<p>‘ন ডরাই’ ও ‘অন্তর্জাল’-এ সম্ভাবনার জানান দিয়েছেন। সুনেরাহ বিনতে কামাল এবার তাঁর রুপালি যাত্রায় একটু থামলেন নাটকের স্টেশনে। প্রথমবার অভিনয় করলেন ড্রয়িংরুমের দর্শকের জন্য। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর ভাবনার জানালা খুলেছেন কামরুল ইসলাম।</p> <p><strong>হঠাৎ নাটকে কী ভেবে?</strong><br /> শুটিং করতে খুব ইচ্ছা করছিল। সিনেমার শুটিং দফায় দফায় পিছিয়ে যাচ্ছে, বসে আছি অনেক দিন। নাটকের প্রস্তাব অনেক আগে থেকেই আসে; কিন্তু করিনি। সাজ্জাদ (ইরফান সাজ্জাদ) আমার বন্ধু। ও বলল নাটকটা করতে। গল্প পড়ে আমারও ভালো লাগল। বসেই যেহেতু আছি, কাজটা করি। অভিনয়ের চর্চাটা অন্তত থাকবে।</p> <p><strong>শুটিংয়ে কোনো পার্থক্য নজরে পড়ল?</strong><br /> আমরা তো সিনেমার মানুষ। চিত্রনাট্য আগে থেকে পড়ে প্রস্তুতি নিয়ে শুটিং করি। নাটকে অত সময় পাওয়া যায় না। যেহেতু সহশিল্পী আমার চেনা, টিমের সবাই বন্ধুসুলভ ছিলেন। স্বাচ্ছন্দ্যেই কাজটি করেছি। সময়ের স্বল্পতাই চোখে লেগেছে শুধু। অবশ্য শুটিংয়ে বেশ কষ্টও হয়েছে। সারা রাত পেরিয়ে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলেছে শুটিং, তবু কিছু দৃশ্য বাকি! নিরুপায় হয়ে নির্মাতাকে (রাগিব রায়হান) বললাম, আর সম্ভব না। মুখ আর নড়ছে না, কিভাবে অভিনয় করব! পরে প্যাকআপ করে দেন। দুই-তিন দিন পর ওই দৃশ্যগুলো শুট করে আসব।</p> <p><strong>এ নাটকের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নিশ্চয়ই আরো কাজের ডাক পাচ্ছেন। নাটকে কন্টিনিউ করবেন?</strong><br /> আমি চাইনি সবাই এভাবে জানুক। অনেকেই ফোন করছেন। আগে এটা শেষ করি। প্রচারের পর দেখি মানুষ কিভাবে নেয় আমাকে। তারপর ভেবে-চিন্তে কাজ করব। খুব বেশি নাটক যে করব, তা-ও না। </p> <p><strong>এক বছর হলো নতুন ছবির খবর নেই...</strong><br /> কয়েকটি ছবি হাতে আছে। কিন্তু এখনই কিছু বলতে পারছি না। শুটিং হোক, আগে ছবির খবর দেওয়া আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়।<br />  <br /> <strong>‘ন ডরাই’-এর পর আপনাকে ঘিরে যে সম্ভাবনার আলো জ্বলে উঠেছিল, ‘অন্তর্জাল’-এর পর কি সেটা একটু স্তিমিত হয়ে গেছে?</strong><br /> ব্যাপারটা এ রকম না। বলতে পারেন আমার ভাগ্যটা খারাপ। ‘ন ডরাই’ মুক্তির কিছু দিন পর শুরু হয় কভিড। কিছু ছবি করার কথা ছিল। সেগুলো আর হয়নি। পরে ‘অন্তর্জাল’ করলাম। এটার পেছনে দুই বছর চলে গেছে। এরপর মনে হলো, বছর খানেক বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। বিরতির পর কিছু ছবিতে যুক্ত হলাম। এর মধ্যেই রাজনৈতিক ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে শুটিং শুরু হয়নি। ভারতেও একটি কাজের কথা হয়েছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি সেটা ছেড়ে দিয়েছি। <span style="color:#000000">কারণ আমি এখন ভারতে গিয়ে কাজ করলে দেশের মানুষ পছন্দ করবে না।</span></p> <p><strong>ফেসবুকে তারকারা প্রায়ই নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হন। অভিনেত্রী হলে তো কথাই নেই! এসব কিভাবে সামলে নেন?</strong><br /> আমি কমেন্টস দেখিই না। ফেসবুক ফ্রি প্ল্যাটফরম। কিছু হতাশ মানুষ আছে, যারা ফেইক অ্যাকাউন্ট বানিয়ে অন্যদের পোস্টে গালি দেয়। এটা কিন্তু মানসিক সমস্যা। রাগ মেটানোর জন্য সে দরকার হলে বক্সিং ক্লাস করুক। সেটা না করে ফেসবুকে এসে তারকাদের গালি দেয়, এতেই তার শান্তি। যেন সে জিতে গেছে! এসব লোকের জন্য তো আমি নিজের সময় নষ্ট করব না। এ জন্য এসব মন্তব্য দেখা বন্ধ করে দিয়েছি।</p> <p><strong>হলিউড-বলিউডে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে হ্যাশট্যাগ মিটু মুভমেন্ট হয়েছে। কিছু দিন ধরে মালয়ালম ও পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডাস্ট্রিও এই ইস্যুতে টালমাটাল। ঢাকার শোবিজে এ রকম মুভমেন্ট হতে পারে? </strong><br /> আমি এ রকম ঘটনার মুখোমুখি হইনি। অন্য কারো সঙ্গে ঘটেছে কি না জানি না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে সুন্দর মনে হয় আমার। যখন থেকে কাজ করছি, দেখছি সবাই খুব সাপোর্টিভ। হ্যাঁ, ভালো-খারাপ সব জায়গাতেই থাকে। হয়তো খারাপটা আমার কাছে আসেনি। ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম কিছু আছে বা নেই, কোনোটাই বলব না। যদি এ রকম কিছু ঘটে থাকে, যাঁর সঙ্গে ঘটেছে, তাঁর অবশ্যই আওয়াজ তোলা উচিত। এটা নিয়ে চুপ থাকার কিছু নেই। দেখুন, যেসব নির্মাতা-শিল্পী ভালো ভালো কাজ করেন, তাঁরা কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।</p> <p><strong>প্রেমের সম্পর্কে আছেন? গুঞ্জন কিন্তু শোনা যায়...</strong><br /> আপাতত কাজে খুব ব্যস্ত। গুঞ্জন অনেক শুনি। শুধু ছেলে না, আমাকে তো মেয়েদের সঙ্গেও জড়িয়ে দেয়! এগুলো দেখে আমি হাসি। কারো সঙ্গে দেখলেই সম্পর্ক বানিয়ে দেয়। অফিসের কাজ, অভিনয়, মা-বাবার দেখাশোনা—এখন এসব নিয়েই কুলাতে পারছি না। প্রেম কখন করব! হাহাহা!</p>