<p>দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শারমিন সুলতানা সুমি। তার ব্যান্ড চিরকুট নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে এমনকি বিদেশে শো করেছেন। অংশ নিয়েছেন নানা সংগীতবিষয়ক সম্মেলনে। বলা যায়, প্রায় এক যুগের সংগীতযাত্রায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলা গানকে বিশ্বমঞ্চকে বারবার তুলে ধরেছে ব্যান্ড চিরকুট।</p> <p>বর্তমানে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিউজিক এক্সপোতে অংশ নিতে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন ‘চিরকুট’প্রধান ও কণ্ঠশিল্পী শারমিন সুলতানা সুমী। নরওয়ের একটি সংগীত সম্মেলনেও অংশ নেবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।</p> <p><strong>দ্বিতীয়বারের মতো ওম্যাক্সে (ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিউজিক এক্সপো) অংশ নিচ্ছেন। এবারের অভিজ্ঞতা কেমন?</strong><br /> এবার বিশ্বের ৯০টি দেশের ২৬০ জন সংগীতশিল্পীসহ আড়াই হাজারেরও বেশি সংগীতসংশ্লিষ্ট মানুষ এসেছেন এই সম্মেলনে। সবাই মতবিনিময় করলাম। এর আগে ২০২২ সালে পর্তুগালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটিতে অতিথি হিসেবে থাকলেও এবার প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছি। ২৪ অক্টোবর শুরু হওয়া সম্মেলনটি আজ (গতকাল) শেষ হচ্ছে। আমি এখনো আলোচকদের টেবিলেই আছি। গতকালও (২৫ অক্টোবর) বক্তব্য দিয়েছি এখানে। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের মিউজিককে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। ব্যান্ড সংগীতের কথা যেমন বলেছি, তেমনি আমাদের ব্যান্ডগুলো বিশ্বের নানা প্রান্তে পারফরম করছে—সেটাও বলেছি। এ বছরের সম্মেলন একটু স্পেশাল। কারণ ওম্যাক্স এবার তিন দশক পার করল। সংগীতের নানা গুণীজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে দারুণ লাগছে।<br />  <br /> <strong>নরওয়ে যাবেন কবে?</strong><br /> এখানে (যুক্তরাজ্য) ইউকে ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেব কাল [২৮ অক্টোবর]। নরওয়ে যাব ৪ নভেম্বর। নরওয়ের সম্মেলনটি শুরু হবে সেদিনই। দেশটির ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগডারের আমন্ত্রণে যাচ্ছি এবার। সম্মেলনটি চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত।</p> <p><strong>বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সংগীতকে তুলে ধরতে কেমন লাগে?</strong><br /> অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করে। আমাদের গান এখন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ শুনছে। তারা আমাদের গানের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহীও। আমি যখন বাংলা গানের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরি তখন সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনেন। অনেকে নানা প্রশ্নও করেন। সেগুলো উত্তর দিই। এটা বাংলাদেশি হিসেবে গর্বের। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে যখন যে দেশে গেছি, আমাদের গানের সঙ্গে মানুষের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা করতে বরাবরই ভালো লাগে।</p> <p><strong>‘চিরকুট’কে গানে পাওয়া যাচ্ছে না আগের মতো...</strong><br /> গানের ক্ষেত্রে আমরা কখনোই তড়িঘড়ি করিনি। সব সময় শ্রোতাদের ভালো গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের শ্রোতারা জানেন, যখন একটা ভালো গান তৈরি হয় তখন প্রকাশ করি। আমাদের চতুর্থ অ্যালবামের কাজ চলছে এখন। আমি এখানে বসেই কিন্তু গান লিখছি, সুর করছি। সেগুলো পাঠাচ্ছি দেশে। ব্যান্ডের বাকি মেম্বাররা সেটার সংগীতায়োজনের কাজ করছে। এর মধ্যে চারটি গান তৈরি হয়ে গেছে। বাকিগুলো তৈরি হলেই অ্যালবামটি প্রকাশ করব।</p> <p><strong>এরই মধ্যে ২২ বছর পার করল চিরকুট। অনেক ভাঙাগড়াও হয়েছে। এখন পথচলাটা কেমন?</strong><br /> ২২ বছর তো কম সময় নয়। দীর্ঘ এই পথচলায় অনেকে সঙ্গী হয়েছে, কেউ কেউ নিজের একক ক্যারিয়ারও গড়ার জন্য আলাদা হয়েছে। এটা ব্যান্ডের ক্ষেত্রে হবেই। তবে আমরা সব সময় একই ধারায় চলতে পছন্দ করি। নতুন গান করছি, নিজেদের পরিধি বাড়াচ্ছি। বিশ্বের সংগীতের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে চলাটাই ‘চিরকুট’-এর লক্ষ্য।</p> <p><strong>চলচ্চিত্রের গানেও সফল চিরকুট। নতুন কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন?</strong><br /> আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে আছি ‘রিকশা গার্ল’ ছবির গানটা নিয়ে। যাঁরা গানটি শুনেছেন, সবাই বলেছেন শ্রোতাদের গানটি পছন্দ হবে। আপাতত এই ছবির বাইরে আর কোনো গান করিনি। হয়তো সামনে দেশে ফেরার পর হবে।</p> <p><strong>দেশে ফিরবেন কবে?</strong><br /> একটু দেরি হবে। কারণ নরওয়ে থেকে আবার আমাকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে হবে। আরো কিছু কাজ রয়ে গেছে। সেগুলো শেষ করে হয়তো আগামী মাসের শেষের দিকে ফিরব।</p>