<p>রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে আশিক ও খলিল শিকদার নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে কদমতলী এলাকা থেকে আশিককে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। দক্ষিণ শাহজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খলিল শিকদারকে (৫৪)।</p> <p>বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কদমতলী থানা সূত্রে জানা গেছে, আশিক ছয় মামলার পলাতক আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে কদমতলী ও শ্যামপুর থানায় আরো ছয়টি হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে আশিকের বিরুদ্ধে থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন ওই এলাকার ফল ব্যবসায়ী মো. আরিফুর রহমান। </p> <p>মামলার এজাহারে বলা হয়, আশিক ও তাঁর সহযোগী অনিক, আরাফাত, সুমনসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচ জন গত বছরের ১ অক্টোরব ভুক্তভোগীর ফলের দোকানে এসে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এভাবে তারা বিক্রমপুর প্লাজা থেকে মেডিক্যাল রোড পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিত। </p> <p>শাহজাহানপুর থানার পুলিশ জানায়, শাহজাহানপুরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পাশে এক ব্যক্তি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্থানীয় ফুটপাতের দোকানদারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে—এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশের অভিযানের সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের তিন হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। </p> <p>প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, খলিলসহ তাঁর সহযোগীরা বেশ কয়েক দিন ধরে স্থানীয় ফুটপাতের বিভিন্ন ভাতের হোটেল থেকে দৈনিক ২০০ টাকা এবং চায়ের দোকান থেকে দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে।</p>