একটি ট্রেন চালাতে তিন-তিনটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। তবু প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্বে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেছে ট্রেনটি। এরকম ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথে চলাচলকারী ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামক আন্তঃনগর ট্রেনটিতে। মূলত ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
এক ট্রেন চালাতে তিন ইঞ্জিন
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে শিডিউল বিপর্যয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল

প্রত্যক্ষদর্শী রেলযাত্রী ও রেলওয়ে সূত্রগুলো জানায়, শনিবার (১৭ মার্চ) নির্ধারিত সময় বেলা সাড়ে ১০টায় ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ (৭৮১ ডাউন) নাম ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ভৈরব জংশনে পৌঁছে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরই তাতারকান্দি নামক স্থানে ট্রেনের ইঞ্জিন (নং ২৯১৩, এমইআই-১৫) বিকল হয়ে পড়ে।
এতে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরারচর স্টেশনে এবং ময়মনসিংহের বাহাদুরাঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ‘নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি কুলিয়ারচর স্টেশনে আটকা পড়ে।
অবশ্য টানা প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল বসে থাকা ট্রেনটিকে ভৈরবের দিকে নিতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ‘সচল’ ইঞ্জিনটি বিকল ট্রেনকে কিছুদূর সামনে নেয় তো আবার পিছিয়ে যায়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত এরকম ‘ইঁদুর-বেড়াল’ খেলা চলার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন থেকে একটি রিলিফ ইঞ্জিন এসে বাকি দুই ইঞ্জিনসমেত বিকল ট্রেনটিকে ভৈরব স্টেশনে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
এরপরই সরারচর স্টেশনে আটকেপড়া এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব জংশন হয়ে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঢাকার পথে ছেড়ে যায়।
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম হুমায়ুন ও তার স্ত্রী সৈয়দা তামান্না জানান, সন্ধ্যা ৭টার পর তিনি ট্রেন থেকে নেমে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন। ইফতার করতে হয়েছে গচিহাটা স্টেশনে। চার ঘণ্টা ট্রেনে বসে থেকে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি কয়েক ঘণ্টা বিলম্বে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার ইসমাইল হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, তার ট্রেনের ইঞ্জিনের সাধ্যে কুলায়নি বলেই বিকল ট্রেনটি চালাতে সক্ষম হননি। এদিকে ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের দুই চালক (লোকোমাস্টার) আব্দুল হান্নান খান ও মো. সুমন মিয়া জানান, তার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় ট্রেন আটকে ছিল।
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে নিয়মিত যাতায়াত ও চলাচলকারী যাত্রীরা জানায়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলায় এ দুই রেলপথের বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ জেলার ট্রেনযাত্রীরা বছরের পর বছর ধরেই সীমাহীন কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ রেলপথের উন্নয়নে কেউ কখনো নজর দিচ্ছে না।
রাষ্ট্রের সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম গতকালের দুর্ভোগের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেল ব্যবস্থা বাংলাদেশের সবচাইতে অবহেলিতগুলোর একটি। অবিলম্বে এর সংস্কার দাবি করছি’।
রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরাও স্বীকার করেন, ইঞ্জিনের সঙ্কট রয়েছে। ফলে বেশকিছু ইঞ্জিন পথিমধ্যে প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে। এরকম একটি ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনই গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত করা হয়।
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় কালের কণ্ঠকে জানান, প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্বে পৌনে ৭টা নাগাদ ট্রেন নিয়ে তিনি কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছান এবং একইরকম বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
তবে বিকল ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানোর কারণ জানতে ঢাকা রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) জহিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সম্পর্কিত খবর

ফরিদপুরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মিলছে পচা-বাসি খাবার
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে রমজান মাসে হোটেল-রেস্তোরাঁয় সামনের সারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ইফতার সামগ্রী। সারি সারি পসরা দেখে লোভনীয় হয়ে পড়ে ভোক্তারা। এসব পসরার মধ্যে রয়েছে জিলাপিসহ বিভিন্ন খাবার সামগ্রী। রং বেরঙের পসরার মধ্যে বাসি-পচা খাবারের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা নিরাপদ খাদ্য কার্যালয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে শহরের কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও মিষ্টিপট্টিতে অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ এলাহি। অভিযানকালে নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আজমুল ফুয়াদ রিয়াদসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, রমজান মাস উপলক্ষে শহরের প্রতিটি রেস্তোরাঁয় সামনে সারি সারিভাবে সাজানো রাখা হয়েছে শাহী জিলাপিসহ বিভিন্ন পসরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেলে শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ এলাহি নিরাপদ খাদ্য কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন সুলতানি ভোজ নামক হোটেলের ফ্রিজে পচা খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরো কয়েকটি হোটেল মিষ্টির দোকানে পচা-বাসিসহ খতিকারক খাদ্যসামগ্রী পায় অভিযানকারী দল।
এ ছাড়া ভেজাল তেলে শাহী জিলাপি তৈরি করা হচ্ছে মর্মে তাৎক্ষণিক পরীক্ষায় প্রমাণ পাওয়া যায়। খাদ্যে ভেজাল, জিলাপির তেলে ভেজাল ও মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাওয়ায় দুটি মিষ্টান্ন ভান্ডার ও একটি রেস্তোরাঁয় খাদ্য নিরাপদ আইনে তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ শহরের খন্দকার রেস্টুরেন্ট, নিউ স্টার কাবাব, খলিলের মিষ্টির দোকানে অভিযানে পচা-বাসি খাদ্যসামগ্রী পাওয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। অভিযানকালে খন্দকার হোটেল থেকে পচা মাংস ও বাসি শরবত জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিরাপদ কর্মকর্তা মো. আজমুল ফুয়াদ রিয়াদ জানান, মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে রমজান মাসে নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজ তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাকি দুটিকে সতর্কতামূলক নোটিশ করা হয়েছে।

বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি গাজীপুর

টঙ্গীতে ট্রেনের ধাক্কায় সিয়াম (২০) নামের এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) টঙ্গীর বউ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সিয়াম উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা গ্রামের মো. মুজাহিদের ছেলে তিনি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিয়াম উত্তরায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বউ বাজার এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মারা যান তিনি।

মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা : চিকিৎসাধীন আরো একজনের মৃত্যু
নিহতের প্রতিবেশী আরিফ জানান, সিয়াম উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি পল ওয়েল মার্কেটের নীচ তলায় নিজেদের চশমার দোকানে বসতেন।
টঙ্গী রেলওয়ে ফাড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় এক যুবক মারা গেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা : চিকিৎসাধীন আরো একজনের মৃত্যু
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মাদারীপুর

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত তাজেল হাওলাদার (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তিনভাইসহ ৪ জন মারা গেলেন।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার, একই এলাকার মুজাম সরদারের ছেলে ও সাাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার এবং আজিজুল হাওলাদারের ছেলে তাজেল হাওলাদার।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার ও প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের লোকজনের সঙ্গে। এরই জেরে গত ৮ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের উপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন। সাইফুলের চিৎকারে এগিয়ে আসেন পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রাক ও ‘পাগলু’র মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে আলু বোঝাই ট্রাক ও তিন চাকার পাগলুর (স্থানীয় নাম) মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় চারজন আহত হন।
নিহতরা হলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চেয়ারম্যানপাড়ার বাসিন্দা দিনা রাম রায়ের ছেলে জয়ন্ত (২৯) এবং আমিরুলের ছেলে আরফান (২৩)।
আহতরা হলেন মহসিনা বেগম (৪৫), আকলিমা (২২), আসিয়া জান্নাত (৩) এবং মুরাদ (২৪)। তারা উভয়েই লাহেরী গ্রামের বাসিন্দা। আহত বাকি একজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলু বোঝাই ট্রাকটি দ্রুত গতিতে আসছিল এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ‘পাগলু’র সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

কেনা হচ্ছে দুই কার্গো এলএনজি
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে শিশু আসিয়ার অবস্থা গুরুতর।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং খুব শীঘ্রই আমরা বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারব।