ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে হবে : শিমুল বিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে হবে : শিমুল বিশ্বাস
সংগৃহীত ছবি

আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন‍্য পুলিশ বিভাগ, বিআরটিএ, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে করনীয় নির্দেশনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, প্রতিটি ঈদ আসলেই ঘরমুখো মানুষ আতঙ্কে থাকে। যথা সময়ে বাড়ি ফেরা নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকেন। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে হবে।

 

তিনি বলেন, এই পবিত্র রমজানে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করি। ঘরমুখো মানুষের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে সেই ইবাদতকে আরও বেশি কার্যকর করতে আমরা সবাই যাতে সচেষ্ট থাকি।

আরো পড়ুন
অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সাহায্য চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সাহায্য চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

 

সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরোয়ার হোসেন, ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (ওয়ারি) আবুল কালাম আজাদ, মালিক সমিতির সাইফুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, শ্রমিক ফেডারেশনের আব্দুর রহিম বক্স, হুমায়ন কবির খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সভায় এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য মহাখালী, গাবতলী, সায়দাবাদ, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর রেল স্টেশনসহ ঢাকা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসিটিভি ও ইলেকট্রনিক মনিটরিংয়ের আওতায় আনার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা সকলকে অবহিত করা হয়।

ঈদের আগেই জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা নগরীতে সকল বাস টার্মিনাল এই মনিটরিং ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। 

সভায় অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, টিকেট কালোবাজারি, যাত্রীর মালামাল চুরি, ছিনতাই, সড়ক পথে দুর্ঘটনা, চাঁদাবাজী, ডাকাতি প্রতিরোধসহ নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব নিয়োজিত মালিক, শ্রমিক, পুলিশের প্রতিনিধিদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য আহব্বান জানানো হয় ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাজধানীতে ১০৫ কেজি গাঁজাসহ তিনজন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজধানীতে ১০৫ কেজি গাঁজাসহ তিনজন গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে ১০৫ কেজি গাঁজা ও গাঁজা পরিবহণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ তিন মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম। 

গ্রেপ্তাররা হলেন— মোসা. পারভিন বেগম (৫০), মোসা. জোসনা বেগম (৫০) ও মো. আতিকুর রহমান রবিন (৩৩)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

আরো পড়ুন
ঈদে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

ঈদে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

 


 
ডিবি-লালবাগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডিবির টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কয়েকজন মাদককারবারী একটি প্রাইভেটকারে গাঁজা বহন করে কাচঁপুর ব্রিজ হতে যাত্রাবাড়ী হয়ে খুলনার দিকে যাবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ীর অভিমুখে চেকপোস্ট পরিচালনা করে আগত প্রাইভেটকারগুলোকে তল্লাশি করতে থাকে ডিবির একটি টিম। এক পর্যায়ে একটি প্রাইভেটকার তল্লাশি চেকপোস্ট দ্রুত বেগে অতিক্রম করার চেষ্টা করলে ডিবি পুলিশের সদস্যরা কৌশলে প্রাইভেটকারটি থামায়। এ সময় চালকের পাশে বসে থাকা ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে পালিয়ে যায়।

 

এ সময় প্রাইভেটকারের চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেখানো প্রাইভেটকারের পেছনের ডালা থেকে ১০৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারসহ পলাতক ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজাসহ বিভিন্ন অবৈধ মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা উদ্ধারকৃত গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিলো ও বহন করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


 

মন্তব্য

ঈদে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে এবং ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ঈদ ঘিরে ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে তারা।

এ ছাড়া পুলিশকে সহায়তার জন্য এরই মধ্যে ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ নিয়োগ করা হয়েছে। এ ফোর্স আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

বুধবার (১৯ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এতে বলা হয়, ডিএমপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পুলিশের পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে অধিকতর সফল হওয়া সম্ভব। ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ঈদে বাসাবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগরবাসীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান।

ডিএমপির নির্দেশনায় রয়েছে—

>> বাসাবাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে এবং যে কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে, যেন তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক তদারক করতে পারে।

>> বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।

দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করে যথাসম্ভব সুরক্ষিত করতে হবে।

>> বাসাবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

>> বাসাবাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।

>> রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

>> অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে।

প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

>> বাসাবাড়ি ছাড়ার আগে যেসব প্রতিবেশী/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করতে হবে এবং ফোনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

>> ভাড়াটিয়াদের আগেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ছাড়ার বিষয়টি অবহিত করতে হবে।

>> অনুমতি ব্যতীত কেউ যেন বাসা বা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে, এ বিষয়ে বাসা বা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করতে হবে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে।

>> বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে লাইট, ফ্যানসহ অন্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

>> বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।

>> বাসার জানালা/দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে, যেন অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।

>> মহল্লা/বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে/দুষ্কৃতকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

>> ঈদে মহল্লা/বাসায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তার জন্য ৯৯৯ ছাড়াও কয়েকটি মোবাইল নম্বরসহ কয়েকটি নম্বর সরবরাহ করেছে ডিএমপি।

ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ০১৩২০-০৩৭৮৪৫; ০১৩২০-০৩৭৮৪৬; ২২৩৩৮১১৮৮; ০২৪৭১১৯৯৮৮; ০২৯৬১৯৯৯৯।

মন্তব্য

পাঁচ পণ্য নিয়ে মোহাম্মদপুরে উদ্বোধন হলো ‘জনতার বাজার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পাঁচ পণ্য নিয়ে মোহাম্মদপুরে উদ্বোধন হলো ‘জনতার বাজার’
সংগৃহীত ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচ নিত্যপণ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মোহাম্মদপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘জনতার বাজার’।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকালে মোহাম্মদপুরে জনতার বাজার-১ উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ। মোহাম্মদপুরের জনতার বাজার-১ এ উদ্বোধনী দিনে পাঁচটি পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জনতার বাজারে আগামীকাল থেকে পেঁয়াজ, আলু, রসুন, চাল ও আদা বিক্রি করা হবে।

তার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ ও মাংস বিক্রি করা হবে। 

আরো পড়ুন
দূষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

দূষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

 

ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, ঢাকা শহরে এই ধরনের বাজার করা চ্যালেঞ্জিং। দেশে যে স্থানে পণ্যের দাম কম থাকবে সেখান থেকে পণ্য এনে কম দামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আলাদা কোন দোকান হবে না।

আগামীকাল থেকে বিক্রি শুরু হবে। বাজারের দামের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে কম দামে বিক্রি করা হবে। এখানে কোনো পাইকারি বিক্রি হবে না, খুচরা বিক্রি করা হবে। ভোক্তা নিদিষ্ট পরিমাণ পণ্য নিতে পারবেন।
ঢাকা শহরে ৬/৭ টি জনতার বাজার করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদের পর সকল পণ্য নিয়ে পুরোদমে চালু হবে।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, কোন পণ্য আমাদের রান্না ঘরে ঢোকার আগে কয়েকবার হাত বদল হয়। এটার কারণে আমাদের ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়ে। এ উদ্যোগ সফল হলে অন্যান্য জায়গায় একই উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।
সুতরাং এটা আমাদের জন্য পরীক্ষা।

আরো পড়ুন
হাসিনা পালানোর পর রাসেলস ভাইপারও চলে গেছে : শেখ বশিরউদ্দীন

হাসিনা পালানোর পর রাসেলস ভাইপারও চলে গেছে : শেখ বশিরউদ্দীন

 

তিনি আরো বলেন, আমাদের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তায় স্বস্তি আনা প্রয়োজন। আসল নিরাপত্তা বিধান ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্য করা উচিত। আমাদের বেঁচে থাকতে হলে ক্রয় ও বিক্রয় করতে হবে। যদি আমরা নিয়ম মেনে চলি, তাহলে আমরা সকলে লাভবান হবো। আমাদের দেশে বড় সমস্যা হল, ক্রেতা ও বিক্রেতা পরস্পরকে ঠকানোর চেষ্টা করে। এটা পুঁজিবাদী নীতি। রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রতারকের সঙ্গে আমি কখনো থাকবো না।

ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সভাপতিত্বে জনতার বাজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বসিলা আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর তৌফিক ইমাম, পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. জুয়েল রানা প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা
ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি-বিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরবাসীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (১৯ মার্চ) ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে এবং ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি-বিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি। পুলিশকে সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।

ডিএমপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে অধিকতর সফল হওয়া সম্ভব। 

ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরবাসীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধও জানিয়েছে ডিএমপি। নির্দেশনাগুলো হলো- 

১. বাসা-বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে এবং যেকোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে, যাতে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক তদারক করতে পারেন। 

২. বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করে যথাসম্ভব সুরক্ষিত করতে হবে।

 

৩. বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

৪. বাসা-বাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। 

৫. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। 

৬. অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

 

৭. বাসা-বাড়ি ত্যাগের পূর্বে যেসব প্রতিবেশি/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন, তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করতে হবে এবং ফোনে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। 

৮. ভাড়াটিয়াদের আগে থেকেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি অবহিত করতে হবে।

১০. বাসা-বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কি-না, তা নিশ্চিত করতে হবে। 

১১. বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে। 

১২. বাসার জানালা/দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে, যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে। 

১৩. মহল্লা/বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে/দুষ্কৃতকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে। 

১৪. ঈদে মহল্লা/বাসায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার জন্য কয়েকটি নম্বরও দেওয়া হয়েছে। নম্বরগুলো হলো- ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯। এছাড়াও জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরেও (৯৯৯) প্রয়োজনে ফোন করা যাবে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ