পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুজন। তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদকের জামিন শুনানির তারিখ পরিবর্তন
নিহতরা হলেন উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গ্রামের মৃত বাবু প্রামাণিকের ছেলে রাব্বি প্রামাণিক (৩০), রাব্বির স্ত্রী মুক্তা খাতুন (২৭), তাদের দুই বছর বয়সী ছেলে মুস্তাকিম।
নিহত অন্য দুজন হলেন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার রতিডাঙ্গা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে রাতুল হোসেন (৩০) এবং ঈশ্বরদীর মো. রানার ছেলে সিএনজিচালক ত্বোহা হোসেন (২৫)।
আরো পড়ুন
রোগী নিয়ে দুই ‘দালালের’ মারামারি
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর মীর আমিরুল ইসলাম ও ঈশ্বরদী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, ঈশ্বরদী বাজারে পরিবারসহ ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছিলেন নিহত রাব্বি হোসেন ও তার পরিবার।
কেনাকাটা শেষে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরতে ছিলেন। ঘটনাস্থলে নাটোর-বগুড়া সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস ভলকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজিকে মুখোমুখিভাবে আঘাত করে। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে আরো একজনের মৃত্যু হয়। প্রথমিক চিকিৎসা শেষে মো. ত্বোহা, ফরিদা বেগম ও আব্দুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজশাহী বাঘা উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছালে সিএনজি চালক মো. ত্বোহা মারা যান।
আরো পড়ুন
যৌন নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামসুদ্দিন হায়দার জানান, এ ঘটনায় নিহত ৪ জনের মরদেহ ঈশ্বরদী হাসপাতালে রয়েছে। আহত মো. মোস্তফা (২৫), ফরিদা (৫০) ও মো. ত্বোহাকে (২৫) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুনেছি পথিমধ্যে ত্বোহা নামের আরেকজন মারা গেছেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবারের লোকজন কোনো লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘাতক বাসের চালক ও হেলপার বাস রেখে পালিয়েছে।