<p>এশিয়ার প্রথম নারী অভিনেত্রী হিসেবে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কার জয় করে ইতিহাস গড়েছিলেন অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো। ৯৫তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে ‘এভরিথিং এভরিহোয়ার অল অ্যাট ওয়ান্স’ সিনেমার জন্য এই সম্মাননা লাভ করেন তিনি। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ সম্মাননা পাওয়ার যে আক্ষেপ তা পূরণ হয়েছে অস্কার জয়ের মাধ্যমে। তবে ব্যক্তি জীবনে একটি আক্ষেপ এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। আর সেটি হলো মা হতে না পারার আক্ষেপ!</p> <p>অস্কারজয়ী অভিনেত্রী সবসময় মা হতে চাইতেন। সম্প্রতি ‘বিবিসি রেডিও ৪’-এর ওমেনস আওয়ারে আলাপকালে একথা বলেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী জানান, প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী স্যার ডিকসন পুনকে বিয়ে করার অন্যতম কারণ ছিল সন্তানের মা হওয়া। কিন্তু এটি সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই সংসার বিচ্ছেদে রুপ নেয়। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন অভিনেত্রী। তবে দ্বিতীয় সংসারেও সন্তান জন্ম দিতে পারেননি অভিনেত্রী।</p> <figure class="image"><img alt="5" height="338" src="https://npr.brightspotcdn.com/dims4/default/13434ae/2147483647/strip/true/crop/6310x4733+0+0/resize/880x660!/quality/90/?url=https%3A%2F%2Fmedia.npr.org%2Fassets%2Fimg%2F2023%2F03%2F14%2Fap23072332548106-a161eeb29ec639b6efe15cb5a35b6f7288956a9e.jpg" width="450" /> <figcaption><sub><em>অস্কারজয়ের পর অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো</em></sub></figcaption> </figure> <p>বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ব্যক্তি জীবনের এই আক্ষেপের কথা তুলে ধরেন মিশেল। তিনি জানান, সন্তান জন্মদানের জন্য চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। তবে কাজ হয়নি। এ নিয়ে কষ্ট পেতেন। তবে একটা সময় গিয়ে নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, “একটা সময় গিয়ে নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করে দিলাম। আমার মনে একটা সময় আপনি নিজেকে দোষারোপ বন্ধ করে দেবেন। আপনার শরীরের কিছু কার্যক্রম আছে যেটি সঠিকভাবে কাজ করে না।”</p> <p>প্রথম স্বামীর সঙ্গে ১৯৮৮ সালে বিয়ে হওয়ার পর ১৯৯২ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মূলত সন্তান না হওয়াই আপোষে বিচ্ছেদ করে নেন তিনি। কারণ তিনি তার স্বামীর চাওয়া অনুযায়ী সন্তান দিতে পারছিলেন না। তবে এরপর বাগদান সারেন বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফুরারির সাবেক সিইও জিন টডের সঙ্গে। দীর্ঘদিন একসঙ্গেই বসবাস করেছেন দুজন। বিয়ে করেছেন ২০২৩ সালে। এই সংসারেও সন্তান হয়নি মিশেলের। তাই মা না হওয়ার বেদনা এখনো তাকে কুঁরে কুঁরে খায়।</p> <p>৯৫তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে ‘এভরিথিং এভরিহোয়ার’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মিশেল ইয়ো। মালয়েশিয়ান অভিনেত্রী হিসেবে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে প্রথম মনোনয়ন পান তিনি। সমালোচকদের বিচারেও এগিয়ে ছিলেন মিশেল। এ বিভাগে তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন ‘টার’ সিনেমার কেট ব্লাচেট, আনা ডে আরমাসের মতো অভিনেত্রীরা। তবে সবাইকে হারিয়ে অস্কারে বাজিমাত করেন মিশেল। এর আগে গোল্ডেন গ্লোব ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারও লাভ করেন অভিনেত্রী।</p>