<p>হঠাৎ করেই উত্তপ্ত ভারত-বাংলাদেশের মতো দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্ক। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একে অন্যের জাতীয় পতাকা অবমাননার মতো স্পর্শকাতর ঘঠনাও ঘটছে যা আগুনে আরো ঘি ঢেলে দিচ্ছে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দুই বাংলার জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কবীর সুমন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বারবারই সরব। নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে নিজের মত দিয়েছেন এর আগেও। জুলাইয়ের অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়েও নানা বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন এই শিল্পী। এবার দুই দেশের উত্তপ্ত অবস্থায় তুললেন ফেলানী হত্যার প্রসঙ্গ।</p> <p>শনিবার (৩০ নভেম্বর) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কবিতার চরণে তিনি ফেলানী হত্যার প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করেন। পশ্চিমবঙ্গের কবি, গীতিকার ও নির্মাতা শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কবিতা নিয়ে শুক্রবার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। সরাসরি না লিখলেও বোঝা যাচ্ছে, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাটি লিখেছেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে। কবিতার প্রতিবাদে ফেসবুকে শুক্রবার রাত থেকে পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশের অনেক লেখক, কবি ও শিল্পী। তবে শনিবার দুপুরে কবীর সুমন নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সীমান্তের কাঁটাতার-বেড়া থেকে ফেলানী যখন ঝুলছিলেন, কিসের কার অবমাননা হচ্ছিল তখন?’</p> <p>শুক্রবার রাতে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কবীর সুমনের আরেকটি ফেসবুক পোস্ট আলোচনায় ছিল। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘আকারে বড় দেশগুলো মনে করে তারা তাদের আকারে ছোট প্রতিবেশীদেশগুলোর মুরব্বি। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে সে কিউবা, হাইতির বড়দা। পুয়ের্তো রিকোকে তো বড়দা অঙ্গরাজ্য মনে করে। ভারত মনে করে সে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের বড়দা।’</p> <p>‘তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া করে মর। আমি প্রেম করছি, প্রেম করে যাব।’ এভাবে শুক্রবার আরও একটি পোস্ট করেছিলেন সুমন।</p> <p>সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কবির সুমনের আরেকটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে। তিনি সেখানে লিখেছেন,  কোন পতাকায় লাথি দেয় কেউ,কোন পতাকায় ফুল। আমার প্রেমের পতাকা তোমার এলোমেলো হওয়া চুল। পতাকায় নয় কিছুই শুরু, পতাকায় নয় শেষ।আমিই ভারতবর্ষ প্রিয়া, আমিই বাংলাদেশ।</p> <p>তিনি আরও লিখেছেন, কারা করে কার অপমান প্রিয়া কতগুলো উজবুক,আদরে আদরে এঁকে দেবো চলো সবার দেশের মুখ। ভুলে যাই কেন একজন ক্রুশে ঝুলেছেন একা একা। সকলের হয়ে, চলো প্রিয়তমা, যদি পাই তার দেখা। তিনি বলবেন এসো হাত ধরো,শত্রুতা ভুলে যাও। পতাকার চেয়ে ভালবাসা বড় প্রেমের গানটা গাও।</p>