<p>হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এর মধ্যে কিন্তু কিছু পার্থক্য আছে। হার্টের ধমনীতে ব্লক হয়ে গেলে বা চর্বি জমলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। চিকিৎসা ছাড়া এই অবস্থায় থাকলে একটা সময় পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় বা হয়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়ার কারণে মানুষ হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়।</p> <p>ওদিকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যখন হয় মানুষের হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেয় এবং সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়াও  বন্ধ হয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অনেকর আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হার্ট অ্যাটাকের কারণে ঘটে থাকে।  কারণ মানুষের যখন হার্ট অ্যাটাক হতে থাকে তখন হার্টবিট বা ছন্দে  পরিবর্তণ আসে। এই অনিয়মিত হৃদস্পন্দন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হতে পারে। আজ  আমরা জানবো ‘সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ বা ‘হঠাৎ হৃদপিণ্ড বন্ধ’ কেন হয়ে যায়।</p> <p><strong>কেন হয়?</strong></p> <p>হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এর ফলে হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মানুষ। এই অবস্থায় হার্টের বৈদ্যুতিক সিস্টেমের সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ হার্ট পাম্প করা বন্ধ করে দেয়। ফলে পুরো শরীরে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। অবিলম্বে চিকিৎসা না করালে মৃত্যু হতে পারে এ কারণে। </p> <p>এক্ষত্রে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দিতে হয়। এর ফলে অনেকে ফিরে আসে আবার অনেকের মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়ার আগ পর্যন্ত বা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সিপিআর দেওয়া উচিত। </p> <p>হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হলো, হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক ছন্দ বা বিট যাকে বলা হয় অ্যারিথমিয়া। এর অর্থ হলো হার্টের বৈদ্যুতিক সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করছে না। হার্টের এই বৈদ্যুতিক সিস্টেম আপনার হৃদস্পন্দন  ও তাল নিয়ন্ত্রণ করে। এতে কোনো সমস্যা হলেই হৃদপিণ্ড খুব দ্রুত, খুব ধীরে বা অনিয়মিতভাবে স্পন্দিত হতে পারে (অ্যারিথমিয়া)। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যারিথমিয়া ক্ষতিকারক হয় না কিন্তু হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। এই সমস্যার কারণে রক্ত পাম্প করার পরিবর্তে হার্ট অকেজোভাবে কাঁপতে থাকে (ভেন্ট্রিকল ফাইব্রিলেশন)।</p> <p><strong>এছাড়া হার্টে আগে থেকে সমস্যা থাকলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। যেমন:</strong></p> <p>১. করোনারি আর্টারি ডিজিজ<br /> ২. হার্ট অ্যাটাক<br /> ৩. স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হার্ট<br /> ৪. হার্টের ভাল্ব এর সমস্যা<br /> ৫. হার্টের সমস্যা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু</p> <p><strong>লক্ষণ</strong></p> <p>** আকস্মিক জ্ঞান হারানো<br /> ** হৃদস্পন্দন না থাকা<br /> ** শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া</p> <p><strong>কখন কখন হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গও দেখা দিতে পারে:</strong></p> <p>** বুকে অস্বস্তি<br /> ** নিশ্বাসের দুর্বলতা<br /> ** দুর্বলতা<br /> ** খুব দ্রুত হৃদস্পন্দন বা বুক ধড়ফড় করা</p> <p>তবে চিন্তার বিষয় হলো ‘হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ প্রায়ই কোনো লক্ষণ ছাড়াই দেখা দেয়।</p> <p>সূত্র : মায়োক্লিনিক। </p>