তিনি পরিচালক অয়ন সেনগুপ্ত। তার হাত ধরে টেলিপর্দায় হইচই ফেলে দিয়েছিল ‘কে আপন কে পর’, ‘কী করে বলব তোমায়’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মতো ধারাবাহিক। সেই পরিচালকের হাতে গত দুই বছর ধরে কোনও কাজ নেই।
বিভিন্ন জায়গায় কাজের জন্য শত চেষ্টা করলেও পাননি।
তিনি পরিচালক অয়ন সেনগুপ্ত। তার হাত ধরে টেলিপর্দায় হইচই ফেলে দিয়েছিল ‘কে আপন কে পর’, ‘কী করে বলব তোমায়’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মতো ধারাবাহিক। সেই পরিচালকের হাতে গত দুই বছর ধরে কোনও কাজ নেই।
বিভিন্ন জায়গায় কাজের জন্য শত চেষ্টা করলেও পাননি।
ফেসবুক লাইভে অয়ন বলেন, ‘ক্রাইসিসের মধ্যে ছিলাম। সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যই নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে বার বার একটা কথাই বলব, আমি ইন্ডাস্ট্রি ছাড়িনি। পরিচালনা বা অভিনয়ের কাজ ছাড়তে চাইছি না।
সংবাদমাধ্যমে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘কারও বিরুদ্ধে তার কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু গত দু’বছর ধরে দুটো বিষয় দেখেছেন তিনি। যারা নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন, তারাই নিয়মিত কাজ করছেন। আর যারা কাজ পান না বা পাচ্ছেন না তাদের কিন্তু কাজ জুটছেই না! ’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমার ঠিক কোথায় ত্রুটি? কেউ বলতে পারছেন না। কিন্তু কাজও দিচ্ছেন না।’
সম্পর্কিত খবর
বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, এখনও অবিবাহিত সুস্মিতা সেন। দুই সন্তানকে দত্তক নিয়েছেন। ‘সিঙ্গেল মাদার’-এর ভূমিকায় অতুলনীয়। বলিউডের গ্ল্যাম ডিভা সুস্মিতা রূপে-গুণে অনন্যা।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনেও সেই একই প্রশ্নের মুখোমুখি সুস্মিতা সেন। এসময় স্টারডমকে দূরে রেখে ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন অভিনেত্রী। গুছিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুরাগীরা তার কাছে বিয়ের পরিকল্পনা জানতে চাইলে সুস্মিতা বলেন, ‘আমিও বিয়ে করতে চাই। তার জন্য তো যোগ্য পাত্র প্রয়োজন। বিয়ে তো বললেই হয়ে যায় না। দুটো মনের মিলনের জন্য তো রোম্যান্টিক হওয়া দরকার যাতে আমার মনে কথা তার হৃদয় শুনতে পায়।
সম্প্রতি জয়পুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুস্মিতা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই সুস্মিতাকে তার নিজের বিয়ের পরিকল্পনা শেয়ার করার অনুরোধ করেন এক অনুরাগী। কোনোরকম আপত্তি না করেই প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী তার মনের কথা শেয়ার করেন।
তার কথা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, বিয়ের শখ ষোলো আনা, শুধু সঠিক পাত্রের অভাব!
ইতিমধ্যে অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ললিত মোদী থেকে রহমান শলের।
ওই বছরই ললিত মোদী সুস্মিতাকে ‘বেটারহাফ’ অর্থাৎ অর্ধাঙ্গিনী বলে সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু, পরে নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্ট থেকে সুস্মিতার নাম-ছবি সব সরিয়ে ফেলেন।
সুস্মিতাকে শেষ দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘আরিয়া ৩’-তে। সিরিজের তিনটি পর্বই দারুণ সাড়া ফেলেছিল দর্শকমহলে। এখন ভক্তরা অপেক্ষায় রয়েছেন কনের সাজে তাদের প্রিয় অভিনেত্রীকে দেখার জন্য।
পৌরাণিক ঘটনা ‘রামায়ণ’ নিয়ে বলিউডে বিগ বাজেটে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। এতে রামের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে। সীতার ভূমিকায় থাকছেন সাই পল্লবী। আর খল চরিত্র রাবণের ভূমিকায় দেখা মিলবে কেজিএফ তারকা যশের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাবণের চরিত্র নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন যশ। অভিনেতা জানান, এমন চরিত্রে তিনি আগে কখনও অভিনয় করেননি, তাই রাবণকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যশ বলেন, ‘রাবণের চরিত্রটি আমার কাছে খুবই স্পেশাল। অন্য কোনও কারণে করিনি। কেউ যদি আমাকে রামায়ণে রাবণ ছাড়া অন্য কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে বলত, আমি তা প্রত্যাখ্যান করতাম।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রামায়ণের শুটিং শুরু করেছেন যশ। ‘টক্সিক’ সিনেমার জন্য আগেভাগেই মুম্বাইয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন যশ।
সূত্রের খবর অনুসারে, যুদ্ধের অংশগুলি বড় পরিসরে সাজানো হচ্ছে। যুদ্ধে রাবণের কৌশলগত দক্ষতা পর্দায় তুলে ধরার জন্য অ্যাকশন কোরিওগ্রাফে বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে। ভিএফএক্স এখানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই রাম-রাবণের সম্মুখ সমরের দৃশ্যের শুটিংয়ে রণবীরের প্রয়োজন এখনও পর্যন্ত হয়নি। আপাতত যশকে নিয়েই শুটিং চলছে। তবে এই পর্বে সিনেমার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতারাও যশের সাথে যোগ দিয়েছেন।
বিশাল প্রস্তুতি নিয়েই বড়পর্দায় রামায়ণ আনতে চলেছেন নীতিশ। ২০২৫ সালের দীপাবলির আগেই ‘রামায়ণ’ ট্রিলজির প্রথম কিস্তির কাজ সারতে চাইছেন নির্মাতা। কারণ ২০২৬ সালে প্রথম কিস্তি মুক্তি পাবে। দ্বিতীয় কিস্তি ২০২৭ সালের দিপাবলীতে মুক্তির কথা রয়েছে।
চার বছরের বিরতি কাটিয়ে ‘পাঠান’ দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল শাহরুখ খানের। রুপালি পর্দায় তার কণ্ঠে ‘জিন্দা হ্যায়’ শুনে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল সিনেমা হল! তখন থেকেই শুরু হয়েছে প্রতীক্ষা।
কবে আসছে ‘পাঠান ২’? অবশেষে জানা গেছে, চিত্রনাট্যের ‘ফাইনাল’ খসড়া তৈরি করে ফেলেছেন আদিত্য চোপড়া। আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের শুরুতেই ছবিটি শুটিং ফ্লোরে যাওয়ার কথা।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই ‘পাঠান ২’-এর চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছিলেন আদিত্য চোপড়া। সেই হিসেবে দেড় বছরেরও বেশি সময় লাগল চিত্রনাট্য শেষ হতে। কেন এত দেরি?
সূত্রের দাবি, সিক্যুয়ালটিকে নিছকই একটি সিক্যুয়াল মাত্র হিসেবে দেখতে চাননি যশ চোপড়ার পুত্র।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল যশরাজের স্পাই ইউনিভার্সে শাহরুখের প্রথম ছবির কাহিনি যিনি লিখেছিলেন, সেই আব্বাস দ্বিতীয় ছবির গল্পও লিখেছেন। কিন্তু পরে জানা যায়, আদিত্য চোপড়া নিজে কাজ করছেন ছবিটি নিয়ে। তিনি চান, প্রথম ছবিটিকেও টেক্কা দিতে।
কিন্তু চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হলেও এখনো ঠিক হয়নি ছবি পরিচালনা কে করবেন। ‘পাঠান’-এর পরিচালনা করেছিলেন সিদ্ধার্থ আনন্দ।
তাহলে ‘পাঠান ২’-তে কে হবেন পরিচালক? আপাতত দুটি নাম সামনে রয়েছে। একজন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়। ‘ওয়ার ২’ ছবিটি নাকি তিনি দারুণ পরিচালনা করেছেন। অন্যজন খোদ আদিত্য। তবে একেবারে নতুন কাউকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।
২০২৫ সালের আগস্টে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ওয়ার ২’। যেহেতু স্পাই ইউনিভার্স, তাই ‘পাঠান’ সম্ভবত স্ক্রিন শেয়ার করবেন ‘কবীর’ হৃতিক রোশনের সঙ্গে। অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় এসআরকে-কে দেখতে যে দর্শকরা উদগ্রীব থাকবেন তা বলাই যায়।
তবে আসল অপেক্ষা থাকবে ‘কিং’ ও ‘পাঠান ২’ নিয়ে। ‘রোম্যান্সের রাজা’ নিজেকে অ্যাকশন হিরো হিসেবে ক্রমেই প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন। আগামী ছবি দুটির সাফল্য সেই ইমেজকেই আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
‘সুরের মূর্ছনায় জীবনের জয়গান’ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পূর্ণ করে ৯ বছরে পা রাখলো দেশের অন্যতম অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এবং হাজারও তারুণ্যের স্বপ্ন পূরণের লক্ষে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মান সম্মত গান প্রকাশ করে অল্প দিনেই প্রতিষ্ঠানটি দেশের অগনিত বাংলা গানের শ্রোতা-দর্র্শকদের মন জয় করে নেয়। সেই সাথে বাংলা গানে শ্রোতাদের আস্থার জায়গায় পরিণত হয় ধ্রুব মিউজিক স্টেশন।
গত আট বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করে দেশের কিংবদন্তি থেকে শুরু করে জনপ্রিয় সব শিল্পীর শ্রুতিমধুর গান। সেই সাথে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মেধাবী সঙ্গীত শিল্পীদের গান প্রকাশের সুযোগ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে অনেক আশাহত মেধাবীরা পায় আশার আলো। বছর জুড়েই তাদের এই গান প্রকাশের ধারা অব্যাহত থাকে।
বাংলা গানকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিকে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই ধারাবাহিকতায় তারা আয়োজন করে রিয়েলিটি শো ‘ধ্রুব মিউজিক আমার গান’ প্রতিযোগীতার। এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তারা সারা দেশ থেকে তুলে আনে ২০ জন প্রতিভাবানকে। যারা একাধারে গান লিখতে, সুর করতে ও গাইতে পারে।
বর্ষপূতিতে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও সঙ্গীতশিল্পী ধ্রুব গুহ বলেন, শুরু থেকেই আমরা বাংলা গানকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
আমাদের এই পথ চলায় আমরা পাশে পেয়েছি কন্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালাক, যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী, শুভানুধ্যায়ী, ভিডিও নির্মাতা, মডেল-অভিনেত্রীসহ দেশের সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াকে। তাদের সকলকে আমার আন্তরিত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে দেশের অগনিত শ্রোতা-দর্শকের ভালোবাসা তো রয়েছেই।