<p style="text-align:justify">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মধ্যরাতে মুছে ফেলার চেষ্টা করছিলেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা সেখানে আবারো শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি আঁকেন। এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ পোস্ট দিয়ে নতুন গ্রাফিতি নয় পুরাতন গ্রাফিতিই চাচ্ছেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/29/1735455790-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/29/1462611" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তাদের মধ্যে একজন মিনহাজ আমান। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, প্রতিটি অলিগলি-সড়ক-মহাসড়কে এই হুবহু ছবি আকার উদ্যোগ নেওয়া হোক।</p> <p style="text-align:justify">নতুন গ্রাফিতির ছবিটি শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘যাদের বুকে স্বৈরাচারের রূপ দেখতে কষ্ট লাগে, যারা জুলাইকে ঘৃণা করে, তারা সবকিছু মুছে দিতে চায় এভাবে।’</p> <p style="text-align:justify">আরেকজন দুটি ছবিই শেয়ার করে লিখেছেন, “The struggle of ‘humans’ against power is the struggle of memory against forgetting”  (erasing).  -- Milan Kundera</p> <p style="text-align:justify">একজন তার প্রোফাইল পিকচারে আগের গ্রাফিতির ছবি দিয়ে ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আমি শুশিলমুখো ডাইনিটার এই ছবিটাই চাই! অন্য কোন ছবি চাই না!’ অন্যদিকে কেউ শেয়ার করেছেন, ‘সুশীল শয়তানির স্বরূপ..!’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/29/1735455859-a3745c3dbbeeabe69acb9d14d676b140.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/29/1462612" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আরেকজন লিখেছেন, ‘টিএসসিতে গেলেই ছবি দুইটার দিকে খুব আগ্রহ নিয়া তাকাইয়া থাকতাম। ভাবতাম আল্লাহ যেইভাবে ফেরাউনরে লোহিত সাগরে ডুবাইয়া মারার হাজার বছর পরেও মানবজাতির লইগা উদাহরণস্বরূপ অক্ষত রাইখা দিছে, হয়তো এই ছবি দুইটাও জালেমের সারা শরীরে মজলুমের খুন আর ঘৃণা নিয়া কালের স্বাক্ষীস্বরূপ অক্ষত দাঁড়াইয়া থাকবে।’ </p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সংসদের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ নামক এই গ্রাফিতিতে পুনরায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রাফিতি আঁকার কাজটি করেন ছাত্র ইউনিয়নের চারুকলা অনুষদ শাখার সদস্য মৃধা রাইয়ান ও ঋষি। তাদের সঙ্গে ছিলেন রাইয়ান ফেরদৌস ও সর্দার নাদিম মাহমুদ শুভ।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="খেলার মাঠে ফিরুক শিশুর আনন্দময় শৈশব" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/29/1735455328-6059f42e7cbe4b3c568dfbfee83662c6.jpeg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>খেলার মাঠে ফিরুক শিশুর আনন্দময় শৈশব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/shuvosangho/2024/12/29/1462610" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এতে আরো বলা হয়েছে, ‘এনএসআই থেকে ফোন পেয়ে তারা অবগত হন যে, ছবিটি ‘দৃষ্টিকটু’ মনে হওয়ায় সিটি কর্পোরেশন সেটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়। তবে রাত আনুমানিক ২টার দিকে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা যখন এটি মুছে ফেলতে আসে, তখন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়। এর মধ্যেই শেখ হাসিনার মুখের অংশ মুছে ফেলা হয়। ছবিটি মুছে ফেলার পর শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে নতুন একটি প্রতিকৃতি নির্বাচন করে সেটি পুনরায় আঁকা হয় ‘</p> <p style="text-align:justify">বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মেট্রোরেলের পিলার থেকে এই গ্রাফিতিটা গতকাল গভীররাতে মুছে ফেলা হচ্ছিলো। খবর পেয়ে সাথে সাথে গভীর রাতেই অনলাইনে সরব হই আমরা কয়েকজন। ওইটা মোছা হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে কয়েকজন হাসিনার অন্য একটা ক্যারিকেচার আঁকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নায়িকার গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল শ্রমিকের" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/29/1735458023-ef9253faf98e7fa5fcd6f7a157a3eeb5.png" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নায়িকার গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল শ্রমিকের</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/12/29/1462620" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">কিন্তু কথাটা হলো, ভিন্নটা কেন করা হবে, আগেরটাই লাগবে, হুবহু আগেরটাই এবং ওইটার ওপরও কালি মেখে, রক্তের মত লাল রঙ দিয়ে ডা–ই–নি টাইপ ভাইভই রাখতে হবে, আর ওইটাতে যেভাবে জুতার মালা দেওয়া ছিল, ওই একইভাবে রাখতে হবে। মানে হুবহু রেস্টোর করতে হবে। ওইটার ভেতর যে মেসেজ ছিল, নতুনটার ভেতর সেটা নাই। গণঅভ্যুত্থানে দেশের জনগণ হাসিনাকে যেভাবে প্রত্যাখ্যান করে উৎখাত করেছিল, সেটার অটো রিপ্রেজেনটেশন ছিল ওইটাতে। </p> <p style="text-align:justify">আর হুটহাট করে যারা এইটা মোছার প্ল্যান করেছিল বা যাদের মাথা দিয়ে এই প্ল্যান বের হয়েছিল, তাদের প্রত্যেককে আইডেন্টিফাই করে কঠোর জবাবদিহিতার ভেতর নিয়ে আসা উচিত।  </p> <p style="text-align:justify">এই নির্দেশ এসেছিল কোন সংস্থা থেকে? এবং ক্যাম্পাসের ভেতর বড় টেকনিক্যাল ভেহিকেল নিয়ে এসে এই কাজ করা হয়েছে, তার মানে হলো এইটার পার্মিশনের সাথে ভিসি বা প্রক্টরের এফিলিয়েশন থাকবার কথা। অর্থাৎ কোন এজেন্সি থেকে যদি বলা হয় এবং প্রক্টর বা ভিসি যারা এইটা প্রতিরোধ করে নাই, তাদের প্রত্যেককে কঠোর জবাবদিহিতার ভেতর নিয়ে আসতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করার চিহ্নগুলো মুছে দিয়ে এরা কী করতে চায়, সেটা বুঝবার দরকার আছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আর্থিক খাত পুরোপুরি এগোতে পারেনি : গভর্নর" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/29/1735457201-28c03d3961c2e936cc6234f52d82e965.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আর্থিক খাত পুরোপুরি এগোতে পারেনি : গভর্নর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/12/29/1462618" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এবং একইসাথে বিভিন্ন জায়গায় ওই জুতারমালা গলায় দেওয়া প্রত্যাখ্যাত হাসিনার ডা-ই-নি রূপ ফুটিয়ে তোলার দরকার। যতবার মুছতে চাইবে, ততবার আরও বেশি করে সবজায়গায় ফুটিয়ে তুলতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">বিভিন্ন জায়গা থেকে এরা প্রথমে গ্রাফিতি মুছতে চাইবে, তারপর দেশের মানুষের মন থেকেই ওই হয়েনাদের অপকর্মের ফিরিস্তি মুছে দিতে চাইবে। কিন্তু আমরা তা হতে দিবো না। দেশের জনগণের উচিত সেটা কোন অবস্থাতেই না হতে দেওয়া!’</p>