নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী। উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বরাবরই রেকর্ডিং আর স্টেজ শো সমানতালে চালিয়ে গেছেন। শুধু দেশে নয়, মাতিয়েছেন বিদেশের অনেক বড় বড় মঞ্চ।
নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী। উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বরাবরই রেকর্ডিং আর স্টেজ শো সমানতালে চালিয়ে গেছেন। শুধু দেশে নয়, মাতিয়েছেন বিদেশের অনেক বড় বড় মঞ্চ।
১৮ বছর পর ‘লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প’র সিক্যুয়াল এলো। এত দেরি হওয়ার কারণ কী?
জীবনের অলিগলি খুঁজতে একটু সময় তো লাগে। জীবনের এই সময়ে এসে অনুভূতিরও পরিবর্তন ঘটে। ভালো লাগা মন্দ লাগারও বিষয় থাকে।
প্রথম গানটির পেছনের গল্প শুনতে চাই...
২০০৫ সালের কথা। এনামুল করিম নির্ঝর আমাকে ফোন করলেন।
সেই বছরই এফএম রেডিও চ্যানেল ‘রেডিও টুডে’র যাত্রা। দেখলাম সকাল নেই, বিকেল নেই এই গানটিই তারা বাজাচ্ছে। ধীরে ধীরে দেখলাম আশপাশের মানুষও গানটি গুনগুন করছে। পরের বছর ছবি ‘আহা!’ মুক্তি পেল। এরপর তো গানটি আরো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হলো। পরের বছর ‘ক্লোজআপ ওয়ান’-এর শুটিংয়ে, হঠাৎ দেখি টিভির স্ক্রলে আমার নাম, গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। খুব আনন্দ হলো।
গানটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে এই গানের শিরোনামে দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকও নির্মিত হয়েছিল। সিক্যুয়ালটি কি সেই সীমা ছুঁতে পারবে?
এটা বলা কঠিন। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। গানটি করতে আমাদের ১৮ বছর লেগে গেল। তার মানে একবার ভাবুন, সিক্যুয়ালটি করতে কতবার চেষ্টা করেছি! নির্ঝর লিখেছেন, ছিঁড়ে ফেলেছেন, দেবজ্যোতি দাদা সুর করেছেন, পরিবর্তন করেছেন। প্রচারেই প্রসার। এখন সিক্যুয়ালটি প্রচার করতে হবে। তাহলে দর্শকের কাছে পৌঁছবে। এখন পর্যন্ত যাঁরা শুনেছে সবাই পছন্দ করেছেন। অনেকে আমাকে বলেছেন, ‘আপু, অস্থির সময়ে একটা স্বস্তির গান শুনলাম।’ অনেকে বলেছেন, ‘চোখ বুজে গানটি শোনার পর এক রকম তৃপ্তি লাগে।’ এ রকম নানা ধরনের অভিব্যক্তি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
‘ফাহমিদা নবী’র ডায়েরি প্রকাশিত হয়েছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
দারুণ। এককথায় অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করছে। কভিডের সময় থেকে ডায়েরিটা নিয়মিত লিখি। আমার একটা ফেসবুক পেজ আছে, সেখানেই লেখাগুলো প্রকাশ করতাম। বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল অনুরোধ করলেন সেখানে কলাম লিখতে। সেটাও দেখলাম পাঠক পছন্দ করছে। এরপর অনেক প্রকাশক যোগাযোগ করেছেন লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করতে। তবে আমি ভয় পাচ্ছিলাম। তবে এ বছর জানুয়ারিতে কাছের এক সাংবাদিক পুরো পাণ্ডুলিপি নিয়ে বাসায় হাজির। বললেন, ‘আপা, আপনি সম্পাদনা করে দেন, প্রচ্ছদ কী হবে সেটার ধারণা দেন।’ আসলে আমাকে কেউ থামতেই দেয়নি। সবাই ভালোবেসে লেখক বানিয়ে ছাড়লেন।
বইমেলায় নিয়মিত যাচ্ছেন?
প্রায়ই তো যাচ্ছি। একটু পরেই (গতকাল) রওনা দেব। ১৯ ফেব্রুয়ারিতেও যাওয়ার কথা রয়েছে। আসলে পাঠকদের সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানতে ভালো লাগে। অটোগ্রাফ দেওয়ার পর অনেকে বলেন, আমি খুব বিনয়ী। তাঁদের বলি, দুই দিনের দুনিয়া। বিনয়ী না হয়ে উপায় কী!
প্রায় চার যুগের গানের ক্যারিয়ার আপনার। পাওয়া না পাওয়া নিয়ে যদি বলতেন...
প্রত্যেকের মধ্যেই অতৃপ্তি থাকে। সবাইকে অতৃপ্তি নিয়েই যেতে হবে। যখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম সিনেমার গানে নিয়মিত ডাক পাব। কিন্তু হলো উল্টোটা। একদমই ডাক পেতাম না। তাই বলে কি থেমে যাব? আমি থেমে যাওয়ার মানুষ নই। অডিওতে নিয়মিত কাজ করে গেলাম। পাওয়ার চেয়ে প্রত্যেকটা মানুষের না পাওয়ার পাল্লাটাই ভারী হয়। তাই বলে ভেঙে পড়লে চলবে না। এমন কিছু রেখে যেতে হবে যেটা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সম্পদ হয়ে থাকবে।
যুগে যুগে গানের ধরন, প্রকাশের প্ল্যাটফর্মসহ নানা পরিবর্তন এসেছে। নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন কিভাবে?
আমি ভীষণ পজিটিভ মানুষ। ২০০৬ সালের কথা, রবীন্দ্রসরোবরে ‘এক মুঠো গান’ গান গাওয়ার সময় শ্রোতারা প্লাস্টিকের বোতল ছুড়ে মেরেছিল। তবে আমি একরোখা, গানটি গেয়েই তারপর স্টেজ ছেড়েছিলাম। দেখেন, মাত্র সাত-আট মাসের ব্যবধানে ‘এক মুঠো গান’-এর পুরো অ্যালবামটাই শ্রোতারা লুফে নিয়েছিল। এখন তো টিকটকের যুগ। আমি টিকটক করলে কি শ্রোতারা মেনে নেবে? অবশ্যই না। তারা আমাকে শাড়ি পরে গান পরিবেশন না করলে শুনবেই না। এমনও হয়েছে, কোনো শুটিংয়ে গিয়েছি, ফুল নিতে ভুলে গিয়েছি। শুটিং স্পট থেকেই ওরা জোগাড় করেছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, আমাকে নাকি ফুল ছাড়া মানায় না। তার মানে আমি নিজের একটা স্বতন্ত্র সত্তা তৈরি করতে পেরেছি। যতই গানের ধরন বদলাক, প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম বদলাক, নিজের স্বকীয়তা থাকলে টিকে থাকা যাবে।
সম্পর্কিত খবর
ঈদে মুক্তির মিছিলে রয়েছে একাধিক সিনেমা, তার মধ্যে একটি আব্দুন নূর সজল অভিনীত ‘জ্বীন-৩’। সিনেমার মুক্তি ঘিরে চলছে জোর প্রচারণা। তার অংশ হিসেবে কিছুদিন আগেই অন্তর্জালে উন্মুক্ত হয়েছে সিনেমাটির প্রথম গান ‘কন্যা’, যা ইতোমধ্যে দর্শকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
গানটিতে উৎসবের আমেজ পেয়েছেন শ্রোতাদর্শকরা।
নতুন খবর হলো, ইতিমধ্যে আলোচিত এই গানটি চলে এসেছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের সংগীত বিভাগে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘কন্যা’। এই বিভাগের প্রথম স্থানে রয়েছে শাকিব খানের বরবাদ সিনেমার ‘দ্বিধা’ গান।
এদিকে গানটি নিয়ে এত আলোচনা ও প্রশংসায় আপ্লুত একইসঙ্গে উচ্ছ্বসিত এর নায়ক আব্দুন নূর সজল। তিনি বলেন, ‘গানটি এত দ্রুত সবার কাছে পৌঁছেছে যা সত্যি দারুণ। সবাই গানটির প্রশংসা করছেন পাশাপাশি আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগছে, অনুপ্রাণিত বোধ করছি। মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক।
তিনি আরো বলেন, ‘বাগেরহাট ও খুলনায় ৫ দিন গানটির শুটিং করেছি। ওই সময়টায় বেশ অসুস্থ ছিলাম। প্রতিদিন ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর ছিল। ডাক্তার একদম কথা বলতে নিষেধ করেছিলেন, এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু শিডিউল যেহেতু আগে থেকে দেওয়া ছিল, তাই কাজটি শেষ করা ছাড়া কোনো অপশন ছিল না। ওই অবস্থাতেই শুটিংয়ে যাই এবং জ্বর নিয়েই গানে পারফর্ম করি। পুরো টিম অনেক বেশি সাপোর্ট করেছিল।’
প্রায় আড়াই বছর ধরে মারণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক-অভিনেত্রী সামিয়া আফরিন। ২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি নিজে।
সামিয়া আফরিন বলেন, ‘২০২২-এর ঠিক এপ্রিলে আমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। চতুর্থ স্টেজে গিয়ে এটি ধরা পড়ে।
বর্তমান নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় আড়াই বছর ধরে আমি এটার সঙ্গে লড়াই করছি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে রোগীর মনোবল ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি নিয়ে সামিয়ার ভাষ্য, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। মনে হয়—আমার জীবন শেষ হয়ে গেল, এরপর আর বুঝি কিছু নেই। এটা নিছক ভুল কথা। যদি আমরা চেষ্টা করি, মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি এবং সাথে সাথে লাইফ স্টাইলেও অনেক পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে তারকাদের পোশাক নিয়ে ‘রিভোগ ওয়্যার টু কেয়ার’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখান থেকে প্রাপ্ত পোশাক বিক্রির টাকা ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় হবে।
গতকাল ২২ মার্চ উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রদর্শনী শেষ হয়েছে। ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সামিয়া আফরিন।
এই প্রদর্শনীর উদ্যোগ মূলত ক্যান্সার রোগীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
প্রসঙ্গত, একসময় টিভি উপস্থাপনার নিয়মিত মুখ ছিলেন উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন। মাঝেমধ্যে তাকে নাটকেও দেখা গেছে। ইমরাউল রাফাতের ‘পাপপূণ্য’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘ধুলোর মানুষ’, ‘মানুষের ঘ্রাণ’ এবং রাজিবুল ইসলামের ‘ব্লাফমাস্টার’ ছাড়াও বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ে এখন অনেকটাই অনিয়মিত অপু বিশ্বাস। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব এই অভিনেত্রী। ভিন্ন ভিন্ন লুকে প্রায়ই তার ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ধরা দেন তিনি। এবার ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ধরা দিলেন কালো পোশাকে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালো পোশাকে কিছু ছবি শেয়ার করেছেন অপু। যেখানে তাকে খোলা চুলে মুগ্ধ হয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি শেয়ার করে সেখানে ক্যাপশনে লিখেছেন অপু বিশ্বাস, ‘ড্রামা কুইন না হয়ে ডিভা কুইন হও।’
এর পরই ড্রামা কুইন হিসাবে অপু কাকে ইঙ্গিত করেছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
বাংলাদেশি অভিনেত্রী ও পরিচালক কুসুম শিকদার বলেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন আমার শরীরের বয়স কত। কিন্তু আমার মনের বয়স সব সময় ১৬ থেকে ১৮-এর মধ্যে থাকে। এর বেশি বাড়ে না। সুতরাং আমি কিছু মিস করি না।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এর আগে গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কঠোর শরীরচর্চা ও নিয়ম মেনে জীবন যাপন করছেন তিনি। ২০০০ সাল থেকে ভাত খাওয়া বন্ধ করেন। এরপর গত ১৩ বছর ধরে মাছ-মাংসও খান না।
কুসুম শিকদার বলেন, ‘আসলে আমি এমন একটা মানুষ যেটা আমি ভালোবাসি বা যেটা আমি মন থেকে চাই, সেটা আমি করার চেষ্টা করি বা করি। সেই ধারাবাহিকতা আমি বজায় রাখি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বড় হয়েছি, বয়স হয়ে যাচ্ছে এই কারণে আমি এটা করব না, ওখানে যাওয়া যাবে না, এটা বলা যাবে না। এগুলো আমি ফলো করি না।