<p>দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ব্যান্ড ‘চিরকুট ’। তবে হঠাৎ করেই ব্যান্ডটিতে ঘটেছে ছন্দপতন। চিরকুট ব্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন জাহিদ নিরব। জানা গেল, তিনি ব্যান্ড ছেড়েছেন। এখন থেকে দলটির কিবোর্ড বাজাতে আর দেখা যাবে না জাহিদ নিরবকে। কেন ‘চিরকুট’ ছাড়লেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছেন—সেসব নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।</p> <p><strong>চিরকুট ছাড়লেন।</strong><strong> কারণ কী?</strong></p> <p>এ ব্যাপারে আসলে মন্তব্য করতে চাই না। সকাল থেকে অনেকেই ফোন করছেন। সবাইকে বিনয়ের সঙ্গে বলেছি, আমি ভাঙনের খবর দিতে চাইনি। কিভাবে যেন সবাই জেনে গেছে। সব সময় পজিটিভ ভেবে থাকতে চেয়েছি আমি। ভালো-মন্দ মিলিয়েই তো জীবন। আমরা ভালোটা নিয়েই থাকি না!</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন বছরে এক ফ্রেমে হৃতিক-সালমান" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/24/1735037789-b61ac5f798102d653fad4632e51031cd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন বছরে এক ফ্রেমে হৃতিক-সালমান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/12/24/1460854" target="_blank"> </a> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফিরে দেখা ২০২৪, বছরজুড়ে নক্ষত্রের বিদায়" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/24/1735035507-003a2d077d5a5ccc7f1c21fa6a440ced.jpeg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফিরে দেখা ২০২৪, বছরজুড়ে নক্ষত্রের বিদায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/12/24/1460838" target="_blank"> </a></div> </div> </div> </div> <p><strong>ব্যান্ডটির সঙ্গে ৯ বছর কাটিয়েছেন। মিস করবেন না?</strong></p> <p>আজকের জাহিদ নিরব হয়ে ওঠা তো ‘চিরকুট’-এর কারণেই। অফ দ্য রেকর্ড যদি বলি, একটা সময় ‘চিরকুট’-এর প্র্যাকটিস রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতাম, ইমন চৌধুরী ভাই কিভাবে বাজাচ্ছেন, পাভেল ভাই কিভাবে বাজাচ্ছেন, সুমী আপু কিভাবে গাইছেন তা দেখার জন্য। সেই মানুষগুলোর সঙ্গে ৯টা বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এর চেয়ে বড় ব্যাপার কী হতে পারে! আমি সব সময় ‘চিরকুট’কে মিস করব। চাইব, দলটির সবাই ভালো থাকুক।</p> <p><strong>এর আগে ব্যান্ডটি থেকে পিন্টু ঘোষ, ইমন চৌধুরীও বেরিয়ে একক ক্যারিয়ার গড়েছেন।</strong> <strong>তাঁরা সফলও হয়েছেন। নিজেকে নিয়ে কী ভাবছেন?</strong></p> <p>আমি আসলে কাজ করে যেতে চাই। মিউজিকের সঙ্গে থাকতে চাই। পিন্টু দাদা, ইমন ভাই খুবই মেধাবী মিউজিশিয়ান। তাঁরা সফল হবেন এটাই সত্যি ছিল। আমার ক্ষেত্রে কী হবে, সেটা সময় বলে দেবে। নিজে থেকে বলব কিভাবে, বলেন?</p> <p><strong>আপনারও তো একক ক্যারিয়ারে ভালো ভালো কাজ আছে...</strong></p> <p>চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। আগামীতেও এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমাকে শ্রোতারা ভীষণ ভালোবাসে। এর প্রমাণ কাজের মাধ্যমেই বারবার পেয়েছি। অনেক গান, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর শ্রোতারা লুফে নিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির মানুষও আমাকে সাপোর্ট করছে। যদি বলি, ওটিটি প্ল্যাটফরম চরকি এখন ১০০ শতাংশ কাজ করলে তার মধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ আমিই করছি। এটা তো অনেক বড় পাওয়া। তারা আমার কাছ থেকে ভালো কাজ পাচ্ছে বলেই তো আমাকে নিচ্ছে। সব সময় নিজেকে আরো ভাঙার চেষ্টা করছি। শেখার চেষ্টা করছি নতুন করে। ভালো কাজের তো শেষ নেই।</p> <p><strong>নতুন কোনো ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হবেন?</strong></p> <p>এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমার অনেক প্রজেক্ট আছে। এর মধ্যে অন্যতম ‘গানের স্কুল’ নামে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো। অনলাইন এই স্কুলে আমি অনুজদের শেখাতে চাই। আমার বাবা গানের শিক্ষক ছিলেন। সেই দিক থেকে আমার মধ্যেও বিষয়টি কাজ করে। তা ছাড়া প্রতিদিন এত এত গান-মিউজিক প্রোডিউস করার প্রস্তাব আসছে যে দম ফেলার সময় পাচ্ছি না।</p> <p><strong>চলচ্চিত্রের গানেও আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে। চলচ্চিত্র, সিরিজ না জিঙ্গেল</strong><strong>—</strong><strong>কোন ক্ষেত্রে কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন?</strong></p> <p>সত্যি বলতে গেলে, ওটিটিতে কাজ করে আমি বেশি আরাম পাই। ‘মহানগর’ সিরিজটি দেখেননি—এমন বাঙালি কম আছে। আর এই সিজিটির মিউজিক সবাই পছন্দ করেছে। চিত্রপরিচালক মালেক আফসারীর মতো মানুষও কাজটি নিয়ে কথা বলেছেন, আমার প্রশংসা করেছেন। অথচ আমি তাঁকে চিনি না। আরো অনেকে ওটিটির কাজ প্রশংসা পেয়েছে সমালোচকদের কাছ থেকে। তবে চলচ্চিত্র বা জিজ্ঞেলেও যে আরাম পাই না তা তো নয়। এক হাজারের বেশি বিজ্ঞাপনে মিউজিক করেছি। ভালো লাগা না থাকলে তো করতে পারতাম না।</p> <p><strong>কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন?</strong></p> <p>মিউজিক হলো কম্পোজিশন, কম্পিটিশন নয়। একটা জিনিস ভেবে দেখেন, প্রীতম হাসান যে ধরনের ইলেকট্রনিক মিউজিক প্রোডিউস করেন, সেটা বাংলাদেশে আর কে পারবে? ইমন চৌধুরী ভাই যেভাবে অ্যাকুস্টিক মিউজিক প্রোডিউস করেন, সেটা কারো দ্বারা কি সম্ভব? ‘চিরকুট’-এর পাভেল অরিন ভাইয়ের মতো সাউন্ড ডিজাইন আমার মনে হয় অন্য কেউ করতে পারবেন না। একেকজন আসলে একেক সাইডে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে কম্পিটিশন নয়, কম্পোজিশন নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই।</p> <p><strong>ইন্ডাস্ট্রির একজন শিল্পীর সঙ্গে আপনার প্রেমের সম্পর্ক শোনা যায়। কিছু বলবেন এ নিয়ে?</strong></p> <p>থাক না কিছু বিষয় ব্যক্তিগত। যখন সময় হবে নিজে থেকেই জানাব। আপাতত গান নিয়েই থাকি।</p>