<p>বাঙালির প্রথম পছন্দ হলো ভাত। এই খাবার সারা দিনে একবার না খেলে মনটা কেমন কেমন করে। তবে এমন ভাতপ্রিয় বাঙালিদের মধ্যে অনেকেই জানেন যে দিনে দুইবার এই খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাই তারা দিনে অন্তত একবার আটার রুটি খান। তাতেই শরীর থাকে সুস্থ-সবল।</p> <p>তবে বর্তমানে কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষজ্ঞ আবার রুটিকে নিয়েও একটা সতর্কবাণী শুনিয়ে রেখেছেন। তাদের মতে, গ্যাসের আগুনে রুটি ছেঁকে খেলে নাকি একাধিক জটিল অসুখ নিতে পারে পিছু। তাই তারা এভাবে রুটি ছেঁকে খেতে বারণ করেন।</p> <p>তবে প্রশ্ন হলো, এই কথার পেছনে কি কোনো যুক্তি আছে, নাকি পুরোটা মিথ ছাড়া আর কিছু নয়? সেই প্রশ্নের উত্তর পাবেন আজকের প্রতিবেদনে। তাহলে ঝটপট প্রতিবেদনটি পড়ে নিন।</p> <p><strong>সেরা খাবার রুটি</strong></p> <p>আটার তৈরি রুটিতে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। যেই কারণে এই খাবার খেলে সুগার বাড়ে না। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মেলে মুক্তি। শুধু তা-ই নয়, এতে উপস্থিত ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। যার ফলে আজেবাজে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। এতে দ্রুত হ্রাস পায় ওজন। এর পাশাপাশি আটার রুটিতে কিছুটা প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ও খনিজ থাকে। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে চাইলে নিয়মিত রুটি খেতেই হবে। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।</p> <p><strong>গ্যাসের আগুনে রুটি ছেঁক দেওয়া কি উচিত?</strong></p> <p>এই প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্যাস আবিষ্কার হয়েছে কয় দিন হলো, যুগের পর যুগ ধরে তো চুলার আগুনেই সরাসরি রুটি ছেঁকে খাওয়া হতো। তার জন্য কারো কোনো সমস্যা হয়েছে বলে জানা নেই। তাই গ্যাসের আগুনে রুটি ছেঁকলে যে সমস্যা হবে, এই ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বললেই চলে। বরং রুটি ছেঁকে না খেলে তা কাঁচা থেকে যেতে পারে। আর এই ধরনের রুটি খেলে পেটে ব্যথা, ডায়ারিয়া ও বমির মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই নিয়মিত গ্যাসে রুটি ছেঁকে খান।</p> <p><strong>মাথায় রাখবেন যে নিয়ম</strong></p> <p>অনেকেই রুটি ছেঁকার সময় তা পুড়িয়ে ফেলেন। আর এই ধরনের রুটি নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। এই ভুলটা করলে শরীরের হাল বিগড়ে যাবে। এমনকি পিছু নিতে পারে ক্যান্সারের মতো জটিল অসুখও। তাই চেষ্টা করুন ছেঁকার সময় যাতে রুটি না পুড়ে যায়। বরং রুটি ফুলে গেলেই তা আগুন থেকে নামিয়ে নিন। তাহলেই তা খেয়ে মেটাতে পারবেন পুষ্টির ঘাটতি। এমনকি পেটের সমস্যা পিছু নিতে পারবে না বলেও জানান পুষ্টিবিদরা।</p> <p><strong>দিনে কয়টি রুটি খাবেন</strong></p> <p>প্রতিটি মানুষের কাজের ধরন আলাদা। এমনকি শরীরের বিপাকের হারও ভিন্ন। যে কারণে কে কতটি রুটি খাবেন, তা আগে থেকে বলে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে কোনো একজন সুস্থ মানুষ চাইলে দিনে ২ থেকে ৪টি আটার রুটি খেতেই পারেন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। তার পরই কতটি রুটি খাবেন তা ঠিক করুন। নইলে পরিস্থিতি খারাপ দিকে যেতে সময় লাগবে না।</p> <p><strong>কারা মেপে খাবেন?</strong></p> <p>অনেকেরই রুটিতে অ্যালার্জি থাকে। তারা ভুলেও এই খাবার খাবেন না। নইলে পিছু নিতে পারে গ্যাস, এসিডিটির মতো সমস্যা। এ ছাড়া কোলাইটিস, আইবিএসের মতো পেটের সমস্যাতেও এড়িয়ে চলুন রুটি। তার বদলে আপনারা ভরসা রাখতে পারেন ভাতের ওপর। তাতেই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন। দূরে থাকবে বহু সমস্যা।</p> <p>সূত্র : এই সময়</p>