<p>বর্তমান সময়ের ফ্যাশনে তরুণ-তরুণীদের চুলে রং করা এখন অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার অনেকে সাদা চুল ঢাকতেও রং করে থাকেন। তবে এই চুল রং করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ চুলে রং করার ফলে চুল ঝরে যাওয়া, মাথার ত্বকে অ্যালার্জি, গলা ও ফুসফুসের সমস্যা, চোখের সমস্যার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।</p> <p>এ ছাড়া চুলের রঙে এমন সব কেমিক্যাল থাকে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। চুলে রং করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। তাহলে জেনে নিন চুলে রং করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।</p> <p><strong>চুলে রং করার ক্ষতিকর দিক</strong></p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চুলের যত্নে অ্যালোভেরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/05/09/1715233016-2f8431f4c9c3c0780068a5cd74bec0f5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চুলের যত্নে অ্যালোভেরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/05/09/1386259" target="_blank"> </a></div> </div> <p>১. ত্বকের একটি উপাদান হচ্ছে কেরাটিনাইজড নামক প্রোটিন। এই প্রোটিনের সঙ্গে চুলের রং মিশলে ত্বকের রং নষ্ট করে। তাই কেশ-বিশেষজ্ঞরা চুলে রং ব্যবহারের সময় হাত মোজা ব্যবহারের ওপর জোর দেন।</p> <p>২. চুলের রঙের সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে। চুলের রঙে থাকে এমন কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান, যা চুলের মাধ্যমে ত্বকে ভেদ করে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।</p> <p>৩. চুলের রঙে থাকে ‘প্যারাফিনাইলেনেডিয়ামিন’ নামক রাসায়নিক উপাদান, যা অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ত্বকের বিভিন্ন স্থানে রং পরিবর্তন, ফুসকুড়ি, তীব্র চুলকানি ইত্যাদি হতে পারে। স্থায়ী হেয়ার কালার ব্যবহারে এই আশঙ্কা বেশি। এতে চুলের এবং স্ক্যাল্পের ক্ষতি হতে পারে। ত্বকে অস্বস্তি, লাল হয়ে যাওয়া বা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চুলের যত্নে কাঠের চিরুনির উপকারিতা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/26/1724685124-06671b5b82b6b52cbeb658bf7f9c1b83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চুলের যত্নে কাঠের চিরুনির উপকারিতা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/08/26/1419038" target="_blank"> </a></div> </div> <p>৪. চুলের রঙে থাকা আরেকটি রাসায়নিক উপাদান হলো ‘পারসালফেটস’,  যা হাঁপানি রোগ নেই তাদেরও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া চুলের রঙে থাকা ক্ষতিকর উপাদান নিয়মিত নিঃশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করলে শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  <br /> ৫. চুলের রং চোখে গেলে হতে পারে প্রদাহ, চোখ লাল হওয়া, পানি ঝরা, চোখ ওঠা ইত্যাদি সমস্যা।</p> <p>৬. কোনো রাসায়নিক চুলে ব্যবহার করলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। এটি চুলের গোড়া দুর্বল করে দিতে পারে। ফলে সামান্য টান লাগলেই চুল উঠে আসে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই চুলে রং ব্যবহারে বারবার সতর্ক করেন চিকিৎসকরা।</p> <p>৭. চুল ধীর ধীরে পাতলাও হয়ে যেতে পারে। চুলে রং করার পর সঠিকভাবে যত্ন না নিলে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠতে পারে। ফলে ধীরে ধীরে চুলের ঘনত্বও কমতে পারে। আপনারও সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তাই রং করা চুলের সঠিক যত্নও নিতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চুল ঘন ও লম্বা করবে যে প্রাকৃতিক তেল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/06/1725621318-b1d0f7b2468520db070c2a18c7e3867d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চুল ঘন ও লম্বা করবে যে প্রাকৃতিক তেল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/06/1422744" target="_blank"> </a></div> </div> <p>৮. চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। চুলে রং করার পরে সবচেয়ে বেশি হয় এই সমস্যাই। সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে ধীরে ধীরে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।</p> <p>তাই চুলে রং করার পূর্বে এসব বিষয় ভেবে দেখা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যারা ইতোমধ্যে রং ব্যবহারে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, অতি তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।</p>