<p>বিশ্ব আধিপত্যের জন্য ‘কে-পপ’ এখন দারুণ জনপ্রিয়। কোরিয়ান ব্যান্ডগুলোর ভক্ত দুনিয়ার প্রতিটি কোণায় এখন। ‘বিটিএস’ এবং ‘ব্ল্যাকপিংক’ এর মতো ব্যান্ড গুলো তাদের সঙ্গীতের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বহাল রেখেছে। কিন্তু বাম, ডান এবং মাঝখান থেকে বেশ কিছু প্রতিভাবান ব্যান্ড আসায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রবল হয়েছে আরো! প্রতি বছর আত্মপ্রকাশ করা শতাধিক দলের মধ্যে মাত্র কয়েকটি নিজেকে বড় করে তুলতে পারে। এমনকি শীর্ষে পৌঁছালেও মুহুর্তের মধ্যেই তারা পিছিয়ে যেতে পারে, এটি এতোটাই অস্থির একটি শিল্প।</p> <p>তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ২০২২ সালের সবচেয়ে ধনী ‘কে-পপ’ গ্রুপের তালিকায় কে কে রয়েছে-</p> <p><img alt=\"\" src=\"http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Untitled-5 copy(2).jpg\" style=\"height:588px; width:900px\" />‘টিভিএক্সকিউ’ ব্যান্ড এর তারকারা</p> <p><strong>টিভিএক্সকিউ :</strong> বিটিএস আসার আগে, টিভিএক্সকিউ ২০০৩ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই বিশ্বব্যাপী ঝড় তুলে এসেছে। বর্তমানেও ‘কে-পপ’ এই আইকনটি শিল্পের সবচেয়ে ধনী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটি। ‘স্পোর্টসকিডা’র প্রতিবেদন অনুসারে, টিভিএক্সকিউ-এর মোট মূল্য ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। </p> <p><img alt=\"\" src=\"http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Twice.jpg\" style=\"height:627px; width:900px\" />‘টুইস’ এর জনপ্রিয় তারকারা</p> <p><strong>‘টুইস’ : </strong>জেওয়াইপির মেয়ে বসরাও পরিচিত ‘নেশনস গার্ল গ্রুপ’ হিসাবে (যদিও গার্লস জেনারেশনও এই শিরোনামের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে)। ‘কে-পপ’ এর এই জনপ্রিয় ব্যান্ড এর মূল্য ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই গ্রুপের মেয়েরা বিশ্বজুড়ে এমন প্রভাব ফেলেছে যে তারা এশিয়ার অনূর্ধ্ব ৩০ হিসেবে ফোর্বসের ৩০ এর তালিকায় জায়গা করে নেওয়া একমাত্র ‘কে-পপ’ গ্রুপ।</p> <p><img alt=\"\" src=\"http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Blackpink.jpg\" style=\"height:628px; width:900px\" />‘ব্ল্যাকপিংক’ এর সদস্যরা</p> <p><strong>ব্ল্যাকপিংক :</strong> বিপ্লব তৈরি করা এই নারী গ্রুপটিকে ভক্তদের পক্ষ থেকে ‘ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট’ এর ‘প্রধান উপার্জনকারী’ হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে। এটির বাজার মুল্য ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ব্ল্যাকপিঙ্ক চার্টের শীর্ষ দিকে রয়েছে এবং লেডি গাগা, কার্ডি বি, ডুয়া লিপা এবং সেলেনা গোমেজের মতো আন্তর্জাতিক নামগুলির সাথে সহযোগিতা করে তাদের অবস্থানকে মজবুত করেছে।</p> <p><img alt=\"\" src=\"http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/BTS.jpg\" style=\"height:900px; width:900px\" />বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড ‘বিটিএস’</p> <p><strong>বিটিএস :</strong> স্পোর্টসকিডা অনুসারে- অ্যালবাম বিক্রি, ট্যুর, ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট এবং রয়্যালটি থেকে আয়ের ক্ষেত্রে ‘বিটিএস’ এর মূল্য ১২০-১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে এর প্রভাব এত ব্যাপকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, বলা হয় বিটিএস দেশটির অর্থনীতিতে ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এনেছে, যা অনেক বহুজাতিক কোম্পানির চেয়েও বেশি।</p> <p>২০১৯ সালে, বিটিএস ছেলেরা তাদের ‘লাভ ইয়োরসেলফ’ ওয়ার্ল্ড ট্যুর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে ১৭০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছে, যা সেলিব্রিটি নেট ওয়ার্থ অনুসারে মেটালিকা বাদ দিয়ে সেই বছর যে কোনো আমেরিকান ব্যান্ডের চেয়ে বেশি।</p> <p><img alt=\"\" src=\"http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Exo.jpg\" style=\"height:601px; width:900px\" />শীর্ষস্থান ধরে রাখা ব্যান্ড ‘এক্সো’</p> <p><strong>এক্সো :</strong> এস এম এন্টারটেইনমেন্টের গর্ব এবং আনন্দের ডাকনাম ‘নেশনস পিক’ হিসেবে খ্যাত ‘এক্সো’। ব্যান্ডটি ‘কে-পপ’ এর জগতে রাজত্ব করছে এর সদস্যদের অসামান্য কণ্ঠ, উজ্জ্বল নৃত্য, কোরিওগ্রাফি এবং জমকালো ভিজ্যুয়ালের জন্য। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে ‘কে-পপ’ এর শীর্ষে থাকা ‘এক্সো’র মুল্য বর্তমানে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার! কিন্তু তারা কি সত্যিই এক বিলিয়ন ডলারের মূল্যবান?</p> <p>এটা অবাক করা বিষয় যে এক্সো এর মূল্য ‘বিটিএস’ এর চেয়ে ছয় গুণ বেশি হতে পারে, যা কিম কে এবং জে-জেডের মতো সবচেয়ে বড় পশ্চিমা সেলিব্রিটিদের মতো বড়! তাদের মুল্যের এই সংখ্যাটি ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে কেপ স্টারজ, কামি এবং চ্যানেল কোরিয়ার মতো কোরিয়ান মিডিয়া আউটলেটগুলিতে। যদিও পরবর্তীতে আরো বলা হয়েছে যে এর প্রতিটি সদস্যের নিজস্ব নেট মূল্য প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার থেকে ১০ মিলিয়ন ডলারের মতো!</p> <p>‘এক্সো’র প্রভাব এত ব্যাপকভাবে প্রশংসিত যে গ্রুপটি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফোর্বসের ‘কোরিয়া পাওয়ার সেলিব্রিটি’র শীর্ষ পাঁচটি প্রভাবশালী সেলিব্রিটির মধ্যে তালিকাভুক্ত ছিল।</p> <p>সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট</p>