রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে বাধা, যা বললেন অপু বিশ্বাস

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে বাধা, যা বললেন অপু বিশ্বাস
সংগৃহীত ছবি

রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বাধার মুখে পড়ছেন ঢাকাই শোবিজের শিল্পীরা। মেহজাবীন, পরীমনির পর সম্প্রতি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে একই ঘটনার শিকার হন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। আর তা নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযগ মাধ্যম বেশ উত্তাল।

তবে রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে অপু বিশ্বাসকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে যে খবর, তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন নায়িকা।

সেই সঙ্গে জানালেন, ওই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা ছিল একটি ভিডিও বার্তা।

ঢাকার কামরাঙ্গীচরের ঘটনায় জানা গেছে ‘সোনার থালা’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করার কথা ছিল অপু বিশ্বাসের। স্থানীয় ‘মুসল্লি’রা বিষয়টি জানতে পেরে সংগঠিত হয়ে কামরাঙ্গীচর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে অপুকে ছাড়াই সেই রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন করা হয়।

আরো পড়ুন
মেহজাবীন, পরীমনির পর এবার বাধার মুখে অপু বিশ্বাস

মেহজাবীন, পরীমনির পর এবার বাধার মুখে অপু বিশ্বাস

 

এ প্রসঙ্গে কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করতে অপু বিশ্বাসের আসার কথা ছিল। তিনি সময়মতো আসেননি। এ জন্য আমি ও রেস্টুরেন্ট মালিক মিলেই উদ্বোধন করেছি।’

আরো পড়ুন
বাধার মুখে শোরুম উদ্বোধন স্থগিত পরীমনির

বাধার মুখে শোরুম উদ্বোধন স্থগিত পরীমনির

 

তবে অপু বিশ্বাস কেন অনুষ্ঠানে যাননি, এমন প্রশ্নে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘মালিকপক্ষ থেকে যোগাযোগ করে বলল, আপু, টাইম শেষ।

আপনি একটা সুন্দর ভিডিও পাঠিয়ে দিন।’ কিন্তু কেন, পাল্টা প্রশ্নে অপু জানান, ‘তাদের ইলেকট্রিসিটি সমস্যা ছিল।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কড়া নিরাপত্তায় আজ মেহজাবীনের গায়েহলুদ

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
কড়া নিরাপত্তায় আজ মেহজাবীনের গায়েহলুদ
সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘ প্রেমের পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন লাক্স তারকা মেহজাবীন চৌধুরী। তার বর পরিচালক ও প্রযোজক আদনান আল রাজীব। তাদের এক যুগের প্রেম পূর্ণতা পাচ্ছে এবার।

আজ রবিবার ঢাকার অদূরে একটি রিসোর্টে তাদের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিন মেহজাবীনের পরনে ছিল লেহেঙ্গা আর আদনান পরেছেন পাঞ্জাবি-পায়জামা। সকাল ১১টা থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। 

গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজনে সব মিলিয়ে আড়াই শ অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন।

মেহজাবীন ও আদনানের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে ইতিমধ্যে সেই আয়োজনে গেছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি, নুসরাত ইমরোজ তিশা, সিয়াম আহমেদ, সাবিলা নূর, এলিটা করিম, আশফাক নিপুণ, সাদিয়া আয়মান, রায়হান রাফী, তমা মির্জা, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল, মোস্তফা কামাল রাজ, জেফার রহমান প্রমুখ।

সেই আয়োজনে অংশ নেওয়া একাধিক তারকা ও পরিচালক জানালেন, এই আয়োজনে ছবি তোলার ক্ষেত্রে বেশ কড়াকড়ি করেছে বর-কনে কর্তৃপক্ষ। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিজেদের মুঠোফোনে ছবি না তোলার জন্য বারবার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আজ সন্ধ্যার দিকে গায়েহলুদ অনুষ্ঠান শেষ হবে।

আগামীকাল সোমবার একই ভেন্যুতে মেহজাবীন ও আদনানের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। 

জানা গেছে, মেহজাবীন নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের স্থিরচিত্র পোস্ট করবেন। এরপর অতিথিরা তাদের স্থিরচিত্র পোস্ট করার সুযোগ পাবেন। তার আগে কারো ছবি পোস্ট করার অনুমতি নেই।

মন্তব্য

মামলা থেকে খালাস পেলেন অনন্ত জলিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মামলা থেকে খালাস পেলেন অনন্ত জলিল
সংগৃহীত ছবি

প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় আলোচিত চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ মামলার দায় হতে তাদের খালাস প্রদান করেন।

খালাসপ্রাপ্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, ফাইন্যান্স পরিচালক মো. শরীফ হোসাইন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাকিবুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মো. মিলন ও বাজেট অ্যান্ড অডিটের হেড অব কস্ট শহিদুল ইসলাম।

আরো পড়ুন
ছাত্রদলকে ছাত্রলীগের পথ অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে : ছাত্রশিবির

ছাত্রদলকে ছাত্রলীগের পথ অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে : ছাত্রশিবির

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের আজ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল।

তবে মামলার বাদী শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী দুই পক্ষের মধ্যে আপস-মীমাংসা হয়েছে বলে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সার্বিক বিবেচনায় মামলাটি প্রত্যাহার করে আসামিদের খালাস প্রদান করেন। 

এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা হয়। পরে তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর আদালত এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কম্পানির নামে ব্যবসায়ী শাফিল নাওয়াজের কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর শাফিল কাজ শুরু করে টাকা চান। অভিযুক্তরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান।

 

পরবর্তীতে তারা আরো বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। একই বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। গত বছরের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অভিযুক্তরা শাফিলের নামে একটি এলসি করেন। শাফিল টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা ওঠাতে ব্যর্থ হন। শাফিল চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলারের কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কম্পানি তখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

থেমে যেতে আসিনি, আমার পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী : বুবলী

ইমরুল নূর
ইমরুল নূর
শেয়ার
থেমে যেতে আসিনি, আমার পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী : বুবলী
সংগৃহীত ছবি

বড় পর্দায় তার অভিষেক ঘটেছিল ঈদে। এর পর থেকে প্রতি ঈদেই দুই সিনেমা নিয়ে হাজির হতেন, যার দরুন তাকে উৎসবের নায়িকাও বলা হতো। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এর ছন্দঃপতন ঘটেছে। তবে থেমে নেই তিনি, এবার আসছেন নতুন পরিচয়ে।

বলছি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর কথা। সদ্যই যাত্রা শুরু করেছেন প্রযোজক হিসেবে, খুলেছেন নিজের প্রডাকশন হাউস (বিগ প্রডাকশনস)। সিনেমা প্রযোজনা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ইমরুল নূর

৯ বছরের সিনেমা ক্যারিয়ার।

এবার আত্মপ্রকাশ করছেন প্রযোজক হিসেবে। কী ভেবে প্রযোজনায় আসার সিদ্ধান্ত নিলেন?

প্রযোজক হলেও আমি কিন্তু একজন শিল্পী। মোটামুটি বেশ অনেক বছরের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। একজন শিল্পী হিসেবে সবার কাছ থেকেই যথেষ্ট পরিমাণ ভালোবাসা ও সাপোর্ট পেয়েছি সবার কাছ থেকে।

সেই জায়গা থেকে মনে হলো, এর বাইরেও যদি কোনোভাবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আরো কিছু অবদান রাখতে পারি তাহলে সেটা কিন্তু মন্দ হয় না। একজন শিল্পী তৈরিই হয় মিডিয়ার জন্য। এই মিডিয়া আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এখানে আমার প্রাপ্তিটাই বেশি। সেই জায়গা থেকে আমারও উচিত কিছু দেওয়া কিংবা কনট্রিবিউট করা।
মিডিয়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।

এখন তো চলচ্চিত্রে সংকটকাল চলছে। এ সময়টাতে অন্য প্রযোজকদের পাশাপাশি সফল শিল্পীদের প্রযোজনাতে আসা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক... 

একদমই তাই। এই বিষয়টার কথা ভেবেই আমার এই নতুন উদ্যোগ নেওয়া। ভালো সময়ে তো সবাই থাকে, কিন্তু খারাপ সময়টাতেই আমি এই উদ্যোগটা নিয়েছি, যেটা আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। এর জন্য সবার শুভ কামনা চাই, সবাইকে পাশে চাই। আমার এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যেন ভালো কিছু করতে পারি।

Bubly

ইতিমধ্যে অনেক শিল্পীই প্রযোজনাতে নাম লিখিয়েছেন কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি, কিংবা দু-একটা কাজ করে থেমে গেছেন... 

এই অধ্যায়টা আমার জন্য একদমই নতুন। তবে আমি থেমে যেতে আসিনি, আমার পরিকল্পনা একদম সুদূরপ্রসারী। শতভাগ এফোর্ট দিয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করে যাব। কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না। সবাই যেন বিগ প্রডাকশনসের কাজ নিয়ে প্রশংসা করে সে রকম চেষ্টাই থাকবে। একজন শিল্পী হিসেবে যে ভালোবাসাটা পেয়েছি, প্রযোজক হিসেবেও সেটা পেতে চাই। কোয়ালিটিফুল কাজ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে একটা নতুন পথ তৈরির চেষ্টা করছি। যেখানে নতুন-পুরনো সবাই কাজ করতে পারবে। কাজের সুযোগের অভাবটা ঘোচাতে চাই।   

বিগ প্রডাকশনসের শুরুটা কী দিয়ে হচ্ছে?

ইতিমধ্যে আমাদের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং সেগুলোর জন্য ট্রেড লাইসেন্স সব কিছুই সংগ্রহ করেছি। বিগ প্রডাকশনসের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি নাটক দিয়ে। দারুণ গল্পের একটি নাটক আগামী ঈদুল আজহায় আমাদের প্রডাকশন হাউসের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে। এই বছর এখান থেকে সিনেমা আসছে না। তবে আগামী বছর থেকে সিনেমা আসবে।

Bubly

  

আপনার প্রডাকশন হাউস থেকে কি শুধু আপনারই সিনেমা আসবে?

না, একদমই না। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। বিগ প্রডাকশনস শুধু সিনেমাই নয়, মিউজিক ভিডিও থেকে শুরু করে নাটক, ওয়েব, বিজ্ঞাপন সব কিছু নির্মাণ করবে। 

প্রডাকশন হাউসে সময় দিতে গিয়ে আপনার অভিনয় ক্যারিয়ারের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কি না?

একদমই না। আমাদের মিডিয়া পারসোনালিটির অনেকেই হয়তো আছেন, যারা এই কাজের বাইরেও অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমার এ রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। সে জন্য এখানেই কাজের একটা নতুন জায়গা তৈরি করছি, এটাও একটা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এখন খুব ভালো গল্পের কাজ কিংবা টিমওয়ার্ক না হলে কিন্তু কাজ করছি না। দর্শকদের আমার ওপর একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেদিকটা মাথায় রেখেই কাজ করছি। অন্যান্য প্রডাকশন হাউসেও কাজ করব এবং সেই ধারাবাহিকতাটাও একই থাকবে। এর বাইরে আমার বাকিটা সময় নিজের প্রডাকশন হাউসকে দেব।

আপনার অভিনীত ‘জংলি’ ও ‘পিনিক’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়...

‘জংলি’ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু ‘পিনিক’-এর মুক্তি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই জানাব।

Bubly

সাম্প্রতিক সময়ে কাজের চেয়ে আপনাকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনায় থাকতে দেখা গেছে। আপনার কি চান না, দর্শক ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে আপনাকে কাজের জন্য মনে রাখুক? 

দর্শকদের আগ্রহের কারণে এটা হয়েই যায়। আমরা তো কেউই ব্যক্তি জীবনের বাইরে না। শিল্পীর বাইরে আমরাও মানুষ, আমাদেরও অভিমান হয়। অভিমানী বলেই হয়তো আমরা সব সময় না পাওয়া জিনিস নিয়েই মত্ত থাকি বেশি। তবে আমি সব সময় কাজ নিয়েই ফোকাসড থাকতে চাই। সেটা সিনেমা হোক কিংবা আমার অন্যান্য কাজ, সেটা বিজ্ঞাপন হতে পারে আবার কোনো এক্সক্লুসিভ  ব্র্যান্ড ওপেনিং হতে পারে। 

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনাকে কিভাবে নেন?

সবাই তো সবার ভালো চায় না। কোনো একটা ভালো কাজ করতে গেলে সেখানে নানা ধরনের বাধা-বিপত্তি আসবেই। এটা হয়তো কোনো একটা গ্রুপ করে থাকে, কাজটাকে বাধাগ্রস্ত করতে। কাজে মনযোগী হলে সেটা অবশ্যই সাফল্য বয়ে আনবে। তাই আমি সব কিছু এড়িয়ে শুধু কাজের দিকেই ফোকাস করি।

মন্তব্য

এফডিসির এমডিকে সরাতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
এফডিসির এমডিকে সরাতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুমা রহমান তানির নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় এফডিসির সামনে প্রতিবাদসভার ডাক দিয়েছে ‘বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি’।

মাসুমা রহমান তানিকে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর দাবি করে সকাল থেকেই এফডিসির গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে অংশ নেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী-কুশলীরা। 

আজ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার জন্য ‌প্রতীকী ‘এফডিসি ব্লকড’ পালন করে বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি।

এরপর মাসুমা রহমান তানিকে এমডির পদ থেকে সরানোর দাবি তুলে সরকারকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। এর মধ্যে না সরালে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির উপদেষ্টা এবং চিত্রনায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল। 

তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে প্রশাসনিক কাজে যদি কোনো প্রশাসক আসে, আমাদের তো কোনো আপত্তি নেই। কারণ এটা সরকারি জায়গা।

একটা লোক চাকরি করতে আসবে, সে আসতেই পারে। এখানে চাকরি করতেই পারে। কিন্তু আপনি এমন একজনকে পাঠাচ্ছেন, যিনি অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আমাদের চোখে। আমরা তাকে চিনি না, জানি না।
তাহলে কেন জোর করে আমাদের ওপর আপনারা তাকে চাপিয়ে দেবেন। এমনটা হবে না। আমরা সেটা প্রতিহত করব।’

এ সময় বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে এফডিসি ফটকে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, চিত্রনায়ক হেলাল খান, শিল্পী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরমান, অভিনয়শিল্পী এ বি এম সোহেল রশিদ, কেয়া চৌধুরী, শারমিন, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন, শাওন আশরাফ, শফিকুল ইসলাম, কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকার কাসেম আলী, ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ