<p>২০২১ সালে প্রথম সিজন মুক্তির পর ‘স্কুইড গেম’ বিশ্বেজুড়ে ব্যাপক ঝড় তুলেছিল। নেটফ্লিক্সের সর্বকালের সেরা টিভি শো হিসেবে জায়গা করে নেয় এটি। জীবনযুদ্ধে পরাজিত, সমস্যাগ্রস্ত ও হতাশ কিছু মানুষের গল্প নিয়ে এই থ্রিলার সিরিজ। তবে সিরিজটির গল্প নাকি নকল করা, আর সেটিও একটি ভারতীয় সিনেমার! এমনটাই দাবি করেছেন বলিউডের এক নির্মাতা।</p> <p>২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল অভিনেতা ইমরান খান, সঞ্জয় দত্ত, রবি কিষণ অভিনীত ‘লাক।’ এই সিনেমার কথা বিশেষভাবে মনে রাখেনি হিন্দি সিনেপ্রেমীরা। ইমরানের ক্যারিয়ারের ফ্লপ সিনেমার তালিকায় অন্যতম এটি। তবে আচমকাই ২০২৪ সালে এসে সিনেমার নির্মাতা সোহম শাহের দাবি, নেটফ্লিক্সের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ ‘স্কুইড গেম’ নাকি লাক-এর ভাবনা চুরি করে তৈরি! এর জেরে স্ট্রিমিং জায়েন্টের নামে আদালতে মামলাও করে দিয়েছেন সোহম। </p> <p>অবশ্য সোহমের দাবির পাল্টা জবাব দিয়েছে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ। হিন্দুস্তান টাইমসকে নেটফ্লিক্স জানায়, ‘এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই। স্কুইড গেমটি হোয়াং ডং হিউক দ্বারা নির্মিত এবং তিনিই লিখেছেন এবং আমরা এই বিষয়টি জোরালোভাবে রক্ষা করতে চাই।’</p> <p>টিএমজেডের হাতে আসা নথি অনুযায়ী, পরিচালক দাবি করছেন- সঞ্জয় দত্ত, ইমরান খান, শ্রুতি হাসান এবং আরও অনেক নাম অভিনীত তাঁর সিনেমাটি এমন একদল লোককে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে যারা জ্যাকপট জেতার জন্য মারাত্মক গেম খেলে এবং তাদের ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টা করে। প্রতিটি খেলোয়াড় মারা যাওয়ার সাথে সাথে প্রাইজমানি বাড়তে থাকে। স্কুইড গেমটিও একটি রানওয়ে হিট শো ছিল, যারা অর্থের জন্য মরিয়া এবং টাকার লোভেই একটি রিয়েলিটি শোতে অংশ নিতে রাজি হয়। তারা এমন খেলা খেলে যেখানে হারের অর্থই হল মৃত্যু হয়। একে একে মারা যেতে থাকে প্রতিযোগিরা। আর এখানেও প্রাইজমানি বাড়তে থাকে।</p> <p>শাহ দাবি করেছেন যে তিনি ২০০৬ সালে বা তার কাছাকাছি সময়ে তাঁর গল্পটি লিখেছিলেন এবং ২০০৯ সালের জুলাই মাসে সিনেমাটি ভারত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেক্ষাগৃহে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছিল। তিনি আরও যোগ করেছেন যে স্কুইড গেমের লেখক হোয়াং ডং-হিউক, যার বিরুদ্ধেও মামলা করা হচ্ছে, তিনি ২০০৯ সালে তার গল্পটি লিখেছিলেন, যা লাকের মুক্তির একই বছর।</p> <p>সোহম শাহের সঙ্গে নেটফ্লিক্সের জবাবের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাল্টা জবাব মেলেনি এখন পর্যন্ত।</p>