তিন দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন খানেরা। শাহরুখ, সালমান ও আমির প্রত্যেক খানের আকাশসমান জনপ্রিয়তা। প্রত্যেককে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে। এখনও বলিউডের তিন স্তম্ভ হিসেবেই ধরা হয় তাদের।
তিন দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন খানেরা। শাহরুখ, সালমান ও আমির প্রত্যেক খানের আকাশসমান জনপ্রিয়তা। প্রত্যেককে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে। এখনও বলিউডের তিন স্তম্ভ হিসেবেই ধরা হয় তাদের।
১৪ মার্চ আমির খানের জন্মদিন। তার আগেই তার বাড়িতে হাজির হলেন দুই বন্ধু শাহরুখ খান ও সালমান খান। আমির খানের ৬০তম জন্মদিনের আগে তাঁর বাড়িতে অন্য দুই খানের উপস্থিতি নতুন করে আশা জাগাচ্ছে ভক্তদের।
ভিডিওতে দেখা যায়, আমির খানের বাড়ির লিফট থেকে নামছেন দুই তারকা। একফ্রেমে সলমন খান ও আমির খান।
সিনেমার পর্দায় তো নয়ই, তিন খানকে একসঙ্গেও খুব একটা দেখা যায় না। এর আগে ৩ জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রি ওয়েডিং অনুষ্ঠানে। ‘নাটু নাটু’ গানে নাচও করেছিলেন তারা। এছাড়াও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিন খানের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি উঠে আসে। আমিরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘৩ জনের একসঙ্গে অভিনয় করার কথা আমিই বলেছিলাম। শাহরুখ ও সালমানকে বলি, আমরা তিন জন একসঙ্গে একটা ছবি না করলে খুব খারাপ হবে। ওরাও আমার সঙ্গে সহমত হয়েছিল।’ সঙ্গে আরও বলেছিলেন, ‘তবে হ্যাঁ আমাদের ৩জনকে একসঙ্গে আনতে ভালো গল্পের প্রয়োজন। ভালো চিত্রনাট্য দরকার।’
বর্তমানে নিজের আসন্ন সিনেমা ‘সিতারে জামিন পর’ নিয়ে ব্যস্ত আমির খান। এর মাধ্যমে ৩ বছর পর পর্দায় ফিরছেন অভিনেতা। অন্যদিকে, ‘ডানকি’র পর শাহরুখ খানকে দেখা যাবে সুজয় ঘোষের ‘কিং’-এ। আর সালমান খান ঈদে আসছেন ‘সিকান্দার’ সিনেমা নিয়ে।
সম্পর্কিত খবর
গালে টোল পড়া মিষ্টি হাসিতে নিজের জাদু ছড়িয়ে দিতেন পর্দায়। বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি খ্যাত ছিলেন মিষ্টি অভিনেত্রী হিসেবে। একসময়ের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী নব্বইয়ের দশকে ও নতুন শতকের শুরুর দিকে ছিলেন বলিউডের শীর্ষ নায়িকা। নিজের কাজ ও অভিনয় দিয়েই থাকতেন সর্বাধিক আলোচনায়।
একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের গ্রাফ বেশ নজরকারা। তবে মাঝে মাঝে বিতর্কের কালো মেঘও ঢেকে যেত অভিনেত্রীকে। যেমনটা ২০০১ সাল।
বেশ কয়েকবছর আগে সিমি গারেওয়ালকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে কথা বলেছিলেন প্রীতি জিনতা। অভিনেত্রী বলেছিলেন, “সবে তখন আমিরের সঙ্গে ‘দিল চাহাতা হ্যায়’ মুক্তি পায়। দর্শক আমার আর আমিরের জুটির প্রশংসাও শুরু করেছে।
তবে এরপর প্রীতি আরেক বিস্ফোরক গুঞ্জন নিয়েও কথা বলেন। কারণ তখন সঞ্জয় দত্তের সঙ্গেও প্রীতির প্রেমের গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে শোবিজ অঙ্গনে। প্রীতি বলেন, ‘শুধু আমির নয়, এই একই বছরে আবার রটে যায় আমি নাকি সঞ্জয় দত্তকেও গোপনে বিয়ে করেছি! সঞ্জয় আমার ফ্য়ামিলি ফ্রেন্ড। একেবারে আমার দাদার মতোই। ওকে নিয়ে এরকম রটায় আমি খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। পরে অবশ্য আমার ম্যানেজার এসবহ গসিপ আটকানোর জন্য এক বিবৃতিও দিয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। সত্যিই এ ধরনের গসিপে সাধারণ মানুষ মজা পেলেও, আমাদের জীবন কঠিন হয়ে যায়।’
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন ব্যবসায়ী জেনে গুডএনাফকে বিয়ে করেন প্রীতি। বিয়ের পর বলিউড একপ্রকার ছেড়েই দেন এ অভিনেত্রী। লস অ্যাঞ্জেলেসে সংসার নিয়েই ব্যস্ত প্রীতি। তবে আবারও বলিউডে ফিরছেন এ লাস্যময়ী অভিনেত্রী। সামনে তাকে দেখা যাবে সানি দেওলের সঙ্গে ‘লাহোর ১৯৫৭’ সিনেমায়।
শেষ পর্যন্ত অকালেই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশু আছিয়ার। চার-চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পৃথিবীই ছাড়তে হলো তাকে। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়া দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
শিশু আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় শোকে বিহ্বল গোটা দেশ।
ঢালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডলে শুধু লিখেছেন, ‘আছিয়া।
অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার দিয়ে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আপনি বিচার কইরেন।’
অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের কথায়, ‘আছিয়ার মৃত্যু শুধুই একটা মৃত্যু নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর প্রতিটি নারীর আজীবনের অভিশাপ। প্রতিটা সুস্থ পুরুষের নিজের মেয়ের কাছে আমৃত্যু ছোট হয়ে থাকা।
অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান লিখেছেন, ‘আমাদের মাফ করে দিও আছিয়া। আমরা তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না।’
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘এ শহরে আর কোনো কন্যার জন্ম না হোক। মাতৃহীন, ভগ্নিহীন, কন্যাহীন মরুভূমি হোক এ দেশ। কুলাঙ্গারের আবাদ হোক!’
আছিয়াকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী পারশা মাহজাবীন পূর্ণি লিখেছেন, ‘মরে গিয়ে বেঁচে গেল।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘মরে আছিয়া বেঁচে গেল। আর বুঝিয়ে দিয়ে গেল অনেক কিছুই। আছিয়া, তীব্র কষ্ট পেয়েছ মা, এবার ঘুমাও। লজ্জিত, ক্ষমার অযোগ্য আমরা।’
চিত্রনায়িকা তমা মির্জা ধর্ষকের মৃত্যু কামনা করে লিখেছেন, ‘শোনেন পশু ধরে রেখে দেয় না মেরে ফেলে, আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয় রেখে দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ/বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না।’ ধর্ষকের শাস্তির বিষয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সঙ্গে সঙ্গে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেন না।’
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রবিবার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেয়া হয়। ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত অকালেই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশু আছিয়ার। চার-চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পৃথিবীই ছাড়তে হলো তাকে। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়া আজ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি।
শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা এবং ধর্ষকের বিচার নিয়ে তীব্র দাবি উঠছে।
শিশুটির মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তমা মির্জা ফেসবুক পোস্টে ধর্ষকের বিচারার বিষয়টি তুলে ধরেন।
ধর্ষকের শাস্তির বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সঙ্গে সঙ্গে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেন না।’
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি।
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই জাদুর ঝলকানি। দর্শকরা মুখিয়ে থাকেন এ অভিনেতাকে দেখতে। শাহরুখের সিনেমা মানেই প্রেক্ষাগৃহে উৎসবের আমেজ।
২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র ‘দেবদাস’-এর শুটিংয়ের সময় ঘটে এমন ঘটনা।
‘দেবদাস’-এর সিনেমাটোগ্রাফার বিনোদ প্রধান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন। ফ্রাইডে টকিজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দেবদাস’-এর শুটিংয়ের জন্য মুম্বাইতে এক কিলোমিটার জুড়ে চন্দ্রমুখীর কোঠার সেট তৈরি করা হয়েছিল।
তবে সমস্যা তৈরি হয় এখানেই। এত বড় সেট সাজানোর জন্য মুম্বাইয়ের যত জেনারেটর ছিল, প্রায় সবই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল ‘দেবদাস’-এর জন্য! ফলে শহরের অন্য কোথাও তখনকার মতো জেনারেটরের সংকট দেখা দেয়।
বিনোদ প্রধান আরো বলেন, “অনেকেই আমাকে বলেছিলেন—‘বিনোদজি, আপনি এত জেনারেটর ব্যবহার করেছেন যে শহরে বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের জন্য কোনও জেনারেটর বাকি ছিল না!”
‘দেবদাস’ শাহরুখের ক্যারিয়ারের অন্যতম এক কালজয়ী সিনেমা হিসেবেই ধরা হয়। এর আগে দীলিপ কুমারও দেবদাস করেছিলেন তবে শাহরুখের দেবদাস চিরসবুজ হয়ে রয়েছে দর্শকদের মনে। সিনেমাটি মুক্তির পর বক্সঅফিসেও ঝড় তোলে। ৪৪ কোটি টাকা বাজেটের দেবদাস বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি টাকা আয় করে।