একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ছবি : কালের কণ্ঠ

৫০ শয্যাবিশিষ্ট দিনাজপুরর বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলাবাসী। মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবার কার্যক্রম। উপজেলা থেকে জেলা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জেলা শহর দূরে হওয়ায় এখানকার মানুষের একমাত্র চিকিৎসাসেবার কেন্দ্রবিন্দু এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায়কে আবাসিক রোগীদের দেখা থেকে শুরু করে বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ সব কাজ করতে হচ্ছে। এতে প্রশাসনিক কাজে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

আরো পড়ুন
আংশিক কর্মবিরতি : টিকিট ছাড়াই মেট্রো রেলে ভ্রমণ!

আংশিক কর্মবিরতি : টিকিট ছাড়াই মেট্রো রেলে ভ্রমণ!

 

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেসংখ্যক চিকিৎসক থাকার কথা, সেই সংখ্যক চিকিৎসক নেই। মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা ১৬ জন, সেখানে রয়েছে মাত্র দুজন।

এর একজন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে, অন্যজন এক মাসের ছুটিতে রয়েছেন। এদিকে ১০ জন বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র একজন। বর্তমানে তিনি প্রেষণে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছেন। এ ছাড়া একজন ডেন্টাল সার্জন রয়েছেন।
বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার।

ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে। শত সংকটের পরেও এখানে প্রতি মাসে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন গর্ভবতী মায়ের স্বাভাবিক প্রসব করানো হচ্ছে। অপারেশন থিয়েটারটি চালু করতে হলে প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। চাহিদার চেয়ে চিকিৎসক কম থাকায় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

ফলে প্রায় সময় বাধ্য হয়ে জেলা শহরে গিয়ে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় কমবেশি ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন জরুরি বিভাগে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী সেবা নিচ্ছে্ন। এতসংখ্যক চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক।

আরো পড়ুন
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ

 

বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কথা আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারাও চেষ্টা করছেন। আমি আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি। চিকিৎসক সংকটের কারণে উপজেলার মানুষ অনেকটা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি একা মানুষ। যেটা আমার কাজ না সেটাও করতে হচ্ছে। আবাসিক রোগীদের রাউন্ড দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া বহির্বিভাগের রোগীও দেখতে হচ্ছে। এতে আমার যে প্রশাসনিক কাজ, সেসব ব্যাহত হচ্ছে। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মেডিক্যাল অফিসার।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মক্তবে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষককে গণপিটুনি

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
মক্তবে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষককে গণপিটুনি
সংগৃহীত ছবি

খুলনায় আট বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আবুল কাশেম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আবুল কাশেম কাশিমনগরের বাসিন্দা। তিনি মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরদারপাড়া জামে মসজিদের মক্তব্যে শিশুদের আরবি পড়াতেন।

 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধি ৯-এর ৪(খ) ধারায় থানায় মামলা করেছেন। পাইকগাছার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  সবজেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ওই শিশুটি সরদারপাড়া জামে মসজিদের মক্তবে অন্য শিশুদের সাথে আরবি শিখতে যায়। আবুল কাশেম স্লেটে আবরি বানান শিখাতে গিয়ে বারবার ওই শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন।

পরে বাড়ি পৌঁছে শিশুটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনা ঘটনা জানাজানি হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কপিলমুনি বাজারে আবুল কাশেমের নিজস্ব দোকানে হানা দেয়। তাকে সেখান থেকে বের করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।  

পাইকগাছার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সবজেল হোসেন জানান, শিশুটি নিপীড়ন ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

শিশুটি উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আবুল কাশেকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

থামছে না মিনিকেট চাল নিয়ে প্রতারণা

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ
অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ
শেয়ার
থামছে না মিনিকেট চাল নিয়ে প্রতারণা
জেলার মানচিত্র

মোটা চাল কেটে মিনিকেট নামে ব্র্যান্ডিং করার প্রতারণা বন্ধ হয়নি ঝিনাইদহে। বিভিন্ন জাতের চিকন ধানের চাল তৈরি করে মিনিকেট বলে বাজারে ছাড়ছেন চালকল মালিকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, মিনিকেট নামে কোনো ধান আমাদের দেশে উৎপাদন করা হয় না। অথচ মিনিকেট নামের চাল দেশের বাজার দখল করে নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ভাবেই মিনিকেট প্রতারণা বন্ধ করতে পারছে না।

জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে ভারতের একটি কিট বক্সে চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয় নতুন একটি ধানের জাত। ভারতীয় চাষিদের মাধ্যমে এ ধান বাংলাদেশে চলে আসে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা ঝিনাইদহের মহেশপুর, যশোরের শার্শা, চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার চাষিরা চাষ করার সময় ভারতীয় চাষিদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করে এ জাতের ধান।

এ ধান সাধারণত চিকন ও ভাত দেখতে ভালো হয়। তখন চাষিরা এ ধানের নাম দেয় মিনিকেট। সে সময় ধানটি ভালো বাজার পায়। এরপর থেকে নতুন এ জাতের ধানের চাষ বাড়তে থাকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে।
দিন যতই যেতে থাকে বাজারে এ ধানের চাহিদা ততই বাড়তে থাকে। আর সুযোগ নেয় দেশের চালকল মালিকরা।

আরো পড়ুন
গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার

গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমাদের দেশে বর্তমানে বিআর-২৮, বিআর-২৯, বিআর -২৮, বি আর-৪৯, বিনা-৭, বিআর- ৫৮, বিআর ৬৭, বিআর-৭৪, বিআর- ৮১, বিআর -৮৮, বিআর-৮৯, বিআর-৯২ ও বিআর -৯৬ জাতের ধান চাষ করা হচ্ছে। এসব জাতের ধান চিকন হয়। আর এসব ধানের চাল তৈরি করে মিনিকেট লেখা বস্তায় ভরে বাজারজাত করছে চালকল মালিকরা।

কোনো কোনো চালকল মালিক সুপার মিনিকেট, স্পেশাল মিনিকেট লেখা বস্তায়ও বাজারে ছাড়ছে। আর এ কারণে চালকল মালিকরা প্রতি কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চালের জাত যথাযথ মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা দিনের বছরের পর বছর এ ফায়দা লুটে যাচ্ছে।
 
শৈলকুপার ভাটইবাজারের চাল ব্যবসায়ী লক্ষন কুমার বলেন, ‘আমাদের কাছে মিনিকেট চাল বলে বিক্রি করছে মিল মালিকরা। আমরাও ক্রেতাদের কাছে একই নামে বিক্রি করছি তবে বস্তার মধ্যে কোন জাতের চাল আছে সেটা আমার সঠিক জানা নেই।’

ঝিনাইদহ শহরের ছোট বাজারের চাল ব্যবসায়ী আসাদুর রহমান বলেন, ‘এটা করছে চালকল মালিকরা। তারা যা বলছেন আমরা তাই বিক্রি করছি। প্রশাসন যদি মিনিকেট চাল নিয়ে তদারকি করে তাহলে এ জটিলতা নিরসন হবে। এছাড়া আমাদের কিছু করণীয় নেই।’

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষকদের কাছ থেকে মিনিকেট ধান কিনে চাল তৈরি করি। মিনিকেট চাল নিয়ে আমরা কোনো প্রতারণা করছি না। এ চাল নিয়ে একেক সময় একেক ধরনের গুজব সৃষ্টি করে কিছু মানুষ।’

ঝিনাইদহের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ‘কতিপয় চালকল মালিক ও অসাধু ব্যবসায়ীরা মিনিকেটের নামে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এমন প্রতারণা শুধু এ জেলাতেই নয় সারাদেশেই চলছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের ঊর্ধতন কর্তপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আমরা নির্দেশনা পেলেই মিনিকেট চাল নিয়ে প্রতরণা বন্ধে অভিযান চালাবো।’
 
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ষষ্ঠী চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মিনিকেট নামে কোনো চাল নেই। এমনকি এ জাতের কোনো ধানও নেই। ভারতের কিছু চিকন জাতের ধান এদেশে চাষ করা হয়। সেটাকে এ দেশে মিনিকেট বলে চালানো হচ্ছে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সীমান্তে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
সীমান্তে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
সংগৃহীত ছবি

ভারত সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক মো. আলমগীর শেখ নামের এক বাংলাদেশি জেলেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্ত দিয়ে তাকে ফেরত দেওয়া হয়।

আলমগীর শিবগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুরের আব্দুর রহমত শেখের ছেলে। 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বলেন, সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রঘুনাথপুর সীমান্তের ৭/৯-এস পিলার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতে চলে যান আলমগীর।

এ সময় ভারতের ৭০০ গজ অভ্যন্তরে তাকে আটক করেন বিএসএফের নিমতিতা ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক আরো বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিএসএফ সদস্যরা আলমগীরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন।

এ সময় তার ব্যবহৃত মাছ ধরার জাল ও নৌকাটিও ফেরত দেওয়া হয়।

ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আলমগীরের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সীমান্তে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
সীমান্তে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
সংগৃহীত ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি জেলেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্ত দিয়ে তাকে ফেরত দেওয়া হয়। 

বিজিবি ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই বাংলাদেশির নাম মো. আলমগীর শেখ।

তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুরের আব্দুর রহমত শেখের ছেলে। 

বিজিবি অধিনায়ক মো. মনির-উজ-জামান বলেন, ‘সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর সীমান্তের ৭/৯-এস পিলার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতে চলে যান আলমগীর। এ সময় ভারতের ৭০০ গজ অভ্যন্তরে তাকে আটক করে বিএসএফের নিমতিতা ক্যাম্পের সদস্যরা। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফর কম্পানি কমান্ডার পর্যায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিএসএফ সদস্যরা আলমগীরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময়র তার ব্যবহৃত মাছ ধরার জাল ও নৌকাটিও ফেরত দেওয়া হয়।’

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আলমগীরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ