সদরপুরে অনুমোদনবিহীন ইটভাটা, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সদরপুরে অনুমোদনবিহীন ইটভাটা, ৩ লাখ টাকা জরিমানা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার অনুমোদনবিহীনভাবে দেদারচ্ছে তিনটি ইটভাটার মালিকরা অবৈধভাবে তাদের ইটভাটায় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

সরকারিভাবে ইটভাটার তালিকা যাচাই করা হলে সদরপুরের তিনটি ভাটার কোনো বৈধ কাগজপত্র না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রত্যেক ভাটা মালিককে ১ লাখ করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চলাকালে ওইসব ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা জানান, লাইসেন্স না থাকার দায়ে প্রত্যেক ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ এর (৪) ধারায় ১ লাখ টাকা করে ৩ লাখ জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ইটভাটার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ জ্বালানি কাঠ ব্যবহারের অভিযোগ পেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ভাটার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ সময় সদরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াছ মোল্যাসহ আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হাওরে ধান কাটার ধুম (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাওরে ধান কাটার ধুম (ভিডিওসহ)
সংগৃহীত ছবি

হাওরের সবুজ ধান পেকে এখন সোনালি রূপ নিয়েছে। প্রায় ১০ লাখ কৃষকের কেবল চোখই নয়, দেহ-মন নিয়ে সবাই এখন হাওরের ফসল গোলায় তোলার উৎসবে মেতেছেন। সকাল-সন্ধ্যা হাওরে-কান্দায়-খলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী-পুরুষ শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সবাই। বাম্পার ফলনে কৃষকরা খুশি।

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হবিগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হবিগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ৩
সংগৃহীত ছবি

হবিগঞ্জের নোয়াপাড়া রেলস্টেশন এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৬৫ পিস ইয়াবাসহ একই পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। আটককৃতরা হলেন মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী রিয়া বেগম (৩৮) ও তাদের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে কুলসুমা।

গতকাল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে যৌথবাহিনীর একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর রাতেই তাদের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটি অফিসার মো. লাল মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাজিদুল ইসলাম সোহাগ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

বান্দরবানে ২১ কি.মি হাফ ম্যারাথনে দৌড়ালেন তিন শতাধিক দৌড়বিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বান্দরবানে ২১ কি.মি হাফ ম্যারাথনে দৌড়ালেন তিন শতাধিক দৌড়বিদ
ছবি: কালের কণ্ঠ

বান্দরবানে সফলভাবে সম্পন্ন হলো ‘হিল ম্যারাথন ২০২৫’ হাফ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ম্যারাথনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত তিন শতাধিক নারী-পুরুষ দৌড়বিদ অংশ নেন। দৌড়ের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ছিল উৎসাহ ও রোমাঞ্চ।

শুধু দেশীয় প্রতিযোগীরাই নন, পাহাড়ি আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু পথে দৌড়ে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন বিদেশি দৌড়বিদরাও।

তরুণ সমাজকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করা ও স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই বান্দরবান পার্বত্য জেলার ক্রীড়া উন্নয়ন ফোরাম এবং হিল রানার্সের উদ্যোগে এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়।

দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয় শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে। সুয়ালক হয়ে আবার রাজার মাঠেই এসে শেষ হয় এই ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ দৌড়।

হিল ম্যারাথন ২০২৫–এর আহ্বায়ক শহিদুর রহমান সোহেল জানান, ‘তরুণদের খেলাধুলার দিকে আকৃষ্ট করতেই প্রতিবছর আমরা এমন আয়োজন করছি।

এর আগেও ২০২৪ সালে বান্দরবানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘ভার্টিকাল ড্রিমারস আল্ট্রা ম্যারাথন’। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৪০০ প্রতিযোগী।’

প্রতিযোগিতায় সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার আশরাফুল ইসলাম ১ ঘণ্টা ২২ মিনিটে ম্যারাথন সম্পন্ন করে চ্যাম্পিয়ন হন। তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রথম ২০ জন বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার।

মন্তব্য
নারায়ণগঞ্জ

আলোচিত ৭ খুনের ১১ বছর, আসামিদের দ্রুত ফাঁসি চান স্বজনরা

রাশেদুল ইসলাম রাজু, নারায়ণগঞ্জ থেকে
রাশেদুল ইসলাম রাজু, নারায়ণগঞ্জ থেকে
শেয়ার
আলোচিত ৭ খুনের ১১ বছর, আসামিদের দ্রুত ফাঁসি চান স্বজনরা
সংগৃহীত ছবি

আলোচিত সাত খুনের ১১ বছর পূর্ণ হবে আগামীকাল (২৭ এপ্রিল)। ১১ বছর পার হলেও এর বিচার কার্যক্রম আজও শেষ হয়নি। ৮ বছর আগে নিম্ন আদালত ও ৭ বছর আগে উচ্চ আদালত রায় ঘোষণা করলেও মামলাটি আপিল বিভাগে ঝুলে রয়েছে। রায়ের ধীরগতির কারণে এখনো ভয় ও আতংকে রয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য সহযোগিতার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে তা না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভুক্তভোগী অধিকাংশ পরিবারগুলো। সরকারের কাছে বর্তমানে তাদের একটাই দাবি, উচ্চ আদালতের রায় যেন অতি দ্রুত কার্যকর করা হয়।

জানা যায়, বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলাটির গত এগারো বছরে বিচারের দুটি ধাপ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট ৩৫ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় উচ্চ আদালত।

মামলাটি এখন চুড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। 

আরো পড়ুন
আড়াল ভেঙে ফিরলেন শরিফুল রাজ

আড়াল ভেঙে ফিরলেন শরিফুল রাজ

 

হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ১৫ আসামি হলেন, র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ, সাবেক দুই কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (চাকরিচ্যুত) এম মাসুদ রানা, নাসিক সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূর হোসেন, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, আরওজি-১ মো. আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হিরা মিয়া, সিপাহি আবু তৈয়ব আলী, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলিম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন ও সৈনিক তাজুল ইসলাম।

মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন হয়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১১ আসামি হলেন, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সার্জেন্ট এনামুল কবির, নূর হোসেনের সহযোগী আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান, রহম আলী, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান, সেলিম, সানাউল্লাহ, শাহজাহান ও জামালউদ্দিন। 

এদের মধ্যে পলাতক পাঁচ আসামি হলেন, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, নূর হোসেনের সহকারী সানাউল্লাহ সানা ও ম্যানেজার শাহজাহান।

এ ছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিও র‌্যাবের বরখাস্ত কর্মকর্তা ও সদস্য। 

তাদের মধ্যে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানের ১৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, করপোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন ও সিপাহি নুরুজ্জামানের ১০ বছর করে এবং এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিন সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ উচ্চ আদালতে বহাল রয়েছে। তাদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান ও কামাল হোসেন পলাতক।

আরো পড়ুন
হত্যাসহ ৫ মামলার আসামি আ. লীগ নেতা শমসের আলী গ্রেপ্তার

হত্যাসহ ৫ মামলার আসামি আ. লীগ নেতা শমসের আলী গ্রেপ্তার

 

এদিকে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও রায় কার্যকরের ব্যাপারটি বিলম্ব হওয়ায় সংশয় প্রকাশ করেন মামলার বাদী নিহত সাবেক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা সারাদেশের আলোচিত একটি মামলা।

এই ঘটনার নৃশংসতা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা বারবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। আজ এগার বছর হয়েছে। আজও এই আলোচিত হত্যা মামলার রায় বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না।

তিনি আরো বলেন, মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ঝুলে আছে। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সাত পরিবারের স্বজনেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই হত্যা মামলার বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।

নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সামসুন নাহার বলেন, জাহাঙ্গীর নিহতের দুই মাস দশ দিন পর তার মেয়ে রওজা মনির জন্ম হয়। মেয়েটি বাবা বলে ডাকতে পারেনি। পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা মা-মেয়ে অধীর আগ্রহে বসে আছি, এই নারকীয় হত্যা মামলায় রায় নিজ চোখে দেখার জন্য।

নিহত তাজুল ইসলামের বাবা আবুল খায়ের বলেন, পরিবারের একমাত্র ব্যক্তি ছিল তাজুল ইসলাম। যার আয়ে আমরা সংসারের সবাই চলতাম। আমার আদরের ধনকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি দেখতে চাই। বর্তমান সরকারের কাছে দ্রুত এটির নিষ্পত্তি করে রায় কার্যকর করার জোর দাবি জানাই।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। গত ১০ বছরে এ মামলার বিচারের দুটি ধাপ শেষ হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আপিলসহ ডেথ রেফারেন্স (আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় হতাশ প্রকাশ করেন এই আইনজীবি। রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি তার। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির জানান, এই মামলা নিয়ে বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। এই মামলা যেন শিঘ্রই নিষ্পত্তি হয় সেজন্য তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বারবার আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, এই মামলার আসামিরা কোনোভাবেই কোনো সুবিধা নিতে পারবে না। বরং বাদীপক্ষ নিম্ন আদালতে, সুপ্রীম কোর্টে যেমনিভাবে ন্যায়বিচার পেয়েছে ঠিক তেমনিভাবে লিভ টু আপিল বিভাগে আসামিদের চূড়ান্ত শাস্তি বহাল থাকার বিষয়ে রাষ্ট্র পরিপূর্ণভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে অপহরণ হন সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার, নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। 

এর ৩ দিন পর ৩০ এপ্রিল ৬ জন এবং ১ মে একজনের লাশ সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় দুটি মামলা করেন। মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রায় দেন বিচারিক আদালত। 

রায়ে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ২৮ আসামি। ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং বাকি ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ