<p><em>গলব্লাডার বা পিত্তথলি দেখতে অনেকটা সবুজ নাশপাতির মতো। পরিপাকতন্ত্রের এই অংশটির কাজ হলো পিত্তরস সংরক্ষণ করা। এই পিত্তরস তৈরি করে লিভার। চর্বি হজমে সহায়তাকারী পিত্তথলি ভালো রাখার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন </em><em>চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের </em><em>সাবেক অধ্যক্ষ </em><em>অধ্যাপক <strong>ডা. শুভাগত চৌধুরী</strong></em></p> <p>চর্বিযুক্ত খাবার ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর অংশে পৌঁছলে পিত্তথলি সংকুচিত হয়ে রস নিঃসৃত করে পিত্ত ক্ষুদ্রান্ত্রে, এতে চর্বি হজম হয়। এতে পাথর হলে অপারেশন করার দরকার হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পিত্তথলি ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ঝুঁকি এড়াতে চাইলে কিছু বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।</p> <p><strong>যাঁদের ঝুঁকি বেশি</strong></p> <p>♦ ওজন বেশি হলে অনেক নারীই মাঝেমধ্যে ডায়েটিং করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন।</p> <p>♦ ৬০ বছরের বেশি বয়সী নারী যাঁরা কম বয়সে বার্থ কন্ট্রোল পিল খাওয়া শুরু করেছেন, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল বেশি, তাঁরা ঝুঁকিতে আছেন।</p> <p>♦ মেনোপজের পর হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়া নারীরাও বিপৎসীমার মধ্যে রয়েছেন।</p> <p><strong>করণীয়</strong></p> <p>♦ খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে।</p> <p>♦ কোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়া যাবে না।</p> <p>♦ কম ক্যালরিযুক্ত সুষম খাবার খেতে হবে। খাদ্য উপাদানের মধ্যে রাখতে হবে হোল গ্রেন, শাক-সবজি, ফল, লাল আটা, খোসাওয়ালা শালগম, ওটস।</p> <p>♦ আঁশজাতীয় খাবার গলব্লাডারে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক রাখে।</p> <p>♦ ছানা, টক দই, লো ফ্যাট, কচি মাংস, মটরশুঁটি, অল্প পরিমাণ বাদাম খেতে পারেন।</p> <p>♦ উপকারী ফ্যাট, বাদাম, মাছের তেল, অ্যাভাকাডো, জলপাই তেল।</p> <p>♦ কোমল পানীয় একেবারে বাদ দেওয়া ভালো। চায়ে চিনি খাবেন না।</p> <p>♦ ফাস্ট ফুড, তেলে ভাজা খাবার বাদ।</p> <p>♦ ক্রাশ ডায়েট করা যাবে না। এটা শুধু গলব্লাডারের জন্য নয়, হার্টের জন্যও খারাপ।</p> <p>♦ দিনে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।</p> <p>♦ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যায়াম করতে হবে আর হাঁটতে হবে।</p> <p>♦ দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল খাওয়া যাবে না।</p> <p>♦ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়া উচিত না।</p> <p>♦ মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকতে হবে।</p> <p>♦ ইয়োগা, ব্রিদিং এক্সারসাইজ, ধ্যান চর্চা।</p> <p>♦ চর্বি, গোশত, মাখন, পনির হিসাব করে খেতে হবে।</p>