জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলনের অতিথি তালিকায় ৩ উপদেষ্টা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলনের অতিথি তালিকায় ৩ উপদেষ্টা
ছবি কোলাজ : কালের কণ্ঠ

পাঁচ শর বেশি চলচ্চিত্র বিষয়ক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে আগামীকাল বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন’। বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই সম্মেলনে অতিথি হিসেবে থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে অন্যতম গণযোগাযোগ, বিনোদন, শিল্প চর্চা ও বাণিজ্যিক খাত হিসেবে গড়ে তুলতে কিছু দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের চলচ্চিত্র সম্মেলন আয়োজনের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’।

এই সম্মেলনে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১০টি বিষয় উপস্থাপন করা হবে। সেগুলো হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের সংস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের গঠন পরিবর্তন, সিনেমা ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন, ই-টিকেটিং সার্ভার ও বক্স-অফিস, জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র, টিকেট শেয়ার মানি, চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রসার, গাজীপুর ফিল্ম সিটি, চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানি উন্মুক্তকরণ, অ্যান্টি পাইরেসি সেল গঠন এবং চলচ্চিত্রে সরকারি বিনিয়োগ।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আগামীকাল বুধবার বিকেল ৩টায় শুরু হবে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন’, চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অভিনেতাকে বিমানবন্দরে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন অফিসার, অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতায় নীল

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
অভিনেতাকে বিমানবন্দরে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন অফিসার,  অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতায় নীল
সংগৃহীত ছবি

অনেক ছবিতেই কাজ করেছেন কিন্তু সেভাবে সাফল্য আসেনি তার। তার ক্যারিয়ারে সফল ছবির সংখ্যা হাতে গোনা। বলছি  বলিউডের কিংবদন্তি গায়ক মুকেশের পৌত্র নীল নিতিন মুকেশের কথা।  

সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে একটি অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন নীল।

যেখানে তাকে ইমিগ্রেশন অফিসার আটক করেছিল, তার ভারতীয় পাসপোর্ট ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। অভিনেতা যে ভারতীয় সেটাই বিশ্বাস করতে পারেননি তারা।  

ম্যাশেবল ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঘটনার স্মৃতিচারণ করে নীল নিতিন মুকেশ বলেন, আমি যখন নিউ ইয়র্ক সিনেমাটি করছিলাম সেসময়ই নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে আমাকে আটক করা হয়েছিল। তারা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেছিল যে আমি ভারতীয়।

আমার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট ছিল, তবুও। আমাকে আটক করা বেশ বড় খবর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমনকি তারা আমাকে উত্তর দিতে বা নিজের স্বপক্ষে কিছু বলতেও দেয়নি।

অভিনেতার কথায়, জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

নীল জানান যে তার পরিচয় স্পষ্ট করার অনুমতি দেওয়ার আগে তাকে প্রায় চার ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল।

এরপর নীল বলেন, চার ঘণ্টা পর তারা এসে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার কী বলার আছে?’ আমি শুধু বললাম, ‘শুধু আমাকে গুগল করুন। তখন তারা এতটাই বিব্রত হয় যে তারা আমাকে আমার উত্তরাধিকার, আমার ঠাকুর্দা এবং আমার বাবা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।’

সম্প্রতি নীলকে দেখা যাচ্ছে অ্যাকশন কমেডি ‘হিসাব বারাবার’-এ। অশ্বিনী ধীর পরিচালিত এই ছবিতে আর মাধবনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন কীর্তি কুলহারি, রেশমি দেশাই এবং ফয়জল রশিদ।

মন্তব্য

ভাষা আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি—জীবন থেকে নেয়া, বাঙলা ও ফাগুন হাওয়ায়

তন্ময় রহমান
তন্ময় রহমান
শেয়ার
ভাষা আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি—জীবন থেকে নেয়া, বাঙলা ও ফাগুন হাওয়ায়
সংগৃহীত ছবি

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মাতৃভাষার জন্য রক্তদানের এই সংগ্রাম শুধু বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষাই করেনি, বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষেও ভূমিকা রেখেছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু চলচ্চিত্র, যার মধ্যে জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’, শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘বাঙলা’ এবং তৌকীর আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই তিনটি চলচ্চিত্র শুধু বাঙালির ইতিহাসের দলিলই নয়, নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের চেতনা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমও বটে।

জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)

পরিচালক : জহির রায়হান

জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি বাঙালির সংগ্রামী চেতনার একটি শিল্পিত প্রকাশ। ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিতে তৈরি হলেও এর মধ্যে ভাষা আন্দোলনের প্রভাব স্পষ্ট। ছবিটির গল্প একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হলেও তা বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

চলচ্চিত্রটির বিশেষত্ব হলো এর প্রতীকী ব্যঞ্জনা।

জহির রায়হান খুব সূক্ষ্মভাবে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সংগ্রামকে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছবিটির সংলাপ, গান ও চরিত্রায়ণ দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটি শুনলে মনে হয় যেন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি ফিরে এসেছে।

কেন মনে রাখবেন : ‘জীবন থেকে নেয়া’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি বাঙালির ইতিহাসের একটি জীবন্ত দলিল।

এটি দেখলে বোঝা যায়, কিভাবে শিল্প ও সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি জাতির সংগ্রামী চেতনা ফুটে উঠতে পারে।

বাঙলা (২০০৬)

পরিচালক : শহীদুল ইসলাম খোকন

শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘বাঙলা’ ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে তৈরি একটি আধুনিক চলচ্চিত্র। আহমেদ ছফার উপন্যাস ‘ওঙ্কার’ অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি একটি বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে সুখীর (শাবনূর) জীবনের গল্প বললেও তা বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

চলচ্চিত্রটির গল্প ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়কার প্রেক্ষাপটে আবর্তিত হয়।

সুখী কথা বলতে পারে না, কিন্তু সে বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রামরত মানুষের কণ্ঠস্বর হতে চায়। ছবিটির শেষ দৃশ্যে সুখীর মুখ থেকে রক্ত ঝরতে থাকে, এবং সে কষ্ট করে একটি শব্দ উচ্চারণ করে—‘বাঙলা’। এই একটি শব্দই যেন বাঙালির ভাষা আন্দোলনের সমগ্র ইতিহাসকে ধারণ করে।

কেন মনে রাখবেন : ‘বাঙলা’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের চেতনা পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। এটি দেখলে বোঝা যায়, কিভাবে একটি ভাষার জন্য একটি জাতি জীবন দিতে পারে।

ফাগুন হাওয়ায় (২০১৯)

পরিচালক : তৌকীর আহমেদ

তৌকীর আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে তৈরি একটি আধুনিক চলচ্চিত্র। টিটো রহমানের গল্প ‘বউ কথা কও’ অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি ২০১৯ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি একটি উর্দুভাষী পাকিস্তানি পুলিশ অফিসার জমশেদ খানের (যশপাল শর্মা) গল্প বললেও তা বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

চলচ্চিত্রটির গল্প ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়কার প্রেক্ষাপটে আবর্তিত হয়। জমশেদ খান বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঙালির সংগ্রামী চেতনার কাছে হার মানে। ছবিটির চরিত্রায়ণ, সংলাপ ও নির্মাণশৈলী দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনের সময়কার ঐতিহাসিক দৃশ্যগুলো খুব বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কেন মনে রাখবেন : ‘ফাগুন হাওয়ায়’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের চেতনা পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। এটি দেখলে বোঝা যায়, কিভাবে একটি ভাষার জন্য একটি জাতি জীবন দিতে পারে।

শেষকথা

ভাষা আন্দোলন নিয়ে নির্মিত এই তিনটি চলচ্চিত্র শুধু বাঙালির ইতিহাসের দলিলই নয় বরং নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও সংগ্রামের গল্প পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমও বটে। ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘বাঙলা’ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’—প্রতিটি চলচ্চিত্রই তার নিজস্ব শৈলী ও গল্প বলার ভঙ্গিতে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে। এই সিনেমাগুলো দর্শকদের মনে দেশপ্রেম ও ভাষার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে।

মন্তব্য

এখন কেমন আছেন ফরিদা পারভীন?

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
এখন কেমন আছেন ফরিদা পারভীন?
সংগৃহীত ছবি

শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় তাকে কেবিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে জিহান ফারিহা।

তিনি গণমাধ্যমে জানান, তার মায়ের শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো। দ্রুতই তাকে বাসায় নেওয়া হবে।

ফারিহা বলেন, ‘বাড়তি সতর্কতার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সময়ই আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এখন তেমন কোনো জটিলতা নেই।’

ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে জ্বর ও নিউমোনিয়া হয়েছিল।

এখন তিনি স্ট্যাবল বলে জানান তার মেয়ে। 

একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সংগীতশিল্পী বর্তমানে বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আছেন। তার চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাদ যাননি শ্রেয়া-অলকাও, সুযোগ পেলেই জোর করে চুমু দেন উদিত?

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
বাদ যাননি শ্রেয়া-অলকাও, সুযোগ পেলেই জোর করে চুমু দেন উদিত?
সংগৃহীত ছবি

চুমুকাণ্ডে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন বর্ষীয়ান গায়ক উদিত নারায়ণ। এর পর থেকে শুরু হয়েছে ভিডিও খুঁজে বের করার পালা। এবার বেশ বিব্রতকর অবস্থাতেই পড়েছেন গায়ক।

উদিত নারায়ণের কাছে তার এক তরুণী ভক্ত একটি সেলফির আবদার করেছিলেন।

প্রিয় গায়ককে সামনে দেখে আবেগের আতিশয্যে তার গালে চুম্বনও করে ফেলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে গায়কও তারুণীর ঘাড় ধরে ঠোঁটে গুঁজে দিলেন ঠোঁট। এই কাণ্ডই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

যদিও আত্মপক্ষ সমর্থন করে গায়ক জানিয়েছেন, তিনি সব সময় এমনই করে থাকেন।

আসলে ভক্তরাই এমন উন্মত্ততা দাবি করেন। এমন কাণ্ডের সময়ে তার স্ত্রী স্টেজের নিচেই ছিলেন, স্টেজে ছিলেন তার ছেলেও।

এই কাণ্ডের পর এবার ভাইরাল হচ্ছে উদিতের একের পর এক ভিডিও, যেখানে তাকে অবিবরাম চুম্বন করতে দেখা গেছে। কখনো শ্রেয়া ঘোষাল তো কখনো অলকা ইয়াগনিক— গায়িকাদের গালেও তিনি একের পর এক চুম্বন এঁকে দিয়েছেন।

তবে চুমু দেওয়ার আগে তাদের কারও কাছ থেকেই কখনো সম্মতি নেননি উদিত। 

নতুন একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক রিয়ালিটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে অলকা ইয়াগনিকের সঙ্গে গান গাইছেন উদিত নারায়ণ। হঠাৎই অলকার কানের কাছে এসে গান গাইতে গাইতে তার গালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলেন। চমকে উঠলেন অলকা, সরে গেলেন অপ্রস্তুতভাবেই। 

এরপর আরো একটি ভিডিওতে দেখা গেছে অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানেও অলকাকে হঠাৎই চুমু দিয়ে বসেন উদিত।

সে সময় গায়িকা যে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন তা ভিডিওতে স্পষ্ট। 

তা ছাড়া বছর কয়েক আগে সেরা গায়িকার পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠেছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন উদিত এবং মালাইকা অরোরা। কিন্তু মঞ্চে উঠতেই শ্রেয়াকে জড়িয়ে ধরে তার গালে চুমু দেন উদিত। দৃশ্যতই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন শ্রেয়া, তার অভিব্যক্তি ধরা পড়ে ভিডিওতে। যদিও তখন খানিকটা হেসে বিষয়টি সামাল দেন গায়িকা।

ভিডিওগুলো অন্তর্জালে আসার পর উদিত নারায়ণের দিকে আঙুল তুলছেন নেটাগরিকেরা। ইতিমধ্যেই উদিতের বন্ধু অভিজিৎ তাকে ‘খেলোয়াড়’ তকমাও দিয়ে ফেলেছেন। যদিও আর এক বাঙালি গায়ক কবীর সুমন খানিকটা আক্ষেপ করেছে এমন সৌভাগ্য তার হয় না বলে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ