<p>প্রাণ-প্রকৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, রাজনীতি ও নগরায়ণ পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে নগরায়ণে আমরা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারিনি। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রযুক্তিকে প্রাধান্য নয়, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষার বিষয়টিকে প্রধান্য দিয়ে নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হত্যা মামলায় আইভীর ভগ্নিপতি রিমান্ডে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732020458-18e2999891374a475d0687ca9f989d83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হত্যা মামলায় আইভীর ভগ্নিপতি রিমান্ডে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/11/19/1448407" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পিআইবি অডিটরিয়ামে ‘ন্যায্য নগর ইশতেহার-২০২৪ ফোরাম’-এর দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে ‘প্রকৃতিকেন্দ্রিক নগরজীবন’ শীর্ষক প্রবন্ধে এসব কথা বলেন তিনি। </p> <p>নাগরিক, কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে আরো ন্যায্য ও টেকসই নগর গঠনের জন্য একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির লক্ষ্যে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি), জাস্ট আরবান, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে আবাসন, পরিবহন, জনপরিসর, নগর সংস্কৃতি, পরিবেশগত ন্যায়বিচারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="টয়লেট দিবসে যে ঘোষণা দিলেন শাকিব খান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732020165-9350b857f9197ef1df5890ab9f3abeb7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>টয়লেট দিবসে যে ঘোষণা দিলেন শাকিব খান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/11/19/1448404" target="_blank"> </a></div> </div> </div> <div class="col-12 col-md-10 position-relative">সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ‘নিরাপদ জীবন ও বাসযোগ্য শহর’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানারের সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান। আর দ্বিতীয় অধিবেশনে ‘ন্যায়ভিত্তিক যাতায়াত ব্যবস্থা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম। সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে আলোচনায় অংশ নেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অদ্যাপক ড. ইফাদুল হক, গ্রিন বার্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ তাসনিম মাহমুদ, বুয়েটের শিক্ষক ড. ইশরাত ইসলাম, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল, সাংবাদিক ইফতেখার মাহমুদ, বানান সম্পাদক মোহাম্মদ রোমেল প্রমুখ।</div> </div> <p>সম্মেলনে আলোচকরা বলেন, দেশের ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ বর্তমানে শহরাঞ্চলে বসবাস করছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য নগরায়ণের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। তবে দেশের অনেক শহর এখনো অপ্রতুল এবং বৈষম্যমূলক, যেখানে কিছু মানুষের জন্যই সঠিকভাবে সেবা, বাসস্থান, সবুজ স্থান এবং নিরাপদ জনপরিসরের ব্যবস্থা রয়েছে। ন্যায্য নগর ইশতেহারে এই অসাম্য দূর করার জন্য প্রতিটি নাগরিকের জন্য ন্যায়সংগত, গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিবেশের দাবি জানানো হয়েছে।</p> <p>সম্মেলনে জানানো হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং ন্যায্য নগর গঠনের লক্ষ্যে‘ ন্যায্য নগর ইশতেহার’ একটি অনন্য উদ্যোগ, যা দুই মাসব্যাপী সারা বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার মানুষের সরাসরি অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে গঠিত। এ প্রক্রিয়া থেকে নির্বাচিত ২৫০ জন ডেলিগেট ঢাকায় এসে দুই দিনের এই ফোরামে ৯০ জন বিশিষ্ট বক্তার সাথে সাতটি সেমিনার ও সেশনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বুদ্ধিজীবী, একাডেমিক, শিক্ষক, নগরবিদ, স্থপতি, শ্রমিক, মাঝি, দলিত, আদিবাসী, শিশু ও নারী অধিকার কর্মী, গার্মেন্টসকর্মী, প্লানার, নগর পঞ্চায়েত নেতৃত্বের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাসহ ৬৪টি জেলার প্রতিনিধিরা রয়েছেন।</p>