<p>বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। বিশ্বজুড়ে শাহরুখ খানের ভক্তসংখ্যা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার হিসেবেও মান্য করা হয় এই অভিনেতাকে। গোটা পৃথিবীর আনাচকানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিং খানের ভক্তরা। সারা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার ভক্তকূল। বছরের ৩৬৫ দিনই যে বাড়ির সামনে ভক্ত অনুরাগীদের ভিড় থাকে, সেটি মান্নাত। বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের এই বাড়ির সামনে প্রতিদিন আনাগোনা শত শত ভক্তবৃন্দের। একনজর কিং খানের দেখা পেতেই ভিড় জমান তার ভক্তরা। কেউ কেউ ভাগ্যক্রমে দেখাও পেয়ে যান কিং খানের। তেমনি এক বাংলাদেশি শাহরুখ ভক্তের কথা জানা গেল!</p> <p>সম্প্রতি স্বপ্নের নায়কের সাথে গিয়ে দেখা করে এসেছেন বাংলাদেশি এক শাহরুখ ভক্ত! তার নাম তামজিদ ইসলাম জারির। অবশ্য তিনি একা নন। তার সঙ্গে আরো পাঁচজন ছিল বাংলাদেশের। তবে শাহরুখ খানকে ঘিরে জারির আবেগ হয়তো সমুদ্র সমান। প্রিয় নায়কের সাক্ষাৎ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন জারির।</p> <p>চলতি মাসের ২ তারিখে ছিলো শাহরুখের জন্মদিন। এদিন ভক্তদের আয়োজনে উপস্থিত হয়েছিলেন শাহরুখ! পরিকল্পনা করে যেখানে আগেই গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন জারির। যিনি আবার ‘এসআরকে বাংলাদেশ সিএফসি’- এর সাংগঠনিক সম্পাদক। দেশে ফিরে স্বপ্নের নায়কের দেখা পাওয়া প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে জারির বলেন, ‘একথা বলা বাহুল্য যে শাহরুখ খান আমার স্বপ্নের নায়ক। তার সান্নিধ্য পাওয়া এক জনমের সৌভাগ্য! আর এই স্বপ্ন পূরণে আমাকে সহায়তা করেছেন আমাদের ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি কাজী শাহাদত এবং সহসভাপতি সুমাইয়া শরীফ অপি। প্রথমেই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’</p> <p>জারির বলেন, “৩১ অক্টোবর আমি মুম্বাইয়ের উদ্দেশে উড়াল দিই। মুম্বাই পৌঁছানোর পর আমি সোজা মান্নাতে চলে যাই তার সৌন্দর্য দেখতে। অবশেষে ‘এসআরকে দিবস’ (২ নভেম্বর) অনুষ্ঠানে যখন আমি পাস পেলাম, আমি সত্যিই খুশি হলাম। যখন আমি অডিটোরিয়ামে ঢুকলাম এবং পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘কিসকা হ্যায় হ্যায় তুমকো ইন্তেজার মেই হু নাহ’ শুনলাম, আমি কাঁদতে শুরু করলাম।”</p> <p>শাহরুখের সাক্ষাৎ পাওয়ার মুহূর্তটি নিয়ে বাংলাদেশি এই তরুণ বলেন,“আবার যখন আমি শাহরুখকে মঞ্চে প্রবেশ করতে দেখলাম, আমি আবার আবেগে ভেসে গেলাম। আমি অনুষ্ঠানটির প্রতিটি সেকেন্ড এবং শাহরুখ স্যারের বক্তৃতা উপভোগ করেছি। অবশেষে সেই মুহূর্ত এল যখন আমাকে শাহরুখ স্যারের সাথে একটি গ্রুপ ফটো তোলার জন্য মঞ্চে ডাকা হল, এবং তখন আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে এটা ঘটছে। তার পাশে বসার আগে আমি তার হাতে আমার হাত বাড়িয়ে দিলাম এবং তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমার হাত ধরলেন, যা আমার জন্য সত্যিই একটি চমৎকার মুহূর্ত ছিল। তারপর আমি তাকে বললাম, ‘স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি’- তিনি উত্তর দিলেন, ‘বেথ জাও’ (বসে পড়ো) এবং তারপরে আমরা একটি ছবি তুললাম। যাওয়ার আগে আমি আবার আমার হাত বাড়িয়ে দিলাম এবং তিনি আবার আমার হাত ধরলেন। এই মুহূর্তগুলো আমাকে সত্যিই অনেক খুশি করেছে। তিনি সত্যিই বিনম্র এবং বিশ্বজুড়ে তার সকল ভক্তের প্রতি খুব লয়াল! তাই আমার স্বপ্ন সত্যি হলো। অনুষ্ঠান ছাড়ার আগে আমাকে শাহরুখ স্যারের পক্ষ থেকে খাবারের সাথে দুটি উপহার দেওয়া হয়েছিল। উপহার দুটি ছিল ব্লুটুথ নেকব্যান্ড (হেডফোন) এবং বিশেষ শাহরুখ স্যারের একটি ছবি, যার সাথে তার স্বাক্ষর ছিল।”-বলছিলেন জারির।</p> <p>শাহরুখের সাথে দেখা করে পরের দিনই বাংলাদেশে চলে আসেন এই তরুণ। বলিউড বাদশাকে কাছ থেকে দেখে এসে তিনি জানান, তার কাছে একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব শাহরুখ। কীভাবে মানুষের সাথে বিনয়ী হতে হয়, কীভাবে নম্র হতে হয়, এবং বিশেষত কীভাবে পৃথিবীজুড়ে মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয় তা শাহরুখের কাছেই শেখা যায়।</p>