ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা আটক, মুচলেকায় মুক্তি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা আটক, মুচলেকায় মুক্তি
তরিকুল ইসলাম পিয়াস।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরিবেশদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক অভিযানে বাধা দিয়ে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে পাগলা আলীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রনেতার নাম তরিকুল ইসলাম পিয়াস। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব।

পরিবেশদূষণ রোধে পাগলায় উন্মুক্ত স্থানে ইট-বালু-সিমেন্ট ব্যবসা বন্ধে ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোরমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পাগলা ও আলীগঞ্জের আশপাশের এলাকার বায়ুমান খুবই খারাপ। পরিবেশদূষণ রোধে এ এলাকায় ইট-বালু-সিমেন্ট বিক্রির দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালীন কয়েক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়।

একপর্যায়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা উপস্থিত হন। তিনি আমাদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় পাওয়ার পরও তিনি অভিযানে বাধা সৃষ্টি করেন। আশপাশে তার পক্ষে আরো লোকজন জড়ো হলে ফতুল্লা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়।’

‘পিয়াস নামে ওই ছাত্রনেতাকে মূলত একজন ব্যবসায়ী ফোন দিয়ে আনেন। ওই ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেন তিনি’, বলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এদিকে, অভিযোগ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্যসচিব তরিকুল ইসলাম পিয়াস বলেন, ‘আমার এক বন্ধুর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন। আমাকে বন্ধু ফোন দিলে সেখানে গিয়ে তাদের কেবল পরিচয় জানতে চেয়েছিলাম।

কারণ, অনেক জায়গায়ই ভুয়া পরিচয়ে অনেকে অপরাধ করছে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। তখন এলাকাবাসী সবাই চলে আসেন। আমিও পরিস্থিতি বিবেচনায় আর কথা বাড়াইনি, থানায় যাই। থানায় আমার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধার মামলা দিতে চান তারা। পরে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে চলে আসি।’

এ ছাত্রনেতা আরো বলেন, ‘সরকারি কাজে তো আমরা বাধা দিই না, বরং সহযোগিতা করি।’

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর আহ্বায়ক মাহফুজ খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান বলেন, ‘আমরা এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। যদিও পিয়াস দাবি করেছেন, তিনি কাজে বাধা দেননি। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি, পুরো ব্যাপারটা জানার চেষ্টা করছি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কানে ধরে ওঠবস

ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন সেই নেতা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন সেই নেতা
দুই ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চাইছেন বণিক সমিতির নেতা আজিজ। হোটেল থেকে বের করে মানুষকে কানে ধরে ওঠবস করাচ্ছেন (ইনসেটে)। ছবি : সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে খাবার হোটেল থেকে বের করে বৃদ্ধসহ কয়েক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করানো বণিক সমিতির সেই নেতা ক্ষমা চেয়েছেন। এক ভিডিও বার্তায় দুই ভুক্তভোগীকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমা চান তিনি। এর আগে বুধবার লাঠি হাতে রোজা না রেখে খাওয়ার অভিযোগে কয়েকজনকে কান ধরে ওঠবস করান। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

থানা এলাকায় করা ভিডিও বার্তায় দেখা গেছে, দুই ভুক্তভোগীকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান আজিজ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া লাল চুল ও দাড়িওয়ালা বৃদ্ধকে ভিডিওতে দেখা যায়নি।

ওই ভিডিও বার্তায় আব্দুল আজিজ বলেন, কয়েকজন হোটেলে খাবার খাওয়ার জন্য ঢুকেছেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় তাৎক্ষণিক আমি গিয়ে তাদের বলেছি আপনারা কেন খাচ্ছেন।

আপনারাতো মুসলমান। আমি আসলে যে কাজটি করেছি, এটি অন্যায়, অপরাধ। এটা ধর্মীয় অনুভূতি, সেজন্য এটা আমার করা ঠিক হয়নি। এজন্য আমি তাঁদের কাছে ক্ষমা চাই।
তাঁরা যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন। আমি এ ধরণের কাজ আর কখনো করবো না। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে শহরের থানা রোড এলাকায় হিন্দুদের কয়েকটি পর্দা লাগানো খাবার হোটেলে লাঠি হাতে ঢুকে পড়েন বণিক সমিতি নেতা আজিজ। এ সময় রোজ না রাখা কয়েকজন যুবক-বৃদ্ধকে হোটেল থেকে বের করে রাস্তায় এনে তাঁদের কানে ধরে উঠবস করতে বাধ্য করেন। এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ঘটনায় সংবাদ প্রচার হয়। পরে রাতে সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে।  

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুই ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, বণিক সমিতির নেতা তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁরা আর কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না। 

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে আজিজকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে দুই ব্যক্তিকে আমরা থানায় এনেছি। তাঁরা আজিজের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দেননি। এছাড়া অভিযুক্ত নিজেও ক্ষমা চেয়েছেন। ফলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীদের কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি

অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সায়ান

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সায়ান
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু সায়ানকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধারের পর বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের তৎপরতার কারণেই দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি বলেন, ‘আমাদের টিম রাতদিন কাজ করে অবশেষে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। চুরি যাওয়ার পরপরই আমরা অভিযান শুরু করি এবং প্রযুক্তির সহায়তায় দোষীদের শনাক্ত করি।’

শিশুটিকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত পরিবার জানায়, আমরা মনে করেছিলাম, আমাদের সন্তান হয়তো আর ফিরে আসবে না।

কিন্তু পুলিশ যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছে, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।

আরো পড়ুন
গড়াই নদীর সেই কুমির আটক করল গ্রামবাসী

গড়াই নদীর সেই কুমির আটক করল গ্রামবাসী

 

প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে চুরি হওয়া আড়াই মাস বয়সী শিশুকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় গাজীপুরের বড়বাড়ি নূরুলতলা গোবিন্দগঞ্জ এলাকার শামসুদ্দিন ও তাঁর মেয়ে সোনালী আক্তারসহ (২০) চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লি মুন্সিরহাট গ্রামের শিমুলের ছেলে সায়ান ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে গত রোববার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সোমবার সোনালী আক্তার নামের এক অপরিচিত নারী সারা দিন তাঁদের পাশে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করে। পরে সন্ধ্যায় কৌশলে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। 

আরো পড়ুন
আড়াই মাসের সায়ানকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেল অজ্ঞাত নারী

আড়াই মাসের সায়ানকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেল অজ্ঞাত নারী

 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমান আরো জানান, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সোনালী আক্তার শিশুটিকে নিয়ে গাজীপুরে গেছে। পরে গাজীপুর র‍্যাব-১-এর সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। 

মন্তব্য

তিতাস নদীতে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান লাশ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
তিতাস নদীতে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান লাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর গ্রামের তিতাস নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বিকেলে জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।

নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক কালের কণ্ঠের কাছে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার নাটঘরের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদীতে দুপুরে মাছ ধরার সময় স্থানীয় জেলেরা নদীতে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে নবীনগর থানাকে বিষয়টি অবগত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী লুঙ্গি পরিহিত খালি শরীরে অর্ধগলিত ওই  মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে এটি ৩/৪ দিন আগের লাশ বলে মনে হলো।

পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়ে দেই।’

মন্তব্য

গড়াই নদীর সেই কুমির আটক করল গ্রামবাসী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
গড়াই নদীর সেই কুমির আটক করল গ্রামবাসী

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীর সেই আলোচিত কুমিরটি আটক করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (১২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার হাকিমপুর সুবিদ্দাহ গোবিন্দপুর একটি বাড়ি থেকে কুমিরটিকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সুবিদ্দাহ গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়িতে গড়াই নদী থেকে উঠে আসে কুমিরটি। তখন এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে মাছ শিকার করা জাল দিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে কুমিরটিকে।

তাদের জালে আটকা পড়ে কুমিরটি।

ওই এলাকার বাসিন্দা সোহাগ বলেন, হঠাৎ জানতে পারি আমাদের গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো চারটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমির লোকালয়ের একটি বাড়িতে উঠে এসেছে। আমরা সকলে মিলে কুমিরটিকে জাল দিয়ে আটক করেছি।

জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো কুমিরটি রাতে একটি বাড়িতে উঠে এলে স্থানীয়রা কুমিরটিকে আটক করে।

খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। খুলনা থেকে আমাদের একটি টিম ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। তারা পৌঁছে কুমিরটি উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে উপযুক্ত স্থানে অবমুক্ত করবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ