পতাকা উত্তোলন, বইমেলা, লেখক পরিচিতি ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাজধানী ঢাকার অদূরে পূর্বাচলস্থ ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের একুশ উদযাপন।
ক্লাবের লিট সোসাইটি, লাইব্রেরি, প্রিন্ট ও পাবলিকেশন কমিটির পরিচালক ড. মাফরুহা আক্তার রুমানা অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা করেন।
কমিটির আহ্বায়ক ড. ফাতেমা দোজার সঞ্চালনায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
পতাকা উত্তোলন পর্বের নেতৃত্ব দেন ক্লাবের পরিচালক প্রশাসন আশরাফ হোসেন। এরপর ক্লাবের মালটিপারপাস শেডের মঞ্চে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে দেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজ, বিদেশি ক্যাডেট কলেজ ও ক্লাবের কর্মচারীরা সারিবদ্ধভাবে খালি পায়ে হেঁটে মঞ্চে উঠে প্রতীকী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ক্যাডেট কলেজ ক্লাব সদস্য, প্রাক্তন ক্যাডেট এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের লেখা বই নিয়ে দিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন করেন ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক, কবি ও নাট্যকার আবু মুহম্মদ রইস। বইমেলায় ৩২ জন লেখক অংশগ্রহণ করেন।
মেলা চলাকালে উপস্থিত লেখকদের নিয়ে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। প্রফেসর মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন লিট-সোসাইটির প্রথম চেয়ার স্থপতি ও লেখক শাকুর মজিদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাহবুব মোতানব্বী, ইকরাম কবীর, জ্যাকি কবীর, ইসমত আরা জুলী, শিমুল পারভীন, খন্দকার আলী কাওসার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে কবিতা আবৃত্তি করেন শিমুল পারভীন, শাহজাহান কামাল অনি এবং তানভীর হোসেইনের কণ্ঠে গাওয়া আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি গানটি সমবেত কণ্ঠে গাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
তবে ক্লাব রিসেপশনে বইমেলা চলতে থাকবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।