুই যুবক।

বৃহস্পতিবার ইটপাটকেল নিক্ষেপকারী মো. আরাফাত, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ না করার শর্তে মুচলেকা দিয়েছেন। হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ জাতীয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে অভিযানকারীরা জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
শেয়ার
মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি এবং বিএসএফ কমান্ডার পর্যায়ে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা সীমান্তের জিরো লাইনে পায়ে হেঁটে সীমান্ত পরিদর্শন করেন এবং এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাঠিলা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ৫৮ বিজিবি এবং ৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহেশপুর ব্যাটালিনের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল আলম পিএসসি ও স্টাফ অফিসারসহ ১০ জন এবং প্রতিপক্ষ ৫৯ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কম্যান্ড্যান্ট শৈলেশ কুমার ও স্টাফ অফিসারসহ ১০ জন অংশগ্রহণ করেন।

বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, মানব পাচার রোধ, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ অন্যান্য সীমান্ত সর্ম্পকিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আরও জানা যায়, বৈঠকের সময় বিজিবি এবং বিএসএফ সদস্যরা পারস্পরিক সৌহার্দ্য প্রদর্শন করেন এবং সীমান্তের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত উন্নত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানোর বিষয়েও একমত হন।

এ ধরনের সৌজন্যমুলক সাক্ষাৎ উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং সীমান্তবর্তী জনগণের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে।

আলোচনা শেষে উভয় ব্যটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত পিলারের জিরো লাইন ধরে ২.৫ কিলোমাটার পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ