<p>গত এক বছরের বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্ববাসীর চোখ ফিলিস্তিনের দিকে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। একের পর এক বর্বোরোচিত হামলায় ঝড়ে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। টিভি পর্দা কিংবা খবরের কাগজ খুলতেই মেলে একের পর এক প্রাণহানির সংবাদ। সবার এখন একটাই চাওয়া, এই ধ্বংসলীলা বন্ধ হোক দ্রুত। </p> <p>তবে এরইমধ্যে ফিলিস্তিনি সিনেমাপ্রেমীদের জন্য বড় দুসংবাদ দিল অনলাইন জায়ান্ট প্লাটফরম নেটফ্লিক্স। এলিয়া সুলেমানের ‘ডিভাইন ইন্টারভেনশন’, অ্যানেমারি জাসিরের ‘সল্ট অব দ্য সি’, মাই মাসরির ‘৩০০০ নাইটস’সহ ফিলিস্তিনের অনেক আলোচিত সিনেমা দেখা যেত নেটফ্লিক্সে। সপ্তাহখানেক ধরে সিনেমাগুলো আর দেখা যাচ্ছে না এ প্ল্যাটফর্মে। শুধু এ তিন সিনেমা নয়, ‘প্যালেস্টাইন স্টোরিজ’ নামের লাইব্রেরি থেকে ১৯টি সিনেমা সরিয়ে দিয়েছে নেটফ্লিক্স। </p> <p>২০২১ সাল থেকে ফিলিস্তিনের ৩২টি সিনেমা চলতো নেটফ্লিক্সে। সেখান থেকে ১৯ টি চলচ্চিত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও ছবিগুলো সরিয়ে ফেলার ব্যাখ্যা দিয়েছে নেটফ্লিক্স। ব্যাখ্যায় নেটিফ্লিক্স জানায়, ‘আমরা ২০২১ সালে তিন বছরের জন্য ফিল্মের এই লাইসেন্স সংগ্রহটি চালু করেছি। সেই লাইসেন্সগুলোর এখন মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা আমাদের সারা বিশ্বের দর্শকদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের মানসম্পন্ন ফিল্ম নিয়ে কাজ করছি।’</p> <p>বিষয়টি নিয়ে সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম ফরওয়ার্ড ছবিগুলো সরানোর কারণ কী, তার কৈফিয়ত চায়। প্রতিবাদ জানিয়ে পিটিশনসহ একটি খোলা চিঠি দিয়ে আন্তর্জাতিক এই স্ট্রিমিং প্লাটফর্মটির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ফিলিস্তিনি নির্মাতাদের নির্মিত এবং ফিলিস্তিনের জনগোষ্ঠীর কথা উঠে এসেছে- এমন সিনেমাগুলো কেন সরানো হল, তার ব্যাখ্যা চাই আমরা।’</p> <p>এদিকে মুছে দেওয়া সিনেমাগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করে আবার সেগুলো দর্শকদের সামনে আনা হবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে। তবে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ সে প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।</p>