<p>বর্তমান বিশ্ব ক্রমাগতভাবে বিকশিত হচ্ছে। প্রযুক্তি অবিশ্বাস্য গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। বৈশ্বিক সংযোগগুলো আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সব কিছু প্রতিযোগিতামূলক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই দক্ষতার অভাব থাকলে বর্তমান বিশ্বে পিছিয়ে পড়তে হবে। এ জন্য ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানকে দক্ষ করে তুলুন।</p> <p>আজকের প্রতিবেদনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার কথা বলব, যেগুলো আপনার সন্তানের জন্য খুবই প্রয়োজন। মা-বাবা এবং শিক্ষকরা অল্প বয়স থেকেই শিশুদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক।</p> <p><strong>খাপ খাওয়ানো</strong></p> <p>বর্তমান জগতে প্রযুক্তিগত এবং পরিবেশগত পরিবর্তন খুব দ্রুত হচ্ছে। তাই অনেকেরই মানিয়ে নিতে সময় লাগছে। এ জন্য আপনাকে সন্তানকে আপডেট রাখুন। নতুন দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে তাদের উৎসাহ দিন। খুব অল্প বয়সে নতুন কিছুতে খাপ খাইয়ে নিতে পারলে ভবিষ্যতে শিশুরা উপকৃত হবে। তারা মানসিকভাবে বিকশিত  হবে। এতে তারা নতুন জিনিস গ্রহণ করে সহজেই সামনে আগাতে পারবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সন্তানের মনের কথা জানবেন যেভাবে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/12/1726150495-f2e8d4752f71bbefd9f68cba83683f56.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সন্তানের মনের কথা জানবেন যেভাবে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/12/1424787" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ডিজিটাল দক্ষতা</strong></p> <p>বর্তমান যুগ প্রযুক্তিনির্ভর। ডিজিটাল যুগে বাচ্চাদের ডিভাইসগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। তাদের মাঝে ডিজিটাল দক্ষতা অ্যালগরিদমিক চিন্তা-ভাবনা, কোডিং সম্পর্কে ধারণা দিন। একসময় কোডিং তাদের ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য একটি সরঞ্জাম হয়ে উঠবে। ডিজিটাল দায়বদ্ধতা বাড়ানোর মাধ্যমে শিশুরা ডিজিটাল ক্রিয়াকলাপের নৈতিক প্রভাবগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।  </p> <p><strong>যোগাযোগ দক্ষতা</strong></p> <p>সফলতা এবং এর পেছনে প্রচেষ্টার মূলে রয়েছে ফলপ্রসূ যোগাযোগ দক্ষতা। আপনার সন্তানের মাঝে যোগাযোগের একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করুন। এতে তাদের চিন্তা-ভাবনা, ধারণা ও অনুভূতিগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যোগাযোগ দক্ষতা তাদের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সক্ষম করবে। এটি তাদের অন্যান্য দক্ষতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সন্তানের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে যা করবেন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/05/1725551442-cecf706e4e4990352328e9d0978d6eeb.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সন্তানের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে যা করবেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/05/1422475" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার দক্ষতা</strong></p> <p>ক্যাঙারু কিডসের প্রধান কারিকুলাম ডেভেলপমেন্টের চাইল্ড কাউন্সেলর সিবি ফাকিহ বলেন, শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য তাদের মধ্যে উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার দক্ষতা বাড়ানো অপরিহার্য। যৌক্তিক, বিশ্লেষণাত্মক ও পদ্ধতিগত চিন্তা-ভাবনা শিশুদের দক্ষতার সঙ্গে জটিল সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম করে। তাদের মধ্যে কল্পনাপ্রসূত চিন্তা-ভাবনাকে উৎসাহিত করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727876549-da9ca8088150e71ab2dc1ab576cb6d9d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/02/1431136" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের দক্ষতা</strong></p> <p>শিশুদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের দক্ষতা থাকা জরুরি। এটি তাদের ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা-বাবার উচিত তাদের সন্তানকে অন্যের অনুভূতিগুলো বুঝতে দেওয়া। তাদের আবেগগুলো পরিচালনা করা। কার্যকরভাবে সমস্যার সমাধান করতে উৎসাহিত করা। এই দক্ষতাগুলো কেবল আত্মসচেতনতাই বাড়ায় না। বরং শিশুদের সহানুভূতি ও সংকল্পের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম করে। ভবিষ্যতে তাদের সফল ও সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করে।</p> <p>সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া</p>