ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫
১৪ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫
১৪ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ রমজান ১৪৪৬

সাংবাদিক আলী হাবিবের মৃত্যুতে গাজীপুর জেলা প্রেস ক্লাবসহ ৩ সংগঠনের শোক

আঞ্চলিক প্রতিনিধি গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি গাজীপুর
শেয়ার
সাংবাদিক আলী হাবিবের মৃত্যুতে গাজীপুর জেলা প্রেস ক্লাবসহ ৩ সংগঠনের শোক
সংগৃহীত ছবি

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রেস ক্লাবসহ তিন সংগঠন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গাজীপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিপন আনসারী, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ভুইয়া, ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, চেতনা গাজীপুরের সাধারণ সম্পাদক ডা. বোরহান উদ্দিন অরণ্য যৌথ বিবৃতিতে এই শোক ও সমবেদনা জানান।

আরো পড়ুন
সাংবাদিক আলী হাবিবের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের শোক

সাংবাদিক আলী হাবিবের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের শোক

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে অফিসে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে আলী হাবিবকে হাসপাতালে নিয়ে যান সহকর্মীরা।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কম্পাউন্ডে তার প্রথম জানাজা।

জানাজা শেষে রাতেই তার মরদেহ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। 

আরো পড়ুন
যে ভিটামিনের অভাবে ফ্যাটি লিভার হয়

যে ভিটামিনের অভাবে ফ্যাটি লিভার হয়

আলী হাবিব ১৯৬৪ সালে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিশিষ্ট ব্যাংকার আলফাজ উদ্দীন। আলী হাবিব দৈনিক জনকণ্ঠে সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে যোগদান করেন ১৯৯৩ সালে।

পরে ২০০১ সাল থেকে সহকারী সম্পাদক ও ফিচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘রঙ্গভরা বঙ্গদেশ’ ও ‘ঝিলিমিলি’ ফিচার পাতার বিভাগীয় সম্পাদক ছিলেন। তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় কালের কণ্ঠের উপসম্পাদকীয় বিভাগে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতেন। 

২০২৪ সালের ৩১ জুলাই প্রকাশিত ‘এই ক্ষত সারাবে কে’ শিরোনামের উপসম্পাদকীয়তে তিনি সমসাময়িক একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট প্রকাশিত ‘তরুণরা বাংলাদেশকে শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে নিয়ে যেতে পারবে’ শিরোনামের উপসম্পাদকীয়তেও তিনি তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষকলীগ সভাপতি পবারুল মাস্টার আটক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষকলীগ সভাপতি পবারুল মাস্টার আটক
সংগৃহীত ছবি

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা পবারুল মাস্টারকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোররাতে শহরের হ্যাডস্-এর মোড় এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান  বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, পবারুল মাস্টার ওই এলাকায় অবস্থান করছেন। এরপর ভোররাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

বাঁচতে চান খাদিজা, ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
শেয়ার
বাঁচতে চান খাদিজা, ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে
ছবি: কালের কণ্ঠ

দু’পায়ের তলা থেকে প্রায় হাঁটু পর্যন্ত চামড়া খসে পড়েছে। বেড়িয়ে এসেছে মাংসপেশি। হাটা-চলা বন্ধ। দিন-রাত কাটছে মশারিবন্দি একাকি জীবন।

দেখে মনে হবে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধের কারণে তার কাছে যাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অর্থের অভাবে জুটছে না উন্নত চিকিৎসা তাই শয্যাশায়ী হয়ে কাতরাচ্ছেন বাবার বাড়িতেই। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই মৃত্যুর দিকে যেন এগিয়ে যাচ্ছে এই তরুণী মা।
খাদিজার আকুতি দুই শিশু সন্তানের জন্য হলেও বাঁচতে চান তিনি। ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে। তাই সমাজের বিত্তবানদের দিকে চেয়ে আছেন খাদিজার পরিবার। 

‘আমি বাঁচতে চাই আমার দুইডা সন্তান লইয়া, আমারে একটু বাঁচতে দেন আমনেরা।

আমার সন্তান দুইডার মোহের (মুখের) দিকে চাইয়া হইলেও আমনেরা আমারে একটু হেল্প করেন।’ কান্নাজড়িত কন্ঠে এমন কথা বলছেন দু’পায়ের দূরারোগ্য এমন ব্যাধিতে আক্রান্ত পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর দুই সন্তানের জননী খাদিজা বেগম। অসহ্য যন্ত্রণায় বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন আর ছটফট করছেন। তার চোখে কেবলই অশ্রু। পায়ের যন্ত্রণার চেয়েও তাকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে দুই শিশু সন্তানের অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের ভয়।

খাদিজা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সেনেরহাওলা গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হাওলাদারের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের উত্তরীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আক্কাস খানের মেয়ে। স্বামী ইমরান হাওলাদার ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক। আর বাবা আক্কাস পেশায় জেলে।

পরিবারের লোকজন জানান, খাদিজার ৭ বছর বয়সী তাহিদ নামের এক ছেলে সন্তানের পর তার জীবনে নতুন অতিথির আগমনী বার্তা আসে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু মাতৃত্বের আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তার দুঃস্বপ্নের দিনও। প্রথমে জুলাইয়ের দিকে দুই পা ফুলে যাওয়া দিয়ে শুরু হয় তার অসুস্থতা। যা তিনি সাধারণ গর্ভকালীন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ফোলা পা ভয়ংকর এক রোগের রূপ নেয়।

সন্তান গর্ভে থাকায় উন্নত কোনো চিকিৎসা নিতে পারেননি, ফলে দিন দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিন মাস আগে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু সুস্থ হতে পারেননি খাদিজা। একটু ছুঁতেও পারেনি তার আদরের সন্তানকে বরং মায়ের পরশ থেকে নবজাতককে রাখা হচ্ছে দূরে। আর দুরারোগ্য ব্যাধির মুখে ঢলে পড়ে হাঁটু পর্যন্ত তার পা বিকল হয়ে গেছে যার ফলে হারিয়েছেন হাঁটতে পারার ক্ষমতা। 

খাদিজা জানেন না এই পৃথিবীতে তার জন্য আর কতটা সময় বাকি। কিন্তু জানেন তার ছোট্ট মেয়েটা এখনো কোল চায় মায়ের, ছেলেটা এখনো জড়িয়ে ধরতে চায় মাকে। হয়তো কোনো মহৎ হৃদয়ের মানুষ এগিয়ে এলে আবার নতুন করে জীবন পেতে পারেন এই অসহায় মা। অর্থ নেই, চিকিৎসা নেই, বাঁচার আশাও নেই। তবুও খাদিজা স্বপ্ন দেখছেন স্বাভাবিক জীবনের। তিনি বাঁচতে চান, ফিরতে চান সন্তানদের কাছে, আবার আগের মতো চান হাঁটতে, চান প্রাণখুলে হাঁসতে। তাই তো সমাজের বৃত্তবানদের সহানুভূতির ওপর নির্ভর করে পথ চেয়ে আছেন খাদিজা ও তার পরিবার।

খাদিজার মা কল্পনা বেগম বলেন, ‘দিন দিন ওর অবস্থা খারাপ হইতেছে, পায়ের মাংস পঁচে ভিতরের সব বের হয়ে যাইতেছে। আমনেরা একটু দয়া করে আমার মেয়েকে একটু সাহায্য করেন। আমি যেরকম বাঁচতে চাই আমার সন্তান লইয়া (নিয়ে) আমার মেয়েও তার সন্তান লইয়া বাঁচতে চায়।’

খাদিজারা বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করেন। তার বাবা জেলে ও স্বামী ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। খাদিজার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার খরচ মেটানো সম্ভব নয়। বিগত দিনে চিকিৎসায় অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন, সহায়-সম্বল যা ছিল সবই খুইয়েছেন। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্বেচ্ছাসেবী কর্মী সাব্বির ইসলামসহ প্রতিবেশীরা। 

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বলেন, ‘খাদিজার ব্যাপারে আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি, সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে করা ওনার আবেদনটা অতিদ্রুত জেলায় প্রেরণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো খাদিজার পাশে আছে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গলাচিপা পৌর মার্কেটে আগুন, কোটি টাকার ক্ষতি

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
শেয়ার
গলাচিপা পৌর মার্কেটে আগুন, কোটি টাকার ক্ষতি
ছবি: কালের কণ্ঠ

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা পূর্ব মাছ বাজার পৌর মার্কেটের তিনটি মুদি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার ভোর ৫ টার সময় গলাচিপা পৌর শহরের কৃষি ব্যাংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অগ্নিকাণ্ডে মোজাফফর খন্দকার (৬৫), রবি পাল (৪০) ও শাহ আলীর(৪০) দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে মোজাফফর খন্দকার ও তার স্ত্রী কহিনুর বেগম আহত হয়েছে। তাদেরকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে চিকনিকান্দির সুতাবাড়িয়া এলাকার বাসুদেব দাসের ঘরে রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় আগুন লাগে। এতে ঘর ও ঘরের পাশের গোয়াল ঘর পুড়ে যায়।

এ সময় আগুনে পুড়ে দুটি গরু মারা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনটি দোকানে অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গলাচিপা ফায়ার ব্রিগেডের সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার কামাল হোসেন জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে দোকানে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।

এ ঘটনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পৌর মার্কেট ও চিকনিকান্দির সুতাবাড়িয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
 

মন্তব্য

মসজিদে ইফতারের সময় মুসল্লীর মৃত্যু

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
মসজিদে ইফতারের সময় মুসল্লীর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মসজিদে ইতিকাফে থাকা অবস্থায় জয়নাল আবেদীন (৫২) নামের এক মুসল্লীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ইফতার করার সময় উপজেলার ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের তছি মিয়াজী জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। জয়নাল আবেদীন পূর্ব দুর্গাপুর নিবাসী নুর মিয়া বাড়ির মরহুম খুরশিদ আলমের দ্বিতীয় পুত্র। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

তছি মিয়াজী জামে মসজিদের অর্থ সম্পাদক আলতাফ হোসেন জানান, জয়নাল আবেদীন আমার প্রতিবেশী। আমাদের মসজিদের ধারাবাহিক একাধিকবার ইতেকাফকারী। এবারো তিনি ইতেকাফে বসেছিলেন। বৃহস্পতিবার ইফতারের সময় হঠাৎ তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন।

এরপর তিনি পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান।

তাকে দ্রুত মিঠাছরা ডায়নামিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবণতি হলে পরবর্তীতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাত ১২ টায় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ